ঝিনাইগাতীতে নীতিমালা উপেক্ষা করে যত্রতত্র এলপি গ্যাসের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা

- আপডেট সময় : ০৫:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০১৯ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

নাঈম ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি: নীতিমালা লঙ্ঘন করে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ। ফলে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অনুমোদিত পেট্রলপাম্প ছাড়া পেট্রলজাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে উপজেলা শহরের বাইরে গ্রাম এলাকার বাজারেও এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ও বোতলে পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদর বাজার, তিনানী, বাকাকুড়া, ধানশাইল, তেঁতুল তলা, কালিবাড়ি প্রভৃতি এলাকার বাজারগুলোর মুদি ও রকমারি দোকানে, ফ্লেক্সিলোড, ইলেকট্রনিক্স, মেশিনারীজ, কোকারীজ, প্লাস্টিক সামগ্রী বিক্রির দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রলসহ দাহ্য পদাথ বিক্রি হচ্ছে। এমনকি দোকানের বাহিরে ব্যস্ত সড়কের পাশে রেখে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির অনুমোতি আছে কিনা জানতে চাইলে বিক্রেতা সাইফুল বলেন, আমি অনুমতির জন্য ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়ে আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, আমি অবৈধ কোন কিছু সমর্থন করি না। যদি কোন ব্যবসায়ী সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও বোতলে পেট্রল বিক্রি করে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে বুঝিয়ে সচেতন করা দরকার।
বাংলাদেশ মানববাধিকার কমিশন ঝিনাইগাতী শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, কিছুদিন ধরে বাজারে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ও কোমল পানীয়র বোতলে ভরে পেট্রল বিক্রির প্রবণতা বেড়ে চলেছে। এছাড়া অনেক পেট্রল ক্রেতাকে অনেক দোকানি চেনেন না বা জানেন না। এটি খুবই বিপজ্জনক। দুষ্কৃতদের হাতে পেট্রল চলে যেতে পারে।
ঝিনাইগাতী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক। এ ছাড়া যত্রতত্র পেট্রল বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকা-সহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রযত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে কেউ বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।