ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

টেকনাফে অপহরণের শিকার ৬ কৃষক, উদ্ধারে গহীন পাহাড়ে পুলিশের অভিযান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০ ১১৫ বার পড়া হয়েছে

টেকনাফে রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিম বেপরোয়া

টেকনাফ প্রতিনিধি, 

টেকনাফে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে ৬ কৃষককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে অভিযান শুরু করেছে।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার এলাকায় গতকাল গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা প্রথমে ৬ জনকে কৃষককে অপহরণ করে। পরে খাদ্য-সামগ্রীর বিনিময়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিন কৃষককে মুক্তি দেয়। আর বাকিদের পাহাড়ের গহীনে নিয়ে যায়।

জানা যায়, গত রাতে (২৯ এপ্রিল) মিনাবাজার হ্যাডম্যানের ঘোনায় ৬ জন কৃষক ধান ক্ষেতে কাজ করছিল। এ সময় সশস্ত্র একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী তাদের অপহরণ করেন।

অপহৃতরা হলেন, কৃষক আবুল হাশেম ও তার দুই পুত্র জামাল এবং রিয়াজুদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র শাহেদ (২৫), মৌলভী আবুল কাছিমের পুত্র আকতারুল্লাহ (২৪) ও মৃত মোহাম্মদ কাশেমের পুত্র ইদ্রিস।

সেখান থেকে চাল ও অন্যান্য খাদ্য-সামগ্রীর বিনিময়ে হাসেমসহ তার দুইপুত্রকে ছেড়ে দিলেও বাকি তিন জনের ছেড়ে দেয়নি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। অপহৃত শাহেদের মোবাইল থেকে তার পরিবারের নিকট ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গহীন পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখেন। একটি পাহাড়ের হাকিম ডাকাতের আস্তানার সন্ধান পেলেও তাদের পাওয়া যায়নি। অপহৃতদের উদ্ধার না হওয়া ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আটক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানা গেছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তার ঘোনায় (হ্যাডম্যান ঘোনায়) কৃষকরা কাজ করছিলেন। এ সময় সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে। তিনজনকে খাদ্য সামগ্রীর বিনিময়ে মুক্তি দিলেও তার আত্মীয় শাহদের মোবাইল থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। অন্যথায় তাকে মেরা ফেরার হুমকি দেন।

একাধিক স্থানীয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সদস্য মনে করছেন অপহরণকারীদের নেতৃত্বে কুখ্যাত হাকিম ডাকাত রয়েছে। তিনি শুধু এই অপহরণ নয়, তার আগে স্কুল শিক্ষার্থীসহ নানা পেশাজীবীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি হারুনুর রশিদ সিকদার জানিয়েছেন, এই খবর পাওয়া মাত্র প্রশাসনসহ বিভিন্ন এজেন্সিকে অবগত করা হয়েছে। অপহৃতদের দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক মশিউর জানান, প্রধান সড়ক থেকে ৪ কিলোমিটার পাহাড়ে ঢুকে ৬ দল করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। একটি গহীন পাহাড়ে ডাকাতদের কিছু আলামত পাওয়া গেছে। সেই খানে জবাইকৃত গরুর মাংস, রান্নার উপকরণ ও মানুষ আটকানোর কিছু কৌশলী যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

টেকনাফে অপহরণের শিকার ৬ কৃষক, উদ্ধারে গহীন পাহাড়ে পুলিশের অভিযান

আপডেট সময় : ০৮:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০

টেকনাফ প্রতিনিধি, 

টেকনাফে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে ৬ কৃষককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে অভিযান শুরু করেছে।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার এলাকায় গতকাল গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা প্রথমে ৬ জনকে কৃষককে অপহরণ করে। পরে খাদ্য-সামগ্রীর বিনিময়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিন কৃষককে মুক্তি দেয়। আর বাকিদের পাহাড়ের গহীনে নিয়ে যায়।

জানা যায়, গত রাতে (২৯ এপ্রিল) মিনাবাজার হ্যাডম্যানের ঘোনায় ৬ জন কৃষক ধান ক্ষেতে কাজ করছিল। এ সময় সশস্ত্র একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী তাদের অপহরণ করেন।

অপহৃতরা হলেন, কৃষক আবুল হাশেম ও তার দুই পুত্র জামাল এবং রিয়াজুদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র শাহেদ (২৫), মৌলভী আবুল কাছিমের পুত্র আকতারুল্লাহ (২৪) ও মৃত মোহাম্মদ কাশেমের পুত্র ইদ্রিস।

সেখান থেকে চাল ও অন্যান্য খাদ্য-সামগ্রীর বিনিময়ে হাসেমসহ তার দুইপুত্রকে ছেড়ে দিলেও বাকি তিন জনের ছেড়ে দেয়নি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। অপহৃত শাহেদের মোবাইল থেকে তার পরিবারের নিকট ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গহীন পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখেন। একটি পাহাড়ের হাকিম ডাকাতের আস্তানার সন্ধান পেলেও তাদের পাওয়া যায়নি। অপহৃতদের উদ্ধার না হওয়া ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আটক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানা গেছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তার ঘোনায় (হ্যাডম্যান ঘোনায়) কৃষকরা কাজ করছিলেন। এ সময় সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে। তিনজনকে খাদ্য সামগ্রীর বিনিময়ে মুক্তি দিলেও তার আত্মীয় শাহদের মোবাইল থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। অন্যথায় তাকে মেরা ফেরার হুমকি দেন।

একাধিক স্থানীয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সদস্য মনে করছেন অপহরণকারীদের নেতৃত্বে কুখ্যাত হাকিম ডাকাত রয়েছে। তিনি শুধু এই অপহরণ নয়, তার আগে স্কুল শিক্ষার্থীসহ নানা পেশাজীবীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি হারুনুর রশিদ সিকদার জানিয়েছেন, এই খবর পাওয়া মাত্র প্রশাসনসহ বিভিন্ন এজেন্সিকে অবগত করা হয়েছে। অপহৃতদের দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক মশিউর জানান, প্রধান সড়ক থেকে ৪ কিলোমিটার পাহাড়ে ঢুকে ৬ দল করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। একটি গহীন পাহাড়ে ডাকাতদের কিছু আলামত পাওয়া গেছে। সেই খানে জবাইকৃত গরুর মাংস, রান্নার উপকরণ ও মানুষ আটকানোর কিছু কৌশলী যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।