ঢাকা ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




এসেনসিয়াল ড্রাগসে ৪৭৭ কোটি লোপাট – অনুসন্ধান চলমান রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের

বিশেষ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩ ২১৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি অডিটে ৩২টি অনিয়ম ও ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা স্বাধীনভাবে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুসন্ধান চলমান রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান শেষ হলে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ বুধবার (২ আগস্ট ২০২৩) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। এসেনসিয়াল ড্রাগসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু ও অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল।

এর আগে গত ১২ মার্চ দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি অডিটে ৩২টি অনিয়ম ও ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

রোববার (১২ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। দুদক এ ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য আবারও সময় আবেদন করে।

গত ১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সরকারি অডিটে ৩২ অনিয়ম, ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ এক সরকারি অর্থ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য। ক্যান্টিন বন্ধ, কিন্তু ভর্তুকির বিল তোলা হয়েছে। কাঁচামালের তুলনায় ওষুধের উৎপাদন কম দেখিয়ে করা হয়েছে তছরুপ। এছাড়া বিধি লঙ্ঘন করে হয় টেন্ডার প্রদান ও বিনা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ বাণিজ্য- এমন কোনো অনিয়ম নেই যা এখানে হয়নি।

দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি অডিটেই আর্থিক বড় দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩২টি গুরুতর অনিয়মে সরকারি ৪৭৭ কোটি ৪১ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষায় যেসব অনিয়ম ধরা পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে- নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, ব্যবহৃত কাঁচামালের চেয়ে ওষুধ উৎপাদন কম দেখানো, উৎপাদিত ওষুধে সঠিক মাত্রায় কাঁচামাল ব্যবহার না করে গুণগত ওষুধ উৎপাদন না করা, কনডম প্রস্তুতে কাঁচামালের ঘাটতি, বনভোজনের নামে ভ্রমণভাতা, করোনাকালীন ক্যান্টিন বন্ধ থাকলেও প্রাপ্যতা না হওয়া সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদেরকে অনিয়মিতভাবে ক্যান্টিনে সাবসিডি প্রদানের নামে টাকা আত্মসাৎ।

এছাড়া উচ্চমূল্যে বিভিন্ন জিনিস কিনে সরকারি অর্থ লুটপাট, সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান না করে ভাগাভাগির মাধ্যমে সরবরাহকারীদের কার্যাদেশ প্রদান-পূর্বক মালামাল ক্রয় সংস্থার আর্থিক ক্ষতিসহ বিভিন্ন খাতে অনিয়ম উঠে এসেছে নিরীক্ষায়।

প্রাথমিকভাবে ইস্যুকৃত প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫১টি আপত্তি তুলেছে অডিট কমিটি।

এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল কমিটি ১৯টি আপত্তি বাতিল করে দেয়। বাকি ৩২টিকে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম (এসএফআই) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এসেনসিয়াল ড্রাগসে ৪৭৭ কোটি লোপাট – অনুসন্ধান চলমান রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেট সময় : ০৩:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি অডিটে ৩২টি অনিয়ম ও ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা স্বাধীনভাবে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুসন্ধান চলমান রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান শেষ হলে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ বুধবার (২ আগস্ট ২০২৩) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। এসেনসিয়াল ড্রাগসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু ও অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল।

এর আগে গত ১২ মার্চ দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি অডিটে ৩২টি অনিয়ম ও ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

রোববার (১২ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। দুদক এ ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য আবারও সময় আবেদন করে।

গত ১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সরকারি অডিটে ৩২ অনিয়ম, ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ এক সরকারি অর্থ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য। ক্যান্টিন বন্ধ, কিন্তু ভর্তুকির বিল তোলা হয়েছে। কাঁচামালের তুলনায় ওষুধের উৎপাদন কম দেখিয়ে করা হয়েছে তছরুপ। এছাড়া বিধি লঙ্ঘন করে হয় টেন্ডার প্রদান ও বিনা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ বাণিজ্য- এমন কোনো অনিয়ম নেই যা এখানে হয়নি।

দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি অডিটেই আর্থিক বড় দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩২টি গুরুতর অনিয়মে সরকারি ৪৭৭ কোটি ৪১ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষায় যেসব অনিয়ম ধরা পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে- নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, ব্যবহৃত কাঁচামালের চেয়ে ওষুধ উৎপাদন কম দেখানো, উৎপাদিত ওষুধে সঠিক মাত্রায় কাঁচামাল ব্যবহার না করে গুণগত ওষুধ উৎপাদন না করা, কনডম প্রস্তুতে কাঁচামালের ঘাটতি, বনভোজনের নামে ভ্রমণভাতা, করোনাকালীন ক্যান্টিন বন্ধ থাকলেও প্রাপ্যতা না হওয়া সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদেরকে অনিয়মিতভাবে ক্যান্টিনে সাবসিডি প্রদানের নামে টাকা আত্মসাৎ।

এছাড়া উচ্চমূল্যে বিভিন্ন জিনিস কিনে সরকারি অর্থ লুটপাট, সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান না করে ভাগাভাগির মাধ্যমে সরবরাহকারীদের কার্যাদেশ প্রদান-পূর্বক মালামাল ক্রয় সংস্থার আর্থিক ক্ষতিসহ বিভিন্ন খাতে অনিয়ম উঠে এসেছে নিরীক্ষায়।

প্রাথমিকভাবে ইস্যুকৃত প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫১টি আপত্তি তুলেছে অডিট কমিটি।

এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল কমিটি ১৯টি আপত্তি বাতিল করে দেয়। বাকি ৩২টিকে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম (এসএফআই) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Loading