ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




টিকটকের লোভে পড়ে বাসা থেকে পালিয়ে কিশোরী গণধর্ষণের শিকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

টিকটক করতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তিনদিন একটি কক্ষে আটকে রেখে গণধর্ষণের শিকার ওই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরে কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার ঢাকার পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- শরিয়তপুর জেলার ডামুড্ডা থানার মোফাজ্জল ব্যাপরীর ছেলে শিশির(১৭), গেন্ডারিয়া ঢাকা জেলার আনোয়ার হোসেন আকাশের ছেলে জুবায়ের ইসলাম ফাহিম(১৭)।

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা কিশোরী টঙ্গীর রিপাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকটক তৈরি করে এমন কিছু বন্ধুদের সঙ্গে ফেইজবুকে পরিচয় হয় নির্যাতিতা ওই কিশোরীর। পরে নিজেদের মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে বিভিন্ন স্থানে থাকা বন্ধুদের এক সঙ্গে টিকটক তৈরির প্রস্তাব দিলে কিশোরী তার পরিবারকে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে গত বুধবার(২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দওপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।

ঘটনার দিন সন্ধায় আটক শিশির ও ফাহিম নির্যাতিতা কিশোরীকে একটি কক্ষ আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা কিশোরীর মা থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরে পুলিশ রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাক এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নির্যাতিতার মা জানায়, সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। ঘটনার দিন বিকেলে নানার বাড়ি যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে থানায় ডায়রি করলে শুক্রবার রাতে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের পরিদর্শক(তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ঘটনায় আরো কয়েকজন জরিত থাকার কথা জানা যায়। থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




টিকটকের লোভে পড়ে বাসা থেকে পালিয়ে কিশোরী গণধর্ষণের শিকার

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

টিকটক করতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তিনদিন একটি কক্ষে আটকে রেখে গণধর্ষণের শিকার ওই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরে কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার ঢাকার পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- শরিয়তপুর জেলার ডামুড্ডা থানার মোফাজ্জল ব্যাপরীর ছেলে শিশির(১৭), গেন্ডারিয়া ঢাকা জেলার আনোয়ার হোসেন আকাশের ছেলে জুবায়ের ইসলাম ফাহিম(১৭)।

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা কিশোরী টঙ্গীর রিপাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকটক তৈরি করে এমন কিছু বন্ধুদের সঙ্গে ফেইজবুকে পরিচয় হয় নির্যাতিতা ওই কিশোরীর। পরে নিজেদের মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে বিভিন্ন স্থানে থাকা বন্ধুদের এক সঙ্গে টিকটক তৈরির প্রস্তাব দিলে কিশোরী তার পরিবারকে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে গত বুধবার(২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দওপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।

ঘটনার দিন সন্ধায় আটক শিশির ও ফাহিম নির্যাতিতা কিশোরীকে একটি কক্ষ আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা কিশোরীর মা থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরে পুলিশ রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাক এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নির্যাতিতার মা জানায়, সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। ঘটনার দিন বিকেলে নানার বাড়ি যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে থানায় ডায়রি করলে শুক্রবার রাতে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের পরিদর্শক(তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ঘটনায় আরো কয়েকজন জরিত থাকার কথা জানা যায়। থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।