ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




পাহাড় কাটলে প্রভাবশালীদেরও ছাড় নেই: পরিবেশমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
পাহাড় কাটাকে ‘সামাজিক ব্যাধি’ হিসেবে উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের প্রভাবশালীদের ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের খুলশীতে পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতবিনিময়ে সভায় মন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে পাহাড়-টিলা কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা চলবে না। লিজ নেওয়া পাহাড়ে অবৈধভাবে স্থাপনা করলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

পাহাড় কাটাকে সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাহাড় কাটলে জমির পরিমাণ বাড়ে না, জমির পরিমাণ উল্টো কমে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সামান্য লোভে যাতে পরিবেশের বড় ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

এছাড়া মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। তাহলে কেউ পরিবেশের ক্ষতি করার সাহস পাবে না। অভিযান করুন, পরিদর্শনে যান। কারখানাগুলো পরিদর্শন করে যারা ক্ষতিকর বর্জ্য নদীতে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয় তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, আইনি বিষয় আইনিভাবে মোকাবেলা করুন। কেউ যদি আদালতের আশ্রয় নেয় তাহলে আপনারাও বসে না থেকে আদালতে যান। সেখানে বিষয়টি সুরাহা করুন। আদালত, সরকার সকলেই পরিবেশবান্ধব এবং পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে সভায় মন্ত্রী বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রচুর ইটভাটা আছে। ক্ষতিকর ইটভাটা বন্ধে সরকার নতুন আইন করছে। পরিবেশবান্ধব ইটভাটা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া মন্ত্রী অধিদফতরের জনবল বাড়ানোর ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীনসহ অনেকে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান, বদরুল হুদাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পাহাড় কাটলে প্রভাবশালীদেরও ছাড় নেই: পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
পাহাড় কাটাকে ‘সামাজিক ব্যাধি’ হিসেবে উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের প্রভাবশালীদের ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের খুলশীতে পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতবিনিময়ে সভায় মন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে পাহাড়-টিলা কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা চলবে না। লিজ নেওয়া পাহাড়ে অবৈধভাবে স্থাপনা করলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

পাহাড় কাটাকে সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাহাড় কাটলে জমির পরিমাণ বাড়ে না, জমির পরিমাণ উল্টো কমে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সামান্য লোভে যাতে পরিবেশের বড় ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

এছাড়া মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। তাহলে কেউ পরিবেশের ক্ষতি করার সাহস পাবে না। অভিযান করুন, পরিদর্শনে যান। কারখানাগুলো পরিদর্শন করে যারা ক্ষতিকর বর্জ্য নদীতে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয় তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, আইনি বিষয় আইনিভাবে মোকাবেলা করুন। কেউ যদি আদালতের আশ্রয় নেয় তাহলে আপনারাও বসে না থেকে আদালতে যান। সেখানে বিষয়টি সুরাহা করুন। আদালত, সরকার সকলেই পরিবেশবান্ধব এবং পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে সভায় মন্ত্রী বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রচুর ইটভাটা আছে। ক্ষতিকর ইটভাটা বন্ধে সরকার নতুন আইন করছে। পরিবেশবান্ধব ইটভাটা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া মন্ত্রী অধিদফতরের জনবল বাড়ানোর ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীনসহ অনেকে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান, বদরুল হুদাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।