ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




প্রধানমন্ত্রী কাঁদলেন সংসদে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর মৃত্যুতে সংসদে আনা শোকপ্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা লেখেন। হাসান জাহিদ তুষার তার পোস্টে লেখেন, ”রাজনৈতিক জীবনে চলার পথ সহজ ছিল না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার বাধা (পেয়েছি), কিন্তু যে কজন মানুষ সব সময় খুব পাশে থেকেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে সমর্থন দিয়েছেন তাদের দুজন মানুষকে একসঙ্গে হারালাম এটা সবচেয়ে কষ্টের।’

দু’দিন বিরতির রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে চলতি সংসদের সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সম্পূরক কার্যসূচিতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ’র জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর মোহাম্মদ নাসিমের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা শুরু হয়।

মোহাম্মদ নাসিমের বাবা জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। আমি যখন দেশে ফিরে আসি তখন একটা প্রচেষ্টা ছিল এই শহীদ পরিবারগুলোর ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে নিয়ে আসা। আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত ও শক্তিশালী করা। এ কাজ করতে গিয়ে নাসিম ভাইকে সব সময় আমার পাশে পেয়েছি।’

এ সময় বিভিন্ন শাসনামলে মোহাম্মদ নাসিমের ওপরে নি’র্যাত’নের বর্ণনা করতে গিয়ে বারবার আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘খুব দুঃখজনক… আসলে আমার জন্য খুব কষ্টকর হচ্ছে বলতে, এভাবে সবাইকে হারানো খুবই দুঃখজনক।’ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি (দেশে ফিরে) আসার পর থেকেই আব্দুল্লাহ সাহেবকে পেয়েছি, মনি (শেখ ফজলুল হক মনি) ভাইয়ের সঙ্গে তিনি ছিলেন। আমার নির্বাচন পরিচালনাই শুধু নয়, আমার নির্বাচনী এলাকার সম্পূর্ণ দেখাশোনা তাকে করতে হতো। রাজনীতিতে অনেক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে গোপালগঞ্জবাসী। যখনই যারা ক্ষমতায় এসেছে, সেটা জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া; তাদের যেন একটা লক্ষ্যই ছিল গোপালগঞ্জের ওপরে হাত দেওয়ার চেষ্টা। আমাদের বহু নেতাকর্মী নি’র্যাতিত হয়েছেন, তাদের ওপর অকথ্য অ’ত্যাচার হয়েছে। সেই দুঃসময়গুলিতে সংগঠনকে ধরে রাখা, সংগঠনের নেতাকর্মীদের দিকে নজর দেওয়া, এ কাজগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে গেছেন আব্দুল্লাহ সাহেব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রধানমন্ত্রী কাঁদলেন সংসদে

আপডেট সময় : ০৬:০৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর মৃত্যুতে সংসদে আনা শোকপ্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা লেখেন। হাসান জাহিদ তুষার তার পোস্টে লেখেন, ”রাজনৈতিক জীবনে চলার পথ সহজ ছিল না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার বাধা (পেয়েছি), কিন্তু যে কজন মানুষ সব সময় খুব পাশে থেকেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে সমর্থন দিয়েছেন তাদের দুজন মানুষকে একসঙ্গে হারালাম এটা সবচেয়ে কষ্টের।’

দু’দিন বিরতির রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে চলতি সংসদের সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সম্পূরক কার্যসূচিতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ’র জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর মোহাম্মদ নাসিমের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা শুরু হয়।

মোহাম্মদ নাসিমের বাবা জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। আমি যখন দেশে ফিরে আসি তখন একটা প্রচেষ্টা ছিল এই শহীদ পরিবারগুলোর ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে নিয়ে আসা। আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত ও শক্তিশালী করা। এ কাজ করতে গিয়ে নাসিম ভাইকে সব সময় আমার পাশে পেয়েছি।’

এ সময় বিভিন্ন শাসনামলে মোহাম্মদ নাসিমের ওপরে নি’র্যাত’নের বর্ণনা করতে গিয়ে বারবার আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘খুব দুঃখজনক… আসলে আমার জন্য খুব কষ্টকর হচ্ছে বলতে, এভাবে সবাইকে হারানো খুবই দুঃখজনক।’ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি (দেশে ফিরে) আসার পর থেকেই আব্দুল্লাহ সাহেবকে পেয়েছি, মনি (শেখ ফজলুল হক মনি) ভাইয়ের সঙ্গে তিনি ছিলেন। আমার নির্বাচন পরিচালনাই শুধু নয়, আমার নির্বাচনী এলাকার সম্পূর্ণ দেখাশোনা তাকে করতে হতো। রাজনীতিতে অনেক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে গোপালগঞ্জবাসী। যখনই যারা ক্ষমতায় এসেছে, সেটা জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া; তাদের যেন একটা লক্ষ্যই ছিল গোপালগঞ্জের ওপরে হাত দেওয়ার চেষ্টা। আমাদের বহু নেতাকর্মী নি’র্যাতিত হয়েছেন, তাদের ওপর অকথ্য অ’ত্যাচার হয়েছে। সেই দুঃসময়গুলিতে সংগঠনকে ধরে রাখা, সংগঠনের নেতাকর্মীদের দিকে নজর দেওয়া, এ কাজগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে গেছেন আব্দুল্লাহ সাহেব।’