নতুন ওসি আসছে তাই ধর্ষণ মামলা নেয়নি পুলিশ: বের করে দেওয়া হল নারীকে

- আপডেট সময় : ০৭:১৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ: থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ যোগদান করেছেন, এমন অবস্থায় ধর্ষনচেষ্টার মামলা নিলে নবাগত ওসির সম্মানহানী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তাই ধর্ষনচেষ্টার ঘটনার ভুক্তভোগী এক নারীকে কয়েকঘন্টা বসিয়ে রেখে মামলা না নিয়ে থানা থেকে বেড় করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানির কোতয়ালী থানায়। এ বিষয়ে ওই ভুক্তভোগী নারী সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বুধবার (৬ডিসেম্বর) রাত ৯টায় বাবুবাজার এলাকার একটি ভবনে ডেকে নিয়ে এক নারীকে ৪-৫জন মিলে মারধর ও ধর্ষনের চেষ্টা করেন। এসময় ঐ নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে গুরুত্বর অসুস্থবস্থায় মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শনিবার (৯ডিসেম্বর)_তার ৮টার কোতয়ালী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় ওই নারীকে রাত ৮টা থেকে ১ পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রেখে মামলা না নিয়ে তাকে বেড় করে দেওয়া হয়। এসময় থানা পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে জানায়, থানায় নতুন ওসি যোগদান করেছেন, যদি ধর্ষণের মামলা নেওয়া হয় তাহলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জবাব দিতে হবে এতে তার (ওসি) সম্মানহানীকর ক্ষতি সাধন হওয়ার সম্ভবনা থাকায় মামলা নেওয়া হবে না বলে তাকে তারিয়ে দেওয়া হয়।
পরদিন রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় পুনরায় কোতয়ালী থানায় গিয়ে অফিসার ইনচার্জ এর সাথে দেখা করে ভুক্তভোগী নারী। ঘটনাস্থলে একটি আবাসিক হোটেলে হওয়ায় এসময় অফিসার ইনচার্জ ওই নারীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। এছারাও অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা ভুক্তভোগী নারীকে জানায়, ঘটনার সাথে জড়িতরা অনেক প্রভাবশালী এবং থানা পুলিশের সাথে তাদের আগে থেকেই সুমম্পর্ক রয়েছে। তাই মামলা নেওয়া যাবে না।
অভিযোগের বিষয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমি আসলামই ৯তারিখ। এমন কোন ঘটনা কোতয়ালী থানাতে হয়নি। কাউকে বেড় করে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কোন ঘটনার সত্যতা থাকলে অবশ্যই মামলা হবে।
ভুক্তভোগী ওই নারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, অভিযুক্তদের সাথে তার পুর্বপরিচয় ছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে। সেই মামলা মীমাংসার কথা বলে ভুক্তভোগী নারীকে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষনের চেষ্টা চালানো হয়। থানা পুলিশের সাথে তাদের আগে থেকেই সুসম্পর্ক থাকায় পুলিশ মামলা না নিয়ে কয়েকঘন্টা বসিয়ে রেখে থানা থেকে বেড় করে দেয় পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও ডিএমপি সদর দপ্তরে একটি লিখিত অভযোগ দায়ের করেছেন তিনি।