ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জেলা জজের দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo সাবেক ছাত্রদল নেতা জসীম উদ্দীনের খালার বনশ্রীর বাসায় সন্ত্রাসীদের হামলা Logo জুড়ি বিএনপির সভাপতি সেলিম’র অশ্লীল কথোপকথনের অডিও ভাইরাল Logo কাস্টমস কমিশনার মাহবুবুর রহমানের শত কোটি টাকার সাম্রাজ্য: দুদকের প্রশ্নবিদ্ধ নীরবতা! Logo ফায়ার সার্ভিসে চাকুরী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ Logo ডিজিটাল ও আধুনিক সেবায় অনন্য ডেমরা ভূমি অফিস Logo সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলায় ডিইউজের উদ্বেগ Logo জাতীয় কবি নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকীতে জিয়া শিশুকিশোর মেলার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল Logo “ফায়ার সার্ভিসে দুর্নীতির সিন্ডিকেট: ডিজি জাহিদ কামালের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ”- প্রথম পর্ব Logo অর্থপাচার বিরোধী অভিযানে সাফল্যে ষড়যন্ত্রের টার্গেটে বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুল ইসলাম

আওয়ামী দোসর ফজলুল হক (মধু) শত কোটি টাকার মালিক: তবুও ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫ ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তর মানেই যেন অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়া—এ অভিযোগ নতুন নয়। পিওন থেকে শুরু করে প্রকৌশলী, সবার নামই এসেছে নানা কেলেঙ্কারিতে। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো, অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে অধিকাংশ কর্মকর্তাই থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তেমনই এক নাম মো. ফজলুল হক (মধু), বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (উন্নয়ন)। নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় ভূয়া বিল উত্তোলন, টেন্ডার বাণিজ্য, কমিশনের বিনিময়ে অগ্রিম বিল প্রদানসহ অসংখ্য অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এমনকি কাজ না করেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল দেওয়ার মতো দুর্নীতি তার নেতৃত্বেই চলেছে দীর্ঘদিন।

জিকে শামীমসহ প্রভাবশালী ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন ফজলুল হক। আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল প্রকল্পে তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ১০ কোটির বিল প্রদানের অভিযোগ উঠে। দুদকের অনুসন্ধান শুরু হলেও পরে রহস্যজনকভাবে তা ধামাচাপা পড়ে যায়।

সব অভিযোগ সত্ত্বেও তাকে পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসানো হয়। ফলে দুর্নীতির উৎসব আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে গণপূর্তের উন্নয়ন শাখায়। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর গুলশান, মিরপুর, বনশ্রীসহ বিভিন্ন স্থানে জমি, ফ্ল্যাট আর প্লটের মালিক হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ৩০ কোটি টাকার এফডিআরও রয়েছে তার।

কর্মকর্তাদের মতে, ফজলুল হক মধুর মতো দুর্নীতিবাজদের কারণে সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপেক্ষিত আর অবহেলিত হয়ে পড়েছেন।
তার সম্পদের বিস্তারিত হিসাব দ্বিতীয় পর্বে প্রকাশ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আওয়ামী দোসর ফজলুল হক (মধু) শত কোটি টাকার মালিক: তবুও ধরাছোঁয়ার বাইরে

আপডেট সময় : ০৫:২৫:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তর মানেই যেন অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়া—এ অভিযোগ নতুন নয়। পিওন থেকে শুরু করে প্রকৌশলী, সবার নামই এসেছে নানা কেলেঙ্কারিতে। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো, অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে অধিকাংশ কর্মকর্তাই থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তেমনই এক নাম মো. ফজলুল হক (মধু), বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (উন্নয়ন)। নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় ভূয়া বিল উত্তোলন, টেন্ডার বাণিজ্য, কমিশনের বিনিময়ে অগ্রিম বিল প্রদানসহ অসংখ্য অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এমনকি কাজ না করেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল দেওয়ার মতো দুর্নীতি তার নেতৃত্বেই চলেছে দীর্ঘদিন।

জিকে শামীমসহ প্রভাবশালী ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন ফজলুল হক। আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল প্রকল্পে তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ১০ কোটির বিল প্রদানের অভিযোগ উঠে। দুদকের অনুসন্ধান শুরু হলেও পরে রহস্যজনকভাবে তা ধামাচাপা পড়ে যায়।

সব অভিযোগ সত্ত্বেও তাকে পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসানো হয়। ফলে দুর্নীতির উৎসব আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে গণপূর্তের উন্নয়ন শাখায়। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর গুলশান, মিরপুর, বনশ্রীসহ বিভিন্ন স্থানে জমি, ফ্ল্যাট আর প্লটের মালিক হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ৩০ কোটি টাকার এফডিআরও রয়েছে তার।

কর্মকর্তাদের মতে, ফজলুল হক মধুর মতো দুর্নীতিবাজদের কারণে সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপেক্ষিত আর অবহেলিত হয়ে পড়েছেন।
তার সম্পদের বিস্তারিত হিসাব দ্বিতীয় পর্বে প্রকাশ করা হবে।