ডেসকো মাফিয়া
স্বৈরাচারের দোসর জুলাই বিপ্লবে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আরিফুল ধরা ছোঁয়ার বাইরে!!
- আপডেট সময় : ০৯:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১৯ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":975534,"total_draw_actions":3,"layers_used":2,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1,"draw":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
নিজস্ব প্রতিনিধি: ফ্যাসিস্ট আওয়ামী প্রশাসনের সহায়তায় দুর্নীতি ও লুটপাট প্রমোশন, নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য , সোলার ও সাবস্টেশন ব্যবসা সহ নতুন কানেকশন সব কিছুই চলতো ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিঃ – ডেসকো বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা আরিফুল ইসলাম শিমুল এর ইশারায়। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সহ তার সকল মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় ক্যাডাররা পালাতক থাকলেও জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতার বিপক্ষে রাজপথে সক্রিয় থেকে ছাত্র হত্যা মামলার আসামী আরিফুল ইসলাম শিমুল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নিজ কার্যালয় অফিস করায় চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে সকলেরই একটি প্রশ্ন আরিফুলের খুটির জোর কোথায়?
অনুসন্ধানে দেখা যায় ২০০৮ সালে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী লিঃ (ডেসকো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে চাকুরিতে যোগদান করেন মাদারিপুর জেলাধীন ডাসার থানার বড়ধুনিয়া গ্রামের আবদুর রহমান শরীফের ছেলে আরিফুল ইসলাম শিমুল। খুব কম সময়ের ব্যবধানেই জড়িয়ে পরেন বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতিতে, আর সে অনিয়ম চালিয়ে যেতেই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ডেসকো শাখার সাধারন সম্পাদক পদটি বাগিয়ে নেন। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি আরিফুলের জোট বাধেন ডেসকোর জিএম মামুনের রশিদের সাথে। বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, পাওয়ার সেক্টর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স ফোরাম এর সাধারন সম্পাদক পদ দখল করে বেপরোয়া হয়ে উঠে আরিফুল। নিয়োগ, বদলী ও পদোন্নতি সবই হতো আরিফুল ও জিএম মামুনুর রশিদের সিন্ডিকেট এর ইশারায়। চাকুরির বয়স পেরিয়ে গেলো ডেসকোতে আরিফুলের আপন ভাই সহ আত্মীয়দের চাকুরি দিয়েছে বিভিন্ন পদে যারা এখনো বহালতবিয়তে। সোলার, ও সাবষ্টেশন ব্যাবসার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। নামে বে নামে ঢাকায় জমি, ফ্লাট সহ বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন।২০২২ সালে বিদুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বিল্লাল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী। অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিলেও তা আর আলোরমুখ দেখেনি। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতার আন্দোলন দমাতে রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর ও বাড্ডা এলাকায় টাকা বিলিয়েছেন। নিজে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলা করে একজন কে হত্যা মামলার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাথে ৩৪নং এজাহারভুক্ত আসামী আরিফুল ইসলাম। কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও জি এম মামুনুর রশিদের আশ্রয় নিয়মিত অফিস করছেন উত্তরা জোনে। অবৈধ আয়ের টাকা দিয়ে অনেক কে ম্যানেজ করে এখন বিএনপি সাজতে ব্যাস্ত হয়ে বিভিন্ন নেতার কাছে ঘুর ঘুর করার অভিযোগ উঠেছে। আরিফুল ইসলাম ও জি এম মামুনুর রশিদের দীর্ঘ সময়ের এ শক্তিশালী সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে কথা বলতে এখনও ভয়ে অস্থির থাকে অনেকে।
এবিষয় মন্তব্য জানতে আরিফুল ইসলামের মুঠোফোন নাম্বারের কথা বলার সময় প্রতিবেদককে জানান, আমি নেতা ছিলাম। একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। কিন্তু কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলাম না। আমাকে কেউ ফাঁসানোর জন্য মামলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এই সময় তিনি সংবাদ প্রকাশ না করতেও প্রতিবেদককে অনুরোধ জানান।
পরবর্তীতে আরিফুর রহমানের ভাগিনা পরিচয় দৈনিক প্রাণের বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার পরিচয়ে ইমরান নামে একজন +880 1816-462263 নাম্বার থেকে সকালের সংবাদ এর সম্পাদকের নাম্বারের ফোন দিয়ে উক্ত সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ করেন।