কুবিতে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০৮:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

গণহত্যার সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিদান, গণহত্যা অস্বীকৃতি আইন প্রবর্তন ও পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা এবং স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী-মৌলবাদী জামাত শিবিরকে আইনগত নিষিদ্ধ করার দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের (রেজা গ্রুপ) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যের পাদদেশে এই মানববন্ধনের অনুষ্ঠিত হয়।
এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের পদ-প্রত্যাশী রাজা-ই-এলাহী, স্বজন বরণ বিশ্বাসহস বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের একাংশ।
মানববন্ধনে গণহত্যার সাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিদান সহ গণহত্যার অস্বীকৃতি আইন প্রবর্তন ও পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা এবং স্বাধীনতাবিরোধী- যুদ্ধাপরাধী- মৌলবাদী জামাত-শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার দাবী উত্তাপন করা হয়।
এ সময় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে পদ-প্রত্যাশী স্বজন বরণ বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে সকল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন পালন করছি। পাকিস্তানি শাসকের শাসন মেনে না নেওয়ায়, ১৯৭১ সালের মার্চে পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে আমাদের উপর যে নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে তা কখনো ভুলবার নয়। এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এসময় তিনি স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি জামাত শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার জন্যও অনুরোধ জানান।’
সমাপনী বক্তব্যে পদ-প্রত্যাশী রেজা-ই-ইলাহী তার বক্তব্যে পাকিস্তান সরকারের বৈষম্যের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘২৫ শে মার্চ কালো রাত্রিতে পাকিস্তানী বর্বর শাসক গোষ্ঠী আমাদের মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বুদ্ধিজীবীদের অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে হত্যা করে আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে চেয়েছিলো আজকের এই মানববন্ধনের মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানাই, ২৫ শে মার্চ গণহত্যার ‘সাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিদান, গণহত্যা অস্বীকৃতি আইন প্রবর্তন ও পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা এবং স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী-মৌলবাদী জামাত-শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।’