ঢাকা ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;   

করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মালিকদের প্রতি আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে এক অডিওবার্তায় মালিকদের প্রতি এ আহ্বান জানিয়ে রুবানা হক বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখতে আপনাদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
রুবানা হক বলেন, ‘শ্রমিক যদি সঙ্গত কারণে কারখানায় উপস্থিত না থাকেন, মানবিক বিবেচনায় তার চাকরিটি হারাবেন না। এটি আমাদের প্রত্যেক সদস্যদের কাছে অনুরোধ করব। আমি আশা করি, এই শিল্পখাত যেটি অর্থনীতিতে এতবড় অবদান রাখে সেই মালিকেরা তাদের শ্রমিকের অনুপস্থিতির কারণে চাকরি না হারান। আশা করি, সদস্যরা এটি শুনবেন এবং আমার অনুরোধটুকু রাখবেন।’
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে। আমাদের কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর আমাদের যে সার্কুলার দিয়েছিলেন তাতে স্পষ্ট করে লেখা আছে যে সমস্ত রপ্তানিমুখী শিল্পে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আছে এবং যারা পিপিই বানাচ্ছে, যাদের উৎপাদন কার্যক্রম চলমান আছে সেই সমস্ত শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে সুনিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। কাজেই আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্বটি হলো, কিভাবে আমরা আমাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তাটি দেব। এটি প্রথম। দ্বিতীয়টি হলো মার্চ মাসের বেতন নিয়ে কোনোরকম অনীহা অনাগ্রহ কোনোকিছুর অবকাশ নেই। মার্চ মাসের বেতন আমাদের শ্রমিকরা পাবেনই। এটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এটি আমাদের যত কষ্ট হোক, যাই হোক আমরা মার্চ মাসের বেতন দেব।’
প্রসঙ্গত, কারখানা চালু রাখার ব্যাপারে শুরু থেকেই অনড় ছিল বিজিএমইএ। এ নিয়ে আজ একাধিকবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজিএমইএ সভাপতি। শনিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অনড় থাকলেও পরে অডিও বার্তায় কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির

আপডেট সময় : ১১:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০

সকালের সংবাদ;   

করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মালিকদের প্রতি আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে এক অডিওবার্তায় মালিকদের প্রতি এ আহ্বান জানিয়ে রুবানা হক বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখতে আপনাদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
রুবানা হক বলেন, ‘শ্রমিক যদি সঙ্গত কারণে কারখানায় উপস্থিত না থাকেন, মানবিক বিবেচনায় তার চাকরিটি হারাবেন না। এটি আমাদের প্রত্যেক সদস্যদের কাছে অনুরোধ করব। আমি আশা করি, এই শিল্পখাত যেটি অর্থনীতিতে এতবড় অবদান রাখে সেই মালিকেরা তাদের শ্রমিকের অনুপস্থিতির কারণে চাকরি না হারান। আশা করি, সদস্যরা এটি শুনবেন এবং আমার অনুরোধটুকু রাখবেন।’
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে। আমাদের কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর আমাদের যে সার্কুলার দিয়েছিলেন তাতে স্পষ্ট করে লেখা আছে যে সমস্ত রপ্তানিমুখী শিল্পে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আছে এবং যারা পিপিই বানাচ্ছে, যাদের উৎপাদন কার্যক্রম চলমান আছে সেই সমস্ত শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে সুনিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। কাজেই আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্বটি হলো, কিভাবে আমরা আমাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তাটি দেব। এটি প্রথম। দ্বিতীয়টি হলো মার্চ মাসের বেতন নিয়ে কোনোরকম অনীহা অনাগ্রহ কোনোকিছুর অবকাশ নেই। মার্চ মাসের বেতন আমাদের শ্রমিকরা পাবেনই। এটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এটি আমাদের যত কষ্ট হোক, যাই হোক আমরা মার্চ মাসের বেতন দেব।’
প্রসঙ্গত, কারখানা চালু রাখার ব্যাপারে শুরু থেকেই অনড় ছিল বিজিএমইএ। এ নিয়ে আজ একাধিকবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজিএমইএ সভাপতি। শনিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অনড় থাকলেও পরে অডিও বার্তায় কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।