রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম কর্তৃক নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি: পক্ষপাতদুষ্ট তদন্ত কমিটির ভূমিকা
- আপডেট সময় : ০১:২৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ১৩৭০ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

বিশেষ প্রতিবেদক:
যে দেশে প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে নারীরা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন, সেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে নারীর প্রতি যৌন হয়রানির এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক ও ন্যক্কারজনক।
রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র আইসিটি সিস্টেমস বিভাগের একজন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের (ডিজিএম) বিরুদ্ধে তার নারী সহকর্মীকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। তবে এখানেই শেষ নয় — বরং অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিটিই এখন ‘মরার উপর ঘোড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির কয়েকজন সদস্য অভিযোগকারী নারী কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করেন। এই প্রক্রিয়ার অডিও ও ভিডিও প্রমাণ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে, যা স্পষ্ট করে যে তদন্ত ছিল পূর্বনির্ধারিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর অভিযুক্ত ডিজিএম বিভিন্ন মহলের প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করেন। তিনি নিজের জেলা কুমিল্লার এক সিনিয়র সাংবাদিকের মাধ্যমে সংবাদ প্রচারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালান। অভিযোগ রয়েছে, অর্থ, সুবিধা ও পদোন্নতির প্রলোভন দেখিয়ে সংবাদটি থামাতে চেয়েছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা।
ভিকটিম নারী কর্মকর্তা প্রতিবেদককে জানান, অভিযুক্ত ডিজিএম দীর্ঘদিন ধরে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। তিনি বলেন, “আমি বিচার চাইলে অফিসে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু হয়। তদন্ত কমিটি পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করে।”
এ ধরনের ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, নারীর নিরাপত্তা শুধু নীতিগত বক্তব্যে সীমাবদ্ধ — বাস্তবে এখনও প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীরা সুরক্ষিত নন। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না আসা অত্যন্ত হতাশাজনক।
এবিষয়ে সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকার সংগঠনের সাথে মতামত গ্রহণকালে তারা দাবি করেন, অভিযুক্ত ডিজিএম এবং তার সহযোগী তদন্ত কমিটির সদস্যদের অবিলম্বে সাময়িক বরখাস্ত করতে হবে। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করতে হবে। ভিকটিম নারী কর্মকর্তার নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
এখন প্রশ্ন নারীর ক্ষমতায়নের জয়গান যে দেশে নিয়মিত শোনা যায়, সেই দেশেই কেন আজ এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা বারবার ঘটছে, আর বিচারের বদলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে?
#যৌন_হয়রানি_বিরোধী #রূপালী_ব্যাংক #নারীর_নিরাপত্তা #বিচার_চাই #ধর্ষণ_নয়_প্রতিরোধ_চাই
![]()










