ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গোপালগঞ্জে ‘নৌকার দুর্গ’ ভাঙার চ্যালেঞ্জে বিএনপি Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১)

বিষাক্ত মদ খেয়ে ৮৬ জনের মৃত্যু!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০২০ ২৬০ বার পড়া হয়েছে

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে গত কয়েকদিনে অন্তত ৮৬ জন মারা গেছেন বলে উত্তর ভারতের রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ বলছে।

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সবথেকে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে তরণ-তারাণ, অমৃতসর আর গুরদাসপুর জেলা থেকে। মৃত্যু সবথেকে বেশি হয়েছে তরণ-তারাণ জেলায়। জুলাইয়ের ২৯ তারিখ থেকে ভেজাল মদের মৃত্যুর খবর আসা শুরু হয়।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিষাক্ত মদে মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আবগারি দপ্তরের ৬ জন আর ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন।

বিষাক্ত মদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার সাথে জড়িতদের আটক করতে শনিবার পাঞ্জাবে ১০০’র বেশি অভিযান চালায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। বুধবার রাতে অমৃতসরের মুছাল গ্রাম থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

শুক্রবার রাতে মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ৩৮ জনে আর শনিবার রাতে জানা যায় যে বিষাক্ত মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৮ জনের।

সরকারি কর্মকর্তারা এখন হিসাবও দিতে পারছেন না যে আসলে কত মানুষ ওই মদ পান করে হাসপাতালাতে ভর্তি আছেন।

স্থানীয়ভাবে পাওয়া খবর থেকে ধারণা করা হচ্ছে বিপুল আয়তনে উৎপাদিত অবৈধ মদ রাস্তার পাশে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়, যা পরে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে ধাবাগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে বিষ মদ তৈরির মূল উপাদান ‘লাহান’ জব্দ করেছে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবারই এমন একটি খবর এসেছিল যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে স্যানিটাইজার পান করে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের অনেক জায়গাতেই অবৈধভাবে তৈরি করা মদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অবৈধভাবে তৈরি মদগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের মদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দামের হয়ে থাকে।

অবৈধ মদ উৎপাদনকারীরা অনেকসময় মদের সাথে মেথানল মিশিয়ে থাকে, যেটি অ্যালকোহলের একটি অত্যন্ত বিষাক্ত রূপ।

মেথানল কম পরিমাণ গ্রহণ করলেও এর ফলে যকৃতের পচন থেকে শুরু করে অন্ধত্ব, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ওদিকে বিষাক্ত মদে মানুষের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশোদগার।

বিরোধী শিরোমণি অকালি দল রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের ওপরে দোষ দিচ্ছে। তারা বলছে বিষ-মদ কারবারের সঙ্গে অনেক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জড়িত আছেন।

সত্য খুঁজে বার করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত না করে হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে বলেও শিরোমণি অকালি দল দাবি তুলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

বিষাক্ত মদ খেয়ে ৮৬ জনের মৃত্যু!

আপডেট সময় : ১১:৩১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০২০

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে গত কয়েকদিনে অন্তত ৮৬ জন মারা গেছেন বলে উত্তর ভারতের রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ বলছে।

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সবথেকে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে তরণ-তারাণ, অমৃতসর আর গুরদাসপুর জেলা থেকে। মৃত্যু সবথেকে বেশি হয়েছে তরণ-তারাণ জেলায়। জুলাইয়ের ২৯ তারিখ থেকে ভেজাল মদের মৃত্যুর খবর আসা শুরু হয়।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিষাক্ত মদে মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আবগারি দপ্তরের ৬ জন আর ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন।

বিষাক্ত মদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার সাথে জড়িতদের আটক করতে শনিবার পাঞ্জাবে ১০০’র বেশি অভিযান চালায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। বুধবার রাতে অমৃতসরের মুছাল গ্রাম থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

শুক্রবার রাতে মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ৩৮ জনে আর শনিবার রাতে জানা যায় যে বিষাক্ত মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৮ জনের।

সরকারি কর্মকর্তারা এখন হিসাবও দিতে পারছেন না যে আসলে কত মানুষ ওই মদ পান করে হাসপাতালাতে ভর্তি আছেন।

স্থানীয়ভাবে পাওয়া খবর থেকে ধারণা করা হচ্ছে বিপুল আয়তনে উৎপাদিত অবৈধ মদ রাস্তার পাশে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়, যা পরে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে ধাবাগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে বিষ মদ তৈরির মূল উপাদান ‘লাহান’ জব্দ করেছে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবারই এমন একটি খবর এসেছিল যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে স্যানিটাইজার পান করে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের অনেক জায়গাতেই অবৈধভাবে তৈরি করা মদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অবৈধভাবে তৈরি মদগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের মদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দামের হয়ে থাকে।

অবৈধ মদ উৎপাদনকারীরা অনেকসময় মদের সাথে মেথানল মিশিয়ে থাকে, যেটি অ্যালকোহলের একটি অত্যন্ত বিষাক্ত রূপ।

মেথানল কম পরিমাণ গ্রহণ করলেও এর ফলে যকৃতের পচন থেকে শুরু করে অন্ধত্ব, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ওদিকে বিষাক্ত মদে মানুষের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশোদগার।

বিরোধী শিরোমণি অকালি দল রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের ওপরে দোষ দিচ্ছে। তারা বলছে বিষ-মদ কারবারের সঙ্গে অনেক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জড়িত আছেন।

সত্য খুঁজে বার করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত না করে হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে বলেও শিরোমণি অকালি দল দাবি তুলেছে।