ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার




“হর্ন শোনেনি তাই ব্যাচ জিজ্ঞেস করে দুইটা থাপ্পড় দিছি”-নেতা পরাগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৮১ বার পড়া হয়েছে

“হর্ন শোনেনি তাই ব্যাচ জিজ্ঞেস করে দুইটা থাপ্পড় দিছি”-নেতা পরাগ
জবি প্রতিনিধি :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলামকে ক্যাম্পাসে গাড়ির হর্ণ না শোনায় চড়-থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ব্যাচের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী। ঢাকা রিপোর্ট ২৪.কম এ কর্মরত সাংবাদিক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য।

লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, বুধবার বেলা দেড়টায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং (মেইন) গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সময় পিছন থেকে বাইকের হর্ণ দেন পরাগ হোসেন। হর্ণ শুনতে না পাওয়ায় আমাকে ডেকে নিয়ে গালে চড়-থাপ্পর মারেন এবং গালাগালি শুরু করেন তিনি। এসময় পরাগ হোসেন আমাকে সবার সামনে ক্ষমা চাইতে বলেন জোরপূর্বক। কিন্তু ক্ষমা না চাওয়ায় পুনরায় পরাগ আমাকে চড়-থাপ্পর ও কিল-ঘুষি মারেন। এমন ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরাগ হোসেন বলেন, আমি ক্যাম্পাসের ১ নং গেইটে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় হর্ণ দিয়েছি কিন্তু সে হর্ণ শুনেনি। তাই গাড়ি থেকে নেমে কোন ব্যাচ জিজ্ঞেস করে জাস্ট দুইটা থাপ্পর দিয়েছি।
কোন শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার অধিকার আছে কিনা এই প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে। উল্টো আমাকেই সরি বলার জন্য জোর করেছেন। আমি সরি না বলায় আমাকে কলার ধরে বাইকে উঠিয়ে গণিত ভবনের ওইদিকে নিয়ে যান তিনি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন,’অভিযোগ পাইছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




“হর্ন শোনেনি তাই ব্যাচ জিজ্ঞেস করে দুইটা থাপ্পড় দিছি”-নেতা পরাগ

আপডেট সময় : ১০:২১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

“হর্ন শোনেনি তাই ব্যাচ জিজ্ঞেস করে দুইটা থাপ্পড় দিছি”-নেতা পরাগ
জবি প্রতিনিধি :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলামকে ক্যাম্পাসে গাড়ির হর্ণ না শোনায় চড়-থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ব্যাচের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী। ঢাকা রিপোর্ট ২৪.কম এ কর্মরত সাংবাদিক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য।

লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, বুধবার বেলা দেড়টায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং (মেইন) গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সময় পিছন থেকে বাইকের হর্ণ দেন পরাগ হোসেন। হর্ণ শুনতে না পাওয়ায় আমাকে ডেকে নিয়ে গালে চড়-থাপ্পর মারেন এবং গালাগালি শুরু করেন তিনি। এসময় পরাগ হোসেন আমাকে সবার সামনে ক্ষমা চাইতে বলেন জোরপূর্বক। কিন্তু ক্ষমা না চাওয়ায় পুনরায় পরাগ আমাকে চড়-থাপ্পর ও কিল-ঘুষি মারেন। এমন ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরাগ হোসেন বলেন, আমি ক্যাম্পাসের ১ নং গেইটে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় হর্ণ দিয়েছি কিন্তু সে হর্ণ শুনেনি। তাই গাড়ি থেকে নেমে কোন ব্যাচ জিজ্ঞেস করে জাস্ট দুইটা থাপ্পর দিয়েছি।
কোন শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার অধিকার আছে কিনা এই প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে। উল্টো আমাকেই সরি বলার জন্য জোর করেছেন। আমি সরি না বলায় আমাকে কলার ধরে বাইকে উঠিয়ে গণিত ভবনের ওইদিকে নিয়ে যান তিনি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন,’অভিযোগ পাইছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’