বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট
- আপডেট সময় : ০৬:০০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ৬২৪ বার পড়া হয়েছে
বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের কাজলাকাঠী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মোঃ সুমন হাওলাদার (৩৮) কে মারধর ও জিম্মি করে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘরের ভিতরে ঢুকে মারধর করে নগদ ৪ লাখ টাকা ও নগদ- বিকাশ এজেন্ট সিম ফোনসহ সবকিছু লুটপাট করে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় এজাহার দায়ের করা হলেও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। একই এলাকার বাসিন্দা আজাহার আলী খানের ছেলে মোঃ সিরাজ খান (৫০), পিতাঃ মোঃ আজাহার আলী খান এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সূত্র জানায়।
ভুক্তভুগী পল্লী চিকিৎসক সুমন হাওলাদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যারা এই কাজ করেছে তারা একই এলাকার ও পাশাপাশি বাড়ীর লোক। বিবাদীরা পরস্পর একই বংশের লোক। আসামিরা অনেক খারাপ প্রকৃতির মানুষ। তারা এলাকায় অনেক অপরাধের সাথে যুক্ত। ওরা আমার বাসায় ঢুকে ভাঙচুর করে আমার সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়।
মামলার এজহারে বাদি পল্লী চিকিৎসক সুমন হাওলাদার কর্তৃক উল্লেখ সুত্রে জানা যায়, বিবাদীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের পারিবারিক ও জমিজমার বিষয় নিয়া বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধীয় বিষয় নিয়া বিবাদীরা ইতিপূর্বে জমিজমার বিরোধীয় বিষয় নিয়া আমাদের মারধর করিয়া আহত করিয়াছে। উক্ত বিরোধীয় বিষয় নিয়া আমরা উভয় পক্ষ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে একাধিকবার আপোষ-মীমাংসা হইবার চেষ্টা করিলেও বিবাদীরা অপরাগতা স্বীকার করায় স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসা করা সম্ভব হয় নাই। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ইং ১৫/১১/২০২৩ তারিখ রোজ বুধবার দুপুর আনুমানিক ০১.৪৫ ঘটিকার সময় ০১ নং বিবাদী মোঃ সিরাজ খান এর সহিত আমার চাচা ০১ নং সাক্ষী মোঃ সোবাহান হাওলাদার এর সহিত জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া কথা কাটাকাটি ও তর্ক-বিতর্কের ঘটনা ঘটে। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ০১ নং বিবাদী আমার চাচা ০১ নং সাক্ষীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধর করিবার জন্য উদ্যত হয়। আমার চাচা ০১ নং সাক্ষীর ডাকচিৎকার শুনিয়া আমি আগাইয়া গেলে সকল বিবাদীরা আমাকে ও ০১ নং সাক্ষীকে মারধর করিবার জন্য আগাইয়া আসিলে আমি প্রানের ভয়ে আমার চাচা ০১ নং সাক্ষীকে নিয়া দোউড়াইয়া আমার বসত ঘরের মধ্যে ঢুকিয়া দরজা বন্ধ করিয়া দিলে সকল বিবাদীরা বে-আইনী জনতাবদ্ধে দাঁ ও লাঠিসোঠা নিয়া বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন ০৩ নং দাড়িয়াল ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর কাজলাকাঠী সাকিনের আমার বসত ঘরের দরজা ভাঙ্গিয়া বসত ঘরের মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমাকে ও আমার চাচা ০১ নং সাক্ষীকে বিবাদীদের হাতে থাকা লাঠিসোঠা দ্বারা এলোপাথাড়ী পিটাইয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা ও বেদনাদায়ক জখম করে। আমার ও আমার চাচা ০১ নং সাক্ষীর ডাকচিৎকার শুনিয়া আমার মা ০২ নং সাক্ষী মোসাঃ হনুফা বেগম আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লাঠিসোঠা দ্বারা আমার মা ০১ নং সাক্ষীকে এলোপাথাড়ী পিটাইয়া আমার মায়ের শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা ও বেদনাদায়ক জখম করে এবং ০১ নং বিবাদী আমার মা ০১ নং সাক্ষীর পরিধেয় কাপড়-চোপড় ধরিয়া টানাহেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। একপর্যায়ে ০৩ নং বিবাদী মোঃ মাইনুল ইসলাম আমার বসত ঘরের মধ্যে খাটের বালিশের পাশে থাকা একটি ব্যাগে বিকাশ-নগদের ব্যবসার কাজে থাকা নগদ ৩,৯৪,৬২১/-(তিন লক্ষ চুরানব্বই হাজার ছয়শত একুশ) টাকা নিয়া দৌড়াইয়া বাহির হইয়া যায়। আমি সহ ০১ ও ০২ নং সাক্ষীদ্বয়ের ডাকচিৎকার শুনিয়া উল্লেখিত অন্যান্য সাক্ষীগন সহ আশপাশের বহু লোকজন আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদীরা আগত সাক্ষীদের মোকাবেলায় পরবর্তীতে সুযোগমতো পাইলে আমাদের হাত-পা ভাঙ্গিয়া দিবে, খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া দিবে, আমাদের জমিজমা জোরপূর্বক ভোগদখল করিবে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিবে বলিয়া বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া আমাদের বসত ঘর হইতে চলিয়া যায়।
এই ঘটনার বিষয়ে জানতে বাকেরগঞ্জ থানার ওসির ফোন নাম্বারে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।