সারাদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নকল এসি সরবরাহ: অর্থ খরচ করেন সরকার পতনের আন্দোলনে!

- আপডেট সময় : ১২:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

অপরাধ প্রতিবেদক: আবুল হোসেন যিনি গণপূর্ত অধিদপ্তর, পুলিশ, পৌরসভা ও সরকারি হাসপাতালের মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকারী ঠিকাদার হিসাবে বেশ পরিচিত। সরকার বিরোধী বিএনপি জামাতের অনুসারী আবুল হোসেন এয়ারকন্ডিশন টেম্পারিং করে নিম্নমানের পণ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন অপরদিকে ভেজাল পণ্যে প্রতারণা করে অবৈধ অর্জিত এসব টাকা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে ব্যয় করছেন।
বায়তুল মোকারম মার্কেটে (এয়ারকন্ডিশন) এসির ব্যাবসায়ী আবুল হোসেন একজন কট্টর সরকার বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও অসাধু ও দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে নকল ও ভেজাল জাম্পারিং করা এসি প্রায় ৩৩ টি জেলায় সরকারি দপ্তর সমূহের সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব অবৈধ অর্থের অধিকাংশই তিনি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকান্ডে খরচ করেন বলে জানা গেছে। ট্যাম্পারিং করে নকল এসি তৈরি করে জামালপুর গনপূর্ত, পোরসভা, পুলিশ লাইন সহ ৩৩ জেলার পৌরসভা গণপূর্ত সহ সরকারি দপ্তরে প্রায় ৫০ কোটি টাকার নকল এসি সরবরাহ করেন।
রাজধানীর বাইতুল মোকাররম সংলগ্ন মার্কেটের আশেপাশে নকল এয়ারকন্ডিশন (এসি) বাজারজাত করার সিন্ডিকেটের অন্যতম আবুল হোসেন। চায়না থেকে এলসি মাধ্যমে আমদানি করা এসব এয়ারকন্ডিশন এর গায়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে চড়া মূল্যে বাজারজাত করছে। যা খোদ সরকারের সাথেই প্রতারনার শামিল। এছাড়াও প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা তেমনি ভোক্তাদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে, ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। নানা সময়ে নিম্নমানের ত্রুটিপূর্ণ এসব এসি বিস্ফোরণ হয়ে ঘটছে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা।
মোটা অংকের মুনাফার আশায় চক্রটি এসব এয়ারকন্ডিশন সারা দেশে বাজারজাত করে আসছে। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে চক্রটি। এই চক্রের প্রধান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকার আবুল হোসেন।
বছরের পর বছর এমন প্রতারণা ও ঢাক বাজির মাধ্যমে এসি টাম্পারিং ও প্রতারক চক্রের অন্যতম আবুল হোসেন শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পাশে নিচতলায় ১২/ডি এবিএম ইলেকট্রনিক্স শোরুমের আড়ালে চলে এসব চায়না থেকে আমদানি করা সাদা এয়ার কন্ডিশনের গায়ে বিভিন্ন ধরনের নামিদামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহের কাজ। এসব নিম্নমানের এয়ারকন্ডিশন/ এসি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চক্রটি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পগুলোতে সরবরাহ ঠিকাদারি করে আসছে।
প্রতারক এয়ারকন্ডিশন ব্যবসায়ী আবুল হোসেন দেশের স্বাস্থ্য খাতের আস্থা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও সরবরাহ করেছে এসব নকল এসি। এসব নকল এসি যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের জীবনে ঘটতে পারে রোগের চেয়েও দুর্বিষহ আঘাত।
সারা দেশের ঠিকাদারদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন আবুল হোসেন। তাদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র নিয়ে ব্র্যান্ডের এসির আড়ালে নকল এসিতে স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহ করে দেন কম দামে।
অভিযুক্ত আবুল হোসেন জিমনেসিয়াম, গির্জা, প্যাগোডা,
জেলা উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বেসরকারি ক্লিনিক, বহুতলবিশিষ্ট মার্কেট, শপিংমল, স্কুল কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, বিপণিবিতান, বাসাবাড়ি এমনকি ফাস্টফুডের দোকানগুলোতেও এখন হর হামেশাই এসব নকল এয়ারকন্ডিশন লাগানো হচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতা হয়েও আবুল হোসেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দেদারসে সরকারি প্রকল্পে নকল এয়ারকন্ডিশন সরবরাহ করছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আবুল হোসেনের নামে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে। পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় সরকারবিরোধী প্রচারণা ও তান্ডবের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত আবুল হোসেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আবুল হোসেনের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বাইরে আছি আপনার সাথে পরে কথা বলব, পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেননি।