ডিজিটাল ও আধুনিক সেবায় অনন্য ডেমরা ভূমি অফিস

- আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫ ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিজিটাল ও হয়রানিমুক্ত সেবায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ডেমরা ভূমি অফিস। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন ২০২৫ সালের ২৪ এপ্রিল যোগদানের পর থেকেই এ অফিসে বদলে গেছে কাজের ধারা। জমির নামজারি, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও মিসকেস নিষ্পত্তি—সবখানেই এসেছে দ্রুততা ও স্বচ্ছতা।
জাকির হোসেন জানান, মানুষের ভোগান্তি কমানোই তার মূল লক্ষ্য। দালাল ও অসাধু কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্য যে কারণে ভূমি অফিস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল, তা ভেঙে ইতোমধ্যেই আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ভূমিদস্যু জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে নামজারি করতে চাইছে। এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ডেমরা ভূমি অফিস এখন পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল। প্রবেশপথে ফ্লো চার্ট ও সিটিজেন চার্টার টানানো রয়েছে। এতে নামজারি, খতিয়ান উত্তোলন, খাস জমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন সেবার খরচ ও প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে লেখা আছে। ফলে সেবাগ্রহীতারা আগেই তথ্য জেনে সহজে কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন।
সেবাগ্রহীতাদের ভাষায়, আগের তুলনায় এখন নামজারি ও জমি খারিজের প্রক্রিয়া অনেক সহজ। আগে যেখানে ছয় মাস থেকে এক বছর লাগত, এখন তা হচ্ছে মাত্র ২৮ দিনে। এসিল্যান্ড স্যার সরাসরি সমস্যা শোনেন এবং দ্রুত সমাধান করেন—এমন মন্তব্য করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী।
কর্মকর্তা হিসেবে মো. জাকির হোসেন পরিচিত সততা, নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার জন্য। বিসিএস ৩৭তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই কয়েক হাজার নামজারি ও শতাধিক মিসকেস নিষ্পত্তি করেছেন। তবে এরই মধ্যে ভূমিদস্যু ও স্বার্থান্বেষী মহলের বিরাগভাজনও হয়েছেন তিনি। তার সাফল্যে ক্ষুব্ধ একটি চক্র মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সুনাম ক্ষুণ্নের চেষ্টা করছে।
ডেমরা রাজস্ব সার্কেলের আয়তন ৩১ বর্গকিলোমিটার। এর অধীনে রয়েছে ২টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস—ডেমরা (মাতুয়াইল) ও নন্দীপাড়া। সার্কেলে মোট মৌজা ২৭টি, দাগ সংখ্যা ১,৬৬,৫৬১ এবং খতিয়ান সংখ্যা ৫৩,২৬৫। মোট জমির পরিমাণ ১১ হাজার ২৯১ একর, এর মধ্যে কৃষিজমি ৯২৩৭ একর এবং খাস জমি ৫৬৫ একর।
ভূমি সংরক্ষণ, ভিপি ও অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, নামজারি, জমা খারিজ, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়—সব ক্ষেত্রেই ডেমরা ভূমি অফিস এখন আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দিচ্ছে। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও জটিলতার জায়গা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে এই কার্যালয় দ্রুতই একটি আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে।