২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার স্টেডিয়াম “লুসাইল”

- আপডেট সময় : ০২:০২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ নুর ইসলাম শেখ, দোহা, কাতার থেকে: ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের পর্দা নেমেছে। চার বছর পর ২০২২ সালে আবার উঠবে বিশ্বকাপের পর্দা। সেবার আয়োজক দেশ কাতার বিশ্বকে চমকে দিতে নিচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তাদের দাবি, এটিই হতে চলেছে ইতিহাসের সবচেয়ে জাকজমকপূর্ণ ও দামি ফুটবল আসর। ফুটবল বিশ্বকে নতুন নতুন চমক দিতে বহু পরিকল্পনা সাজাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি, যার মধ্যে তাদের অনিন্দ্য সুন্দর স্টেডিয়ামগুলো হতে চলেছে সবচেয়ে বড় চমক।
গত বছর কাতার সেই স্টেডিয়ামের নকশা প্রকাশ করেছে যেখানে চার বছর পরে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী এবং ফাইনাল খেলা হবে। ২০২২ সালের এই বিশ্বকাপ হবে মধ্যপ্রাচ্যে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ।
৮০ হাজার আসনের লুসাইল স্টেডিয়ামে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিও খেলা হবে।
লুসাইল স্টেডিয়ামটি রাজধানী দোহা থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে সেন্ট্রাল দোহার লুসাইল এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে। এজন্য এর নাম দেয়া হয়েছে লুসাইল স্টেডিয়াম।
লুসাইল স্টেয়িামের ডিজাইন করেছেন ব্রিটিশ ফার্ম ‘ফস্টার’। তাদের সঙ্গে কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্টেডিয়ামটিতে আরব ঐতিহ্যের আভা দিতে এর সামনের অংশে সোনালি রং দিয়ে আরব্য সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্টেডিয়ামটি যৌথভাবে নির্মাণ করছে কাতারি ফার্ম ‘এইচবিকে কনস্ট্রাকটিং কম্পানি’ এবং ‘চায়না রেইলওয়ে কন্সট্রাকশন করপোরেশন’।
হাসান আল থাওয়াদী বলেন, ৮ বছর আগে (২০১০ সালে) সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কাতারে ২০২২ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এখন আমরা বলছি, গোটা বিশ্ব আমাদের আয়োজন দেখে অবাক হবে। লুসাইল স্টেডিয়ামটি তৈরির জন্য প্রায় ২৬ হাজার কর্মী সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এতে মোট খরচ হচ্ছে ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২২ সালে খেলা শেষ হবার পর লুসিয়াম স্টেডিয়ামটি একটি ‘কমিউনিটি স্পেস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তখন এর মধ্যে স্কুল, মার্কেট, ক্যাফে, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ করা হবে বলে এসসির পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।