ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক জসিমের যৌন হায়রানি ও দূর্নীতি পর্ব -১ Logo এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে আলি আখতার হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণ Logo ইবিতে তারুণ্যের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন” Logo স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বেনাপোলে দূর্বার তারুণ্য এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ Logo স্বাস্থ্য বাতায়ন নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পেইন Logo গণপূর্তের দুর্নীতির মহারাজ প্রকৌশলী মহিবুল পর্ব- ১ Logo “দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আতাউস সামাদ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত” Logo হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ Logo ‘ভালো থাকিস সবাই’ স্টোরি দেয়ার পর আত্মহত্যা করেন কুবি শিক্ষার্থী Logo শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের ডন কাজী সাইফুর: রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ রিপ্লেসমেন্ট শেয়ার!




অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় ঢুকছে মানুষ, সঙ্গে নানা অজুহাত ও পুরনো প্রেসক্রিপশন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
ঢাকায় প্রবেশ এবং বের হওয়ায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নানা অজুহাতে মানুষ বের হয়ে আসছে। পাশাপাশি সড়কে বেড়েছে অটোরিকশা এবং পায়ে হাঁটা মানুষের সংখ্যা। কেউ কেউ আবার অ্যাম্বুলেন্সে করেও ঢুকছেন ঢাকায়। এ অবস্থায় হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনী।

অ্যাম্বুলেন্সের এক যাত্রী আরেক যাত্রীকে দেখিয়ে বলেন, অনেক জোরাজুরি করছে তারা। তাই তুলে নিয়েছি।

কুমিল্লা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। সবাই রোগীর আত্মীয় বলে পরিচয় দিলেও চেকপোস্টে বেরিয়ে আসে আসল চিত্র। যাদের মধ্যে একজন এসেছেন ২০১৮ সালের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে।

করোনার সংক্রমণ বাড়লেও মানুষের মধ্যে সেই অর্থে নেই সচেতনতা। কেউ ঢাকা থেকে এসেছেন নারায়ণগঞ্জে কাঁচাবাজার করতে। এছাড়া ব্যক্তিগত পরিবহন, অটোরিকশা আবার কেউ পায়ে হেঁটে ঢাকায় ঢুকছেন। একই চিত্র ছিল রাজধানীর আরেক প্রবেশ পথ গাবতলীতেও।

বাইরে বের হওয়া এক নাগরিক বলেন, আমি বাজারে আসছিলাম। বাচ্চার খাবার নিতে আসছি। আরেক গাড়ির যাত্রী বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে গড়ির মালিক বাজার করতে পাঠিয়েছেন।

পুলিশের চেকপোস্টে যারা সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনী ফিরিয়ে দিচ্ছেন, নিচ্ছেন কঠোর ব্যবস্থাও।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম বলেন, যাদের খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ দরকার আছে। তাদের যেতে দিচ্ছি। আর যাদের প্রয়োজন নেই তাদের ব্যাক করে দিচ্ছি। এছাড়া জরুরি ওষুধ এবং কৃষি পণ্যে ছাড় দেয়া হচ্ছে।

করোনার প্রকোপ রুখতে জরুরি কাজে নিযুক্ত ছাড়া সবাইকে ঢাকায় প্রবেশ এবং বের হওয়া নিয়ে গত ৫ এপ্রিল থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ। করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। গণপরিবহন না থাকলেও পায়ে হেঁটেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্থান পরিবর্তন না করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করলে করোনা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় ঢুকছে মানুষ, সঙ্গে নানা অজুহাত ও পুরনো প্রেসক্রিপশন!

আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
ঢাকায় প্রবেশ এবং বের হওয়ায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নানা অজুহাতে মানুষ বের হয়ে আসছে। পাশাপাশি সড়কে বেড়েছে অটোরিকশা এবং পায়ে হাঁটা মানুষের সংখ্যা। কেউ কেউ আবার অ্যাম্বুলেন্সে করেও ঢুকছেন ঢাকায়। এ অবস্থায় হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনী।

অ্যাম্বুলেন্সের এক যাত্রী আরেক যাত্রীকে দেখিয়ে বলেন, অনেক জোরাজুরি করছে তারা। তাই তুলে নিয়েছি।

কুমিল্লা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। সবাই রোগীর আত্মীয় বলে পরিচয় দিলেও চেকপোস্টে বেরিয়ে আসে আসল চিত্র। যাদের মধ্যে একজন এসেছেন ২০১৮ সালের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে।

করোনার সংক্রমণ বাড়লেও মানুষের মধ্যে সেই অর্থে নেই সচেতনতা। কেউ ঢাকা থেকে এসেছেন নারায়ণগঞ্জে কাঁচাবাজার করতে। এছাড়া ব্যক্তিগত পরিবহন, অটোরিকশা আবার কেউ পায়ে হেঁটে ঢাকায় ঢুকছেন। একই চিত্র ছিল রাজধানীর আরেক প্রবেশ পথ গাবতলীতেও।

বাইরে বের হওয়া এক নাগরিক বলেন, আমি বাজারে আসছিলাম। বাচ্চার খাবার নিতে আসছি। আরেক গাড়ির যাত্রী বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে গড়ির মালিক বাজার করতে পাঠিয়েছেন।

পুলিশের চেকপোস্টে যারা সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনী ফিরিয়ে দিচ্ছেন, নিচ্ছেন কঠোর ব্যবস্থাও।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম বলেন, যাদের খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ দরকার আছে। তাদের যেতে দিচ্ছি। আর যাদের প্রয়োজন নেই তাদের ব্যাক করে দিচ্ছি। এছাড়া জরুরি ওষুধ এবং কৃষি পণ্যে ছাড় দেয়া হচ্ছে।

করোনার প্রকোপ রুখতে জরুরি কাজে নিযুক্ত ছাড়া সবাইকে ঢাকায় প্রবেশ এবং বের হওয়া নিয়ে গত ৫ এপ্রিল থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ। করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। গণপরিবহন না থাকলেও পায়ে হেঁটেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্থান পরিবর্তন না করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করলে করোনা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে।