ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




মানিকগঞ্জ সওজ অধিদপ্তরে ১১ প্রকৌশলীর হাতে জাদু আছে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩ ৭২৮ বার পড়া হয়েছে

কি এমন গুপ্ত রহস্য লুকিয়ে আছে মানিকগঞ্জ সওজ অধিদপ্তরে। কোন জাদুর কাঠি আছে ১১ প্রকৌশলীর হাতে। মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগে যেন এক অলৌকিক গুপ্তধনের গুহা। এরাবিয়ান ড্রামা সিরিজ আলিফ লায়লার আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপকেও হার মানাবে এখানে কর্মরত ১১ জন প্রকৌশলীর অবৈধ অর্থের পাহাড় ও আমলনামার সামনে। সওজের মানিকগঞ্জ জেলার ১১ পদে থাকা প্রকৌশলী প্রত্যেকেই সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

তাহারা ১১ জন:

✓প্রধান প্রকৌশলী মারুফ সরকারি ঢাকা আত্মসাৎ করে গড়েছেন বিলাসবহন জীবন।
✓উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ও আরাফাত সাকলাইন তার উপস্থিত কর্মকর্তা ও সহজতাদের চেয়ে কম যান না।
✓আরেক সহকারী প্রকৌশলী শাহজাদা ফিরোজ অর্থ সম্পদের ছাড়িয়ে গেছেন প্রধান প্রকৌশলী কেউ। মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী তিনি একাই রয়েছেন দুটি দায়িত্বে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ. দা.), সওজ এবং ১ম সারি কারখানা উপ-বিভাগীয় সহ সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)।
✓ মোঃ আলমগীর হোসেন সহকারী প্রকৌশলী সিভিল।
✓মোঃ ফারুক হোসেন উপসহকারী প্রকৌশলী সওজ, সহকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
✓মোঃ আনোয়ার হোসেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সওজ। সাভার ও ঢাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি অট্টলিকা, প্লট, ফ্লাট ও নিজস্ব ব্যবসা।
✓ এছাড়াও উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ অভি আহমেদ সুজন, আওলাদ হোসেন, সাইদুল ইসলাম সহকর্মী ও উত্তরসূরিদের সাথে সমান তাল মিলিয়ে য়ে নিজেদের অবস্থান গোছানোর চেষ্টায় অব্যাহত রয়েছে।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১১ পদে কর্মরত থাক প্রায় সকলেই হিসাব বহির্ভূত অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক। অধিকাংশ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদুকে রয়েছে অভিযোগ ও তদন্ত চলমান। কিন্তু তারা অদৃশ্য শক্তির বলেই যেন মানিকগঞ্জ সওজে নিজেদেরকে আঁকড়ে রেখেছেন।

তাদের সকলের অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির আমলনামা নিয়ে বিস্তারিত থাকছে পরবর্তী সংবাদে…. চলবে..

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মানিকগঞ্জ সওজ অধিদপ্তরে ১১ প্রকৌশলীর হাতে জাদু আছে?

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

কি এমন গুপ্ত রহস্য লুকিয়ে আছে মানিকগঞ্জ সওজ অধিদপ্তরে। কোন জাদুর কাঠি আছে ১১ প্রকৌশলীর হাতে। মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগে যেন এক অলৌকিক গুপ্তধনের গুহা। এরাবিয়ান ড্রামা সিরিজ আলিফ লায়লার আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপকেও হার মানাবে এখানে কর্মরত ১১ জন প্রকৌশলীর অবৈধ অর্থের পাহাড় ও আমলনামার সামনে। সওজের মানিকগঞ্জ জেলার ১১ পদে থাকা প্রকৌশলী প্রত্যেকেই সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

তাহারা ১১ জন:

✓প্রধান প্রকৌশলী মারুফ সরকারি ঢাকা আত্মসাৎ করে গড়েছেন বিলাসবহন জীবন।
✓উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ও আরাফাত সাকলাইন তার উপস্থিত কর্মকর্তা ও সহজতাদের চেয়ে কম যান না।
✓আরেক সহকারী প্রকৌশলী শাহজাদা ফিরোজ অর্থ সম্পদের ছাড়িয়ে গেছেন প্রধান প্রকৌশলী কেউ। মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী তিনি একাই রয়েছেন দুটি দায়িত্বে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ. দা.), সওজ এবং ১ম সারি কারখানা উপ-বিভাগীয় সহ সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)।
✓ মোঃ আলমগীর হোসেন সহকারী প্রকৌশলী সিভিল।
✓মোঃ ফারুক হোসেন উপসহকারী প্রকৌশলী সওজ, সহকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
✓মোঃ আনোয়ার হোসেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সওজ। সাভার ও ঢাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি অট্টলিকা, প্লট, ফ্লাট ও নিজস্ব ব্যবসা।
✓ এছাড়াও উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ অভি আহমেদ সুজন, আওলাদ হোসেন, সাইদুল ইসলাম সহকর্মী ও উত্তরসূরিদের সাথে সমান তাল মিলিয়ে য়ে নিজেদের অবস্থান গোছানোর চেষ্টায় অব্যাহত রয়েছে।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১১ পদে কর্মরত থাক প্রায় সকলেই হিসাব বহির্ভূত অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক। অধিকাংশ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদুকে রয়েছে অভিযোগ ও তদন্ত চলমান। কিন্তু তারা অদৃশ্য শক্তির বলেই যেন মানিকগঞ্জ সওজে নিজেদেরকে আঁকড়ে রেখেছেন।

তাদের সকলের অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির আমলনামা নিয়ে বিস্তারিত থাকছে পরবর্তী সংবাদে…. চলবে..