ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




টিকটকের লোভে পড়ে বাসা থেকে পালিয়ে কিশোরী গণধর্ষণের শিকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

টিকটক করতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তিনদিন একটি কক্ষে আটকে রেখে গণধর্ষণের শিকার ওই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরে কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার ঢাকার পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- শরিয়তপুর জেলার ডামুড্ডা থানার মোফাজ্জল ব্যাপরীর ছেলে শিশির(১৭), গেন্ডারিয়া ঢাকা জেলার আনোয়ার হোসেন আকাশের ছেলে জুবায়ের ইসলাম ফাহিম(১৭)।

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা কিশোরী টঙ্গীর রিপাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকটক তৈরি করে এমন কিছু বন্ধুদের সঙ্গে ফেইজবুকে পরিচয় হয় নির্যাতিতা ওই কিশোরীর। পরে নিজেদের মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে বিভিন্ন স্থানে থাকা বন্ধুদের এক সঙ্গে টিকটক তৈরির প্রস্তাব দিলে কিশোরী তার পরিবারকে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে গত বুধবার(২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দওপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।

ঘটনার দিন সন্ধায় আটক শিশির ও ফাহিম নির্যাতিতা কিশোরীকে একটি কক্ষ আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা কিশোরীর মা থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরে পুলিশ রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাক এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নির্যাতিতার মা জানায়, সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। ঘটনার দিন বিকেলে নানার বাড়ি যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে থানায় ডায়রি করলে শুক্রবার রাতে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের পরিদর্শক(তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ঘটনায় আরো কয়েকজন জরিত থাকার কথা জানা যায়। থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




টিকটকের লোভে পড়ে বাসা থেকে পালিয়ে কিশোরী গণধর্ষণের শিকার

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

টিকটক করতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তিনদিন একটি কক্ষে আটকে রেখে গণধর্ষণের শিকার ওই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরে কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার ঢাকার পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- শরিয়তপুর জেলার ডামুড্ডা থানার মোফাজ্জল ব্যাপরীর ছেলে শিশির(১৭), গেন্ডারিয়া ঢাকা জেলার আনোয়ার হোসেন আকাশের ছেলে জুবায়ের ইসলাম ফাহিম(১৭)।

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা কিশোরী টঙ্গীর রিপাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকটক তৈরি করে এমন কিছু বন্ধুদের সঙ্গে ফেইজবুকে পরিচয় হয় নির্যাতিতা ওই কিশোরীর। পরে নিজেদের মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে বিভিন্ন স্থানে থাকা বন্ধুদের এক সঙ্গে টিকটক তৈরির প্রস্তাব দিলে কিশোরী তার পরিবারকে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে গত বুধবার(২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দওপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।

ঘটনার দিন সন্ধায় আটক শিশির ও ফাহিম নির্যাতিতা কিশোরীকে একটি কক্ষ আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা কিশোরীর মা থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরে পুলিশ রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাক এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নির্যাতিতার মা জানায়, সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। ঘটনার দিন বিকেলে নানার বাড়ি যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে থানায় ডায়রি করলে শুক্রবার রাতে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের পরিদর্শক(তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ঘটনায় আরো কয়েকজন জরিত থাকার কথা জানা যায়। থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।