ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




বয়স্ক ভাতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন একজন সাবেক ইউপি মেম্বর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ; 
একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বলাবাড়িয়া গ্রামের মনিক চন্দ্র সানা। তার জন্ম ১৯৩১ সালের ২২ অক্টোবর। সেই হিসেবে তার বয়স প্রায় ৮৭ বছর। দু’বছর ধরে সমাজসেবা অফিসে ঘুরাঘুরি করেও তিনি একটি বয়স্ক ভাতা পাননি। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী চন্দ্র মল্লিকা সাহানীকে খুঁজে হয়রান হয়ে অবশেষে বাসায় ফিরে আসেন। তার দেখা না পেয়ে তিনি নিজের বাসার গেটের পাশে ঘাসের ওপর শুয়ে পড়েন।

তিনি জানান, যৌবনকালে ৮০ দশকে তিনবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলাম। ৩ ছেলের মধ্যে দুটো থাকে ভারতে। একটি ছেলে (খগেন্দ্র) সামান্য জমিতে মাছের ঘের করলেও বাগদায় ভাইরাস লাগায় সেও অর্থনৈতিকভাবে একেবারেই শুন্যের কোঠায় নেমেছে ফলে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রায় দু’বছর ধরে সমাজসেবা অফিসে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ঘুরছি। অফিসের লোকেরা দু’বার আমার আইডি কার্ডের (৮৭১০৪১৭৬৯৬৩৬৭) ফটোকপি নিয়েছেন কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আজও কার্ড করে দেননি শুধুই ঘুরাচ্ছেন। এই রোদের প্রায় ৭ কিলোমিটার পথ হেটে এই অফিসে এসেছিলাম। মাত্র দশ টাকা পকেটে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। একদিকে দুপুরের ঝাঁ ঝাঁ রোদ অন্যদিকে ক্ষুধায় মাথা ঘুরছে তাই চন্দ্র মল্লিকার বাসার সামনে ঘাসের ওপর শুয়ে পড়েছিলাম।

তিনি বলেন, হোটেলে গিয়েছিলাম ভাত খেতে। ১০ টাকায় ডাল-ভাতও হয় না, তাই চলে এসেছি। পরিস্থিতি আর নিয়তি এখানে নিয়ে এসেছে। অসহায় ছেলের বোঝা হয়ে থাকতে বড় কষ্ট হয়। এ ব্যাপারে উপস্থিত সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানান।

তিনি জানান, মানিক চন্দ্র সানা তালিকা জমা দেওয়ার পর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বরও মানিক চন্দ্র সানার নাম তালিকাভূক্ত করেননি। তাকে বলেছি এর পরের তালিকায় অবশ্যই তার নাম দেব।

সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী হুমায়ন কবীর জানান, ওই বৃদ্ধের নাম তার ওয়ার্ডের প্রতিনিধি আমাদের দেননি। আমরা চেষ্টা করছি কোনও ভাবে তাকে সহযোগিতা করা যায় কিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বয়স্ক ভাতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন একজন সাবেক ইউপি মেম্বর

আপডেট সময় : ১১:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৯

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ; 
একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বলাবাড়িয়া গ্রামের মনিক চন্দ্র সানা। তার জন্ম ১৯৩১ সালের ২২ অক্টোবর। সেই হিসেবে তার বয়স প্রায় ৮৭ বছর। দু’বছর ধরে সমাজসেবা অফিসে ঘুরাঘুরি করেও তিনি একটি বয়স্ক ভাতা পাননি। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী চন্দ্র মল্লিকা সাহানীকে খুঁজে হয়রান হয়ে অবশেষে বাসায় ফিরে আসেন। তার দেখা না পেয়ে তিনি নিজের বাসার গেটের পাশে ঘাসের ওপর শুয়ে পড়েন।

তিনি জানান, যৌবনকালে ৮০ দশকে তিনবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলাম। ৩ ছেলের মধ্যে দুটো থাকে ভারতে। একটি ছেলে (খগেন্দ্র) সামান্য জমিতে মাছের ঘের করলেও বাগদায় ভাইরাস লাগায় সেও অর্থনৈতিকভাবে একেবারেই শুন্যের কোঠায় নেমেছে ফলে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রায় দু’বছর ধরে সমাজসেবা অফিসে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ঘুরছি। অফিসের লোকেরা দু’বার আমার আইডি কার্ডের (৮৭১০৪১৭৬৯৬৩৬৭) ফটোকপি নিয়েছেন কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আজও কার্ড করে দেননি শুধুই ঘুরাচ্ছেন। এই রোদের প্রায় ৭ কিলোমিটার পথ হেটে এই অফিসে এসেছিলাম। মাত্র দশ টাকা পকেটে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। একদিকে দুপুরের ঝাঁ ঝাঁ রোদ অন্যদিকে ক্ষুধায় মাথা ঘুরছে তাই চন্দ্র মল্লিকার বাসার সামনে ঘাসের ওপর শুয়ে পড়েছিলাম।

তিনি বলেন, হোটেলে গিয়েছিলাম ভাত খেতে। ১০ টাকায় ডাল-ভাতও হয় না, তাই চলে এসেছি। পরিস্থিতি আর নিয়তি এখানে নিয়ে এসেছে। অসহায় ছেলের বোঝা হয়ে থাকতে বড় কষ্ট হয়। এ ব্যাপারে উপস্থিত সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানান।

তিনি জানান, মানিক চন্দ্র সানা তালিকা জমা দেওয়ার পর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বরও মানিক চন্দ্র সানার নাম তালিকাভূক্ত করেননি। তাকে বলেছি এর পরের তালিকায় অবশ্যই তার নাম দেব।

সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী হুমায়ন কবীর জানান, ওই বৃদ্ধের নাম তার ওয়ার্ডের প্রতিনিধি আমাদের দেননি। আমরা চেষ্টা করছি কোনও ভাবে তাকে সহযোগিতা করা যায় কিনা।