ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




খাদ্যমন্ত্রীর মেয়েজামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় মেয়ের জামাই ও বিএসএমএমইউ হাসপাতালের চিকিৎসক রাজন কর্মকারের (৪২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিএসএমএমইউ এর ম্যাক্সিলোফেসিয়াল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

রোববার ভোরে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজনের শ্যালিকা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিছুসময় পর রাজনের স্ত্রী কৃষ্ণা মজুমদার রুপা হাসপাতালে আসেন। তবে এ ঘটনায় রাজনের স্বজনদের দাবি এটি হত্যাকাণ্ড।

নিহতের চাচাত ভাই অভি বলেন, রাজন ভাইয়ের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল। এর আগে একাধিকবার তাকে মারধর করা হয়েছিল। এ জন্য আমাদের সন্দেহ তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা তার লাশের ময়নাতদন্ত করাতে চাই।

নিহতের মামা সুজন কর্মকার বলেন, প্রথমে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বাভাবিক মৃত্যু ধরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু নন-ডায়াবেটিস (ডায়াবেটিস নেই এমন) একজন লোকের এমন মৃত্যৃ মেনে নেয়া যায় না। আমরা ময়নাতদন্ত চাই।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত মন্ত্রীর পরিবার অথবা নিহতের পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। আমাদের একটি টিম স্কয়ার হাসপাতালে আছে। তাদের সঙ্গে নিহতের পরিবারের কথা হয়েছে। তারা আমাদের টিমের কাছে একটা অভিযোগ জানাবে বলে শুনেছি।

ওসি আরও বলেন, আমরা জেনেছি গত রাতে স্কয়ার হাসপাতালে রাজনকে ভর্তি করা হয়। রাজন ইন্দিরা রোডের ৪৭ নম্বর বাসায় থাকতেন।

বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আমি রাজন কর্মকারের মৃত্যুর খবরটি শুনেছি। তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। আমার এখানে তার বাবা ও মামা এসেছিলেন। তার বাবা অভিযোগ করেছেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তারা মৃতদেহের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে মনে করি, তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হওয়া উচিত। এর আগে, বছর খানেক আগে কৃষ্ণার দ্বারা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত রাজন মাসখানেক ঢাকার পপুলার হাসপাতাল, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে, থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজনের স্বজনরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




খাদ্যমন্ত্রীর মেয়েজামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

আপডেট সময় : ০৮:২০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় মেয়ের জামাই ও বিএসএমএমইউ হাসপাতালের চিকিৎসক রাজন কর্মকারের (৪২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিএসএমএমইউ এর ম্যাক্সিলোফেসিয়াল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

রোববার ভোরে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজনের শ্যালিকা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিছুসময় পর রাজনের স্ত্রী কৃষ্ণা মজুমদার রুপা হাসপাতালে আসেন। তবে এ ঘটনায় রাজনের স্বজনদের দাবি এটি হত্যাকাণ্ড।

নিহতের চাচাত ভাই অভি বলেন, রাজন ভাইয়ের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল। এর আগে একাধিকবার তাকে মারধর করা হয়েছিল। এ জন্য আমাদের সন্দেহ তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা তার লাশের ময়নাতদন্ত করাতে চাই।

নিহতের মামা সুজন কর্মকার বলেন, প্রথমে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বাভাবিক মৃত্যু ধরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু নন-ডায়াবেটিস (ডায়াবেটিস নেই এমন) একজন লোকের এমন মৃত্যৃ মেনে নেয়া যায় না। আমরা ময়নাতদন্ত চাই।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত মন্ত্রীর পরিবার অথবা নিহতের পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। আমাদের একটি টিম স্কয়ার হাসপাতালে আছে। তাদের সঙ্গে নিহতের পরিবারের কথা হয়েছে। তারা আমাদের টিমের কাছে একটা অভিযোগ জানাবে বলে শুনেছি।

ওসি আরও বলেন, আমরা জেনেছি গত রাতে স্কয়ার হাসপাতালে রাজনকে ভর্তি করা হয়। রাজন ইন্দিরা রোডের ৪৭ নম্বর বাসায় থাকতেন।

বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আমি রাজন কর্মকারের মৃত্যুর খবরটি শুনেছি। তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। আমার এখানে তার বাবা ও মামা এসেছিলেন। তার বাবা অভিযোগ করেছেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তারা মৃতদেহের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে মনে করি, তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হওয়া উচিত। এর আগে, বছর খানেক আগে কৃষ্ণার দ্বারা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত রাজন মাসখানেক ঢাকার পপুলার হাসপাতাল, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে, থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজনের স্বজনরা।