ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




খেজুরে পোকা, মেয়াদ শেষ দুই বছর আগে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯ ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

কার্টনে লেখা ইরাকের ডেট ক্রাউন খেজুর। মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ২০২০ সালে। তবে কার্টনগুলো খুলে পাওয়া গেল পচা, গলা খেজুর। হাঁটতে দেখা গেল পোকা। শুধু তাই নয় অনেক খেজুরের প্যাকেজিং এর তারিখ দেওয়া ১০ মে, ২০১৯। যা আজ থেকে ৩ দিনের অগ্রিম! কিছু কিছু খেজুরের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছরও পার হয়ে গেছে!

পুরান ঢাকার বাদামতলীর শাহজাদা মিয়া লেন (খেজুর গলি) একটি গুদামের চিত্র এটি। মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানের গুদাম এটি।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গুদামটিতে ঢুকতে গেলে মালিক বা কাউকে পাওয়া যায়নি। তালা মারা দরজা খুলতে আসেনি কেউ। দরজায় তালা ভেঙে গোডাউনে প্রবেশ করে র‌্যাব।

র‌্যাবের অভিযানে দেখা গেল গুদামে শত শত নতুন ও খালি কার্টন রাখা হয়েছে। পুরনো কার্টনের খেজুরগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তাই সেগুলো নতুন কার্টন ঢুকানোর প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

গোডাউনে ডেট ক্রাউন নামে একটি খেজুরের কার্টন পাওয়া গেছে যার মেয়াদ এপ্রিল মাসেই শেষ হয়ে গেছে। সারওয়ার আলম বলেন, এসব কার্টনের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ এপ্রিল লেখা থাকলেও এগুলো দেড় বছর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণের। এখানে মেয়াদোত্তীর্ণ স্টিকার ও কার্টন পরিবর্তন করা হয়।

এরপর অভিযান চালানো হয় সেই গুদামের মালিক মো. রুবেলের মা এন্টারপ্রাইজের শোরুমে। সেখানে গিয়ে পুরনো খেজুর নতুন কার্টনে দেখা যায়। এছাড়াও সেখানে একটি খেজুরের গায়ে প্যাকেজিংয়ের তারিখ ১০ মে উল্লেখ করা যায়, যা আসতে আরও ৩ দিন বাকি! তাইয়েবা ডেট ফ্যাক্টরির এসব খেজুরের প্যাকেটে ব্যবহার করা হয়েছে ভুয়া কিউআর কোড।

সারোয়ার আলম বলেন, এখানে শত শত খালি কার্টন রাখা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরগুলোকে ঢোকানোর জন্য এখানে রাখা হয়েছে। এগুলো পচা-গলা, ভেতরে পোকা চলাফেরা করছে। এগুলোর মান নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা খেজুরের কার্টনগুলো কেটে ডেট সিরাপ স্প্রে করে। মানহীন এসব খেজুরে স্প্রে ব্যবহার করে খাওয়ার পরদিনই ডায়রিয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, আগে এসব খেজুর কোল্ড স্টোরেজে (হিমাগারে) রাখা হতো। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়েছি। তাই তারা গরমে এভাবে গুদামে খেজুর রেখেছে। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া অভিযান চলছে। অভিযান শেষে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানিয়ে দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




খেজুরে পোকা, মেয়াদ শেষ দুই বছর আগে

আপডেট সময় : ০৩:২৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;

কার্টনে লেখা ইরাকের ডেট ক্রাউন খেজুর। মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ২০২০ সালে। তবে কার্টনগুলো খুলে পাওয়া গেল পচা, গলা খেজুর। হাঁটতে দেখা গেল পোকা। শুধু তাই নয় অনেক খেজুরের প্যাকেজিং এর তারিখ দেওয়া ১০ মে, ২০১৯। যা আজ থেকে ৩ দিনের অগ্রিম! কিছু কিছু খেজুরের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছরও পার হয়ে গেছে!

পুরান ঢাকার বাদামতলীর শাহজাদা মিয়া লেন (খেজুর গলি) একটি গুদামের চিত্র এটি। মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানের গুদাম এটি।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গুদামটিতে ঢুকতে গেলে মালিক বা কাউকে পাওয়া যায়নি। তালা মারা দরজা খুলতে আসেনি কেউ। দরজায় তালা ভেঙে গোডাউনে প্রবেশ করে র‌্যাব।

র‌্যাবের অভিযানে দেখা গেল গুদামে শত শত নতুন ও খালি কার্টন রাখা হয়েছে। পুরনো কার্টনের খেজুরগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তাই সেগুলো নতুন কার্টন ঢুকানোর প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

গোডাউনে ডেট ক্রাউন নামে একটি খেজুরের কার্টন পাওয়া গেছে যার মেয়াদ এপ্রিল মাসেই শেষ হয়ে গেছে। সারওয়ার আলম বলেন, এসব কার্টনের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ এপ্রিল লেখা থাকলেও এগুলো দেড় বছর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণের। এখানে মেয়াদোত্তীর্ণ স্টিকার ও কার্টন পরিবর্তন করা হয়।

এরপর অভিযান চালানো হয় সেই গুদামের মালিক মো. রুবেলের মা এন্টারপ্রাইজের শোরুমে। সেখানে গিয়ে পুরনো খেজুর নতুন কার্টনে দেখা যায়। এছাড়াও সেখানে একটি খেজুরের গায়ে প্যাকেজিংয়ের তারিখ ১০ মে উল্লেখ করা যায়, যা আসতে আরও ৩ দিন বাকি! তাইয়েবা ডেট ফ্যাক্টরির এসব খেজুরের প্যাকেটে ব্যবহার করা হয়েছে ভুয়া কিউআর কোড।

সারোয়ার আলম বলেন, এখানে শত শত খালি কার্টন রাখা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরগুলোকে ঢোকানোর জন্য এখানে রাখা হয়েছে। এগুলো পচা-গলা, ভেতরে পোকা চলাফেরা করছে। এগুলোর মান নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা খেজুরের কার্টনগুলো কেটে ডেট সিরাপ স্প্রে করে। মানহীন এসব খেজুরে স্প্রে ব্যবহার করে খাওয়ার পরদিনই ডায়রিয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, আগে এসব খেজুর কোল্ড স্টোরেজে (হিমাগারে) রাখা হতো। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়েছি। তাই তারা গরমে এভাবে গুদামে খেজুর রেখেছে। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া অভিযান চলছে। অভিযান শেষে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানিয়ে দেয়া হবে।