ঢাকা ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

জনমতকে ডোন্ট কেয়ার

‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ ২৮০ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

নুসরাত ফারিয়ারা লেন্স ক্যামেরার রঙ্গিন দুনিয়ার বাইজি মাত্র। বিএনপি, আওয়ামীলীগ, জঙ্গিলিগ, ডান- বাম যারাই তাদেরকে ডাকবে তাদের কাছেই ছুটে যাবে। রাজনৈতিক একাধিক পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে ‘রাষ্ট্রবিরোধী সিদ্ধান্ত- করিডর, বন্দর বর্গা, ফারুকীর মত স্বৈরাচারের দোসর-শেখ হাসিনার চাটুকার, শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে এক চাটিয়া নির্বাচনের দোসর প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের বহাল ও সঙ্গী করে অন্তর্বর্তী সরকারের লোক দেখানো ‘নুসরাত ফারিয়েদের মত বাইজি অভিযান কেমন নতুন বন্দোবস্ত’? 

এসব ফারিয়াদের থেকেও বড় বড় রাঘববোয়াল আওয়ামীলীগের দোসররা এই সমাজে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথে মিলেমিশে একাকার।সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে দুলছেন। তাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারেই নিশ্চুপ। এমনকি আওয়ামী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনায় চিহ্নিত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী প্রকৌশলীরা আছেন আরামছে বহাল।

এছাড়াও বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী নিয়ন্ত্রিত একচেটিয়া নির্বাচন করতে প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা যেসব দোসর কর্মকর্তারা সহায়তা করেছেন। সরকারি বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা যারা শেখ হাসিনার বাপ-মা দাদা-দাদি সহ চৌদ্দ পুরুষের বন্দনা করেছেন তারা এখনও বহাল রয়েছে, সরকারি অর্থ খরচ করে আলোকসজ্জা র‍্যালি সহ সংবাদ মাধ্যমের পাতায় শুভকামনা আর স্মরণের বুলি উড়িয়েছেন। তাদেরকে  না ধরে চুনোপুটি বাইজি ধরার অভিযানের রহস্য কি?

রাজনৈতিক সকল দল মত ও আদর্শের মানুষ এমনকি দেশের আপামর জনসাধারণ সেখানে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে সেখানে সরকারি মদদেও পাতানো আন্দোলন করার অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। সেই আন্দোলনে রাজধানী ঢাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছিল। যা স্মরণকালের ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।

ওদিকে বন্দর রক্ষণাবেক্ষণ বিদেশিদের হাতে বর্গা দেয়ার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ইচ্ছা ছিল সেটাকে এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রচুর ধকল নিচ্ছে। দেশের সকল সংবাদ মাধ্যম টকশো জুড়ে বন্দর ও কারিগর নিয়ে তুমুল কথোপকথন চলছে। অপরদিকে রাখাইন রাজ্যে মানবিক কারিডরের নামে বিদেশীদের হাতে দেশের সার্বভৌম তুলে দিয়ে হুমকির যে খেলা চলছে সেটাও সর্ব মহলে সমালোচিত কিন্তু তাতে সরকারের কর্ণপাত নেই একদম।

এসব আলোচনা ছড়িয়ে ‘দেশ পরিচালনার দায়িত থাকা অনেকেই নাকি বিদেশি নাগরিক’ এমন বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন সরকারের পক্ষ থেকে কোন উত্তর নেই। রাষ্ট্রের মন্ত্রী পদমর্যাদায় থাকা এবং প্রতিরক্ষা- সার্বভৌমত্বের দায়িত্বে থাকা সেসব ব্যক্তিরা বিদেশি অন্য রাষ্ট্রের আনুগত্য প্রকাশ করে নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন তাদের হাতে এই রাষ্ট্র কতটুকু নিরাপদ? এসব অভিযোগ তুলেছেন ছোট বড় বেশকিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এতসব অভিযোগের পরেও অন্তর্বর্তী সরকার যেন ”ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ আসিফের এই ভাইরাল গান ফুল ভিলিয়ামে মগ্ন হয়ে শুনছেন। এতসব আলোচনা সমালোচনার মুখে টকশো আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন দেশের সকল জনগণের তাদেরকে এই ম্যান্ডেড দিয়েছে। এনিয়ে দেশের বেশকিছু সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় এই সরকারকে দেশের সকল সিদ্ধান্ত নিতে ম্যান্ডেট দিয়েছে। কোন পক্ষের সাথে আলোচনা ছাড়াই কিভাবে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

যে যাই বলুক আলোচনা সমালোচনা যত যাই হোক সরকার কোন প্রকার সমালোচনার গাঙ্গে নাও না ভাসিয়ে সরকার চলচেন তো চলছেন। দল মত নির্বিশেষে অনেকেই সরকারের এই ডোন্ট কেয়ার ভঙ্গিকে স্বৈরাচার হাসিনার পূর্ববর্তী সময় একঘেয়েমি সকল সিদ্ধান্তের সঙ্গেও তুলনা করছেন।

চব্বিশের উত্তাল জুলাইয়ে সারাদেশের রাজপথে ছাত্র-জনতা তাজা রক্ত ঢেলে অকুতোভয় বীর শহীদদের জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার পতন পরবর্তী যে পরিবর্তন শুরু হয়েছে তাতে যেন আশার গুড়ে বালি” অন্তর্ভুক্তি সরকারের অসংখ্য সুনামের অবদান/ সফলতাকে গুটিকয়েক বিতর্কিত বিষয়বস্তুতে যেন ঢাকা না পড়ে। সেই বিষয়ে সরকার সচেষ্ট হলেই দেশের মঙ্গল হবে মনে করি।

মোঃ হাফিজুর রহমান শফিক
সাংবাদিক ও সমালোচক।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জনমতকে ডোন্ট কেয়ার

‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’

আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

নুসরাত ফারিয়ারা লেন্স ক্যামেরার রঙ্গিন দুনিয়ার বাইজি মাত্র। বিএনপি, আওয়ামীলীগ, জঙ্গিলিগ, ডান- বাম যারাই তাদেরকে ডাকবে তাদের কাছেই ছুটে যাবে। রাজনৈতিক একাধিক পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে ‘রাষ্ট্রবিরোধী সিদ্ধান্ত- করিডর, বন্দর বর্গা, ফারুকীর মত স্বৈরাচারের দোসর-শেখ হাসিনার চাটুকার, শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে এক চাটিয়া নির্বাচনের দোসর প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের বহাল ও সঙ্গী করে অন্তর্বর্তী সরকারের লোক দেখানো ‘নুসরাত ফারিয়েদের মত বাইজি অভিযান কেমন নতুন বন্দোবস্ত’? 

এসব ফারিয়াদের থেকেও বড় বড় রাঘববোয়াল আওয়ামীলীগের দোসররা এই সমাজে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথে মিলেমিশে একাকার।সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে দুলছেন। তাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারেই নিশ্চুপ। এমনকি আওয়ামী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনায় চিহ্নিত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী প্রকৌশলীরা আছেন আরামছে বহাল।

এছাড়াও বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী নিয়ন্ত্রিত একচেটিয়া নির্বাচন করতে প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা যেসব দোসর কর্মকর্তারা সহায়তা করেছেন। সরকারি বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা যারা শেখ হাসিনার বাপ-মা দাদা-দাদি সহ চৌদ্দ পুরুষের বন্দনা করেছেন তারা এখনও বহাল রয়েছে, সরকারি অর্থ খরচ করে আলোকসজ্জা র‍্যালি সহ সংবাদ মাধ্যমের পাতায় শুভকামনা আর স্মরণের বুলি উড়িয়েছেন। তাদেরকে  না ধরে চুনোপুটি বাইজি ধরার অভিযানের রহস্য কি?

রাজনৈতিক সকল দল মত ও আদর্শের মানুষ এমনকি দেশের আপামর জনসাধারণ সেখানে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে সেখানে সরকারি মদদেও পাতানো আন্দোলন করার অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। সেই আন্দোলনে রাজধানী ঢাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছিল। যা স্মরণকালের ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।

ওদিকে বন্দর রক্ষণাবেক্ষণ বিদেশিদের হাতে বর্গা দেয়ার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ইচ্ছা ছিল সেটাকে এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রচুর ধকল নিচ্ছে। দেশের সকল সংবাদ মাধ্যম টকশো জুড়ে বন্দর ও কারিগর নিয়ে তুমুল কথোপকথন চলছে। অপরদিকে রাখাইন রাজ্যে মানবিক কারিডরের নামে বিদেশীদের হাতে দেশের সার্বভৌম তুলে দিয়ে হুমকির যে খেলা চলছে সেটাও সর্ব মহলে সমালোচিত কিন্তু তাতে সরকারের কর্ণপাত নেই একদম।

এসব আলোচনা ছড়িয়ে ‘দেশ পরিচালনার দায়িত থাকা অনেকেই নাকি বিদেশি নাগরিক’ এমন বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন সরকারের পক্ষ থেকে কোন উত্তর নেই। রাষ্ট্রের মন্ত্রী পদমর্যাদায় থাকা এবং প্রতিরক্ষা- সার্বভৌমত্বের দায়িত্বে থাকা সেসব ব্যক্তিরা বিদেশি অন্য রাষ্ট্রের আনুগত্য প্রকাশ করে নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন তাদের হাতে এই রাষ্ট্র কতটুকু নিরাপদ? এসব অভিযোগ তুলেছেন ছোট বড় বেশকিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এতসব অভিযোগের পরেও অন্তর্বর্তী সরকার যেন ”ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ আসিফের এই ভাইরাল গান ফুল ভিলিয়ামে মগ্ন হয়ে শুনছেন। এতসব আলোচনা সমালোচনার মুখে টকশো আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন দেশের সকল জনগণের তাদেরকে এই ম্যান্ডেড দিয়েছে। এনিয়ে দেশের বেশকিছু সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় এই সরকারকে দেশের সকল সিদ্ধান্ত নিতে ম্যান্ডেট দিয়েছে। কোন পক্ষের সাথে আলোচনা ছাড়াই কিভাবে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

যে যাই বলুক আলোচনা সমালোচনা যত যাই হোক সরকার কোন প্রকার সমালোচনার গাঙ্গে নাও না ভাসিয়ে সরকার চলচেন তো চলছেন। দল মত নির্বিশেষে অনেকেই সরকারের এই ডোন্ট কেয়ার ভঙ্গিকে স্বৈরাচার হাসিনার পূর্ববর্তী সময় একঘেয়েমি সকল সিদ্ধান্তের সঙ্গেও তুলনা করছেন।

চব্বিশের উত্তাল জুলাইয়ে সারাদেশের রাজপথে ছাত্র-জনতা তাজা রক্ত ঢেলে অকুতোভয় বীর শহীদদের জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার পতন পরবর্তী যে পরিবর্তন শুরু হয়েছে তাতে যেন আশার গুড়ে বালি” অন্তর্ভুক্তি সরকারের অসংখ্য সুনামের অবদান/ সফলতাকে গুটিকয়েক বিতর্কিত বিষয়বস্তুতে যেন ঢাকা না পড়ে। সেই বিষয়ে সরকার সচেষ্ট হলেই দেশের মঙ্গল হবে মনে করি।

মোঃ হাফিজুর রহমান শফিক
সাংবাদিক ও সমালোচক।

Loading