ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




বিষাক্ত মদ খেয়ে ৮৬ জনের মৃত্যু!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০২০ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে গত কয়েকদিনে অন্তত ৮৬ জন মারা গেছেন বলে উত্তর ভারতের রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ বলছে।

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সবথেকে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে তরণ-তারাণ, অমৃতসর আর গুরদাসপুর জেলা থেকে। মৃত্যু সবথেকে বেশি হয়েছে তরণ-তারাণ জেলায়। জুলাইয়ের ২৯ তারিখ থেকে ভেজাল মদের মৃত্যুর খবর আসা শুরু হয়।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিষাক্ত মদে মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আবগারি দপ্তরের ৬ জন আর ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন।

বিষাক্ত মদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার সাথে জড়িতদের আটক করতে শনিবার পাঞ্জাবে ১০০’র বেশি অভিযান চালায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। বুধবার রাতে অমৃতসরের মুছাল গ্রাম থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

শুক্রবার রাতে মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ৩৮ জনে আর শনিবার রাতে জানা যায় যে বিষাক্ত মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৮ জনের।

সরকারি কর্মকর্তারা এখন হিসাবও দিতে পারছেন না যে আসলে কত মানুষ ওই মদ পান করে হাসপাতালাতে ভর্তি আছেন।

স্থানীয়ভাবে পাওয়া খবর থেকে ধারণা করা হচ্ছে বিপুল আয়তনে উৎপাদিত অবৈধ মদ রাস্তার পাশে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়, যা পরে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে ধাবাগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে বিষ মদ তৈরির মূল উপাদান ‘লাহান’ জব্দ করেছে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবারই এমন একটি খবর এসেছিল যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে স্যানিটাইজার পান করে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের অনেক জায়গাতেই অবৈধভাবে তৈরি করা মদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অবৈধভাবে তৈরি মদগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের মদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দামের হয়ে থাকে।

অবৈধ মদ উৎপাদনকারীরা অনেকসময় মদের সাথে মেথানল মিশিয়ে থাকে, যেটি অ্যালকোহলের একটি অত্যন্ত বিষাক্ত রূপ।

মেথানল কম পরিমাণ গ্রহণ করলেও এর ফলে যকৃতের পচন থেকে শুরু করে অন্ধত্ব, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ওদিকে বিষাক্ত মদে মানুষের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশোদগার।

বিরোধী শিরোমণি অকালি দল রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের ওপরে দোষ দিচ্ছে। তারা বলছে বিষ-মদ কারবারের সঙ্গে অনেক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জড়িত আছেন।

সত্য খুঁজে বার করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত না করে হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে বলেও শিরোমণি অকালি দল দাবি তুলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিষাক্ত মদ খেয়ে ৮৬ জনের মৃত্যু!

আপডেট সময় : ১১:৩১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০২০

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে গত কয়েকদিনে অন্তত ৮৬ জন মারা গেছেন বলে উত্তর ভারতের রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ বলছে।

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সবথেকে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে তরণ-তারাণ, অমৃতসর আর গুরদাসপুর জেলা থেকে। মৃত্যু সবথেকে বেশি হয়েছে তরণ-তারাণ জেলায়। জুলাইয়ের ২৯ তারিখ থেকে ভেজাল মদের মৃত্যুর খবর আসা শুরু হয়।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিষাক্ত মদে মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আবগারি দপ্তরের ৬ জন আর ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন।

বিষাক্ত মদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার সাথে জড়িতদের আটক করতে শনিবার পাঞ্জাবে ১০০’র বেশি অভিযান চালায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। বুধবার রাতে অমৃতসরের মুছাল গ্রাম থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

শুক্রবার রাতে মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ৩৮ জনে আর শনিবার রাতে জানা যায় যে বিষাক্ত মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৮ জনের।

সরকারি কর্মকর্তারা এখন হিসাবও দিতে পারছেন না যে আসলে কত মানুষ ওই মদ পান করে হাসপাতালাতে ভর্তি আছেন।

স্থানীয়ভাবে পাওয়া খবর থেকে ধারণা করা হচ্ছে বিপুল আয়তনে উৎপাদিত অবৈধ মদ রাস্তার পাশে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়, যা পরে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে ধাবাগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে বিষ মদ তৈরির মূল উপাদান ‘লাহান’ জব্দ করেছে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবারই এমন একটি খবর এসেছিল যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে স্যানিটাইজার পান করে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের অনেক জায়গাতেই অবৈধভাবে তৈরি করা মদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অবৈধভাবে তৈরি মদগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের মদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দামের হয়ে থাকে।

অবৈধ মদ উৎপাদনকারীরা অনেকসময় মদের সাথে মেথানল মিশিয়ে থাকে, যেটি অ্যালকোহলের একটি অত্যন্ত বিষাক্ত রূপ।

মেথানল কম পরিমাণ গ্রহণ করলেও এর ফলে যকৃতের পচন থেকে শুরু করে অন্ধত্ব, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ওদিকে বিষাক্ত মদে মানুষের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশোদগার।

বিরোধী শিরোমণি অকালি দল রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের ওপরে দোষ দিচ্ছে। তারা বলছে বিষ-মদ কারবারের সঙ্গে অনেক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জড়িত আছেন।

সত্য খুঁজে বার করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত না করে হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে বলেও শিরোমণি অকালি দল দাবি তুলেছে।