ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




এবার বিনামূল্যে জামা-জুতাও পাবে শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯ ১৩১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে খাতা, কলম, জামা (স্কুল ড্রেস) ও জুতাসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও আনুষঙ্গিক উপকরণও বিনামূল্যে পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এসব উপকরণ দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং উপকরণের অভাবে যাতে কোনও শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই পরিকল্পনা।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিশুরা যাতে স্কুলের প্রতি মনোযোগী হয়, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে সে লক্ষ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় শিশুদের খাতা, কলম, জুতাসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ দেওয়া হবে।’
সূত্র বলছে, এ বছরই এ-সংক্রান্ত প্রকল্প তৈরি করে তা চূড়ান্ত করা হবে। এটি অনুমোদন পেলে ২০২০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের এসব উপকরণ সরবরাহ করা হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টেকসই উন্নয়নে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঝরে পড়া রোধ ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দেওয়ার উদ্যোগ আগেই নেয় মন্ত্রণালয়। এ জন্য শুধু বিস্কুট নয়, পুষ্টিমান বিবেচনা করে সারাদেশের সব শিক্ষার্থীর জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এবার শিক্ষার্থীদের জন্য খাতা, কলম, জামা ও জুতাসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও আনুষঙ্গিক উপকরণ দিতে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য শিশুদের যা প্রয়োজন হবে, তার সবই দেওয়া হবে বছরের শুরুতে নির্দিষ্ট একটি সময়ে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, প্রাথমিক শিক্ষা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। তাই দেশের একটি শিশুও যেন প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বাদ না পড়ে সেটিই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য। আর এটির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য সামনে রখে।
তবে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সবই পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছে। কোনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।’
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ২০১০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া শুরু করে। এ শিক্ষাবর্ষে (২০১৯) বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২টি নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করে সরকার।
এছাড়া ২০১১ সালের অক্টোবরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ ও তাদের বিদ্যালয়মুখী করতে ‘মিড-ডে মিল’ (বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার) নামে একটি কার্যক্রম চালু করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের জন্য জাতীয় নীতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
বিনামূল্যের পাঠ্যবই এবং মিড-ডে মিল চালুর পর খাতা, কলম, জামা ও জুতাসহ অন্যান্য উপকরণও দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রকল্প শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এবার বিনামূল্যে জামা-জুতাও পাবে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৯:০৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে খাতা, কলম, জামা (স্কুল ড্রেস) ও জুতাসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও আনুষঙ্গিক উপকরণও বিনামূল্যে পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এসব উপকরণ দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং উপকরণের অভাবে যাতে কোনও শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই পরিকল্পনা।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিশুরা যাতে স্কুলের প্রতি মনোযোগী হয়, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে সে লক্ষ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় শিশুদের খাতা, কলম, জুতাসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ দেওয়া হবে।’
সূত্র বলছে, এ বছরই এ-সংক্রান্ত প্রকল্প তৈরি করে তা চূড়ান্ত করা হবে। এটি অনুমোদন পেলে ২০২০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের এসব উপকরণ সরবরাহ করা হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টেকসই উন্নয়নে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঝরে পড়া রোধ ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দেওয়ার উদ্যোগ আগেই নেয় মন্ত্রণালয়। এ জন্য শুধু বিস্কুট নয়, পুষ্টিমান বিবেচনা করে সারাদেশের সব শিক্ষার্থীর জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এবার শিক্ষার্থীদের জন্য খাতা, কলম, জামা ও জুতাসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও আনুষঙ্গিক উপকরণ দিতে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য শিশুদের যা প্রয়োজন হবে, তার সবই দেওয়া হবে বছরের শুরুতে নির্দিষ্ট একটি সময়ে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, প্রাথমিক শিক্ষা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। তাই দেশের একটি শিশুও যেন প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বাদ না পড়ে সেটিই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য। আর এটির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য সামনে রখে।
তবে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সবই পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছে। কোনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।’
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ২০১০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া শুরু করে। এ শিক্ষাবর্ষে (২০১৯) বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২টি নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করে সরকার।
এছাড়া ২০১১ সালের অক্টোবরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ ও তাদের বিদ্যালয়মুখী করতে ‘মিড-ডে মিল’ (বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার) নামে একটি কার্যক্রম চালু করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের জন্য জাতীয় নীতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
বিনামূল্যের পাঠ্যবই এবং মিড-ডে মিল চালুর পর খাতা, কলম, জামা ও জুতাসহ অন্যান্য উপকরণও দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রকল্প শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।