রবির চার টাওয়ার ভাঙবে ডিএসসিসি
- আপডেট সময় : ১২:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
সকালের সংবাদ:
বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চারটি টাওয়ার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আইন অনুযায়ী অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মতো সিটি করপোরশনকে তাদের টাওয়ার স্থাপন বাবদ নির্ধারিত রাজস্ব না দেওয়ায় করপোরেশনের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হওয়া টাওয়ারগুলো হচ্ছে- ধানমন্ডি শঙ্করের চেয়ারম্যান গলির ১০০ নম্বর বাড়ি, কলাবাগান ৬০ নং লেক সার্কাস, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৬ নং রোডের ২৯ নং বাড়ির এম/ডি/এ প্লট ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট। এই চারটি টাওয়ার থেকে কোনও রাজস্ব পাচ্ছে না ডিএসসিসি।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, আদর্শ কর তফসিল ২০১৬-এর ১০ (৪.২৯৭) ধারা অনুযায়ী করপোরেশন এলাকায় মোবাইল ফোন অপারেটর টাওয়ার/বিটিএস ব্যবহারে বাড়ির মালিকের সঙ্গে যে চুক্তি করেন, সেই চুক্তির ছয় ভাগের এক ভাগ অর্থ করপোরেশনের প্রাপ্য। কিন্তু দক্ষিণ সিটিতে অবস্থিত রবির এই টাওয়ারগুলো থেকে কোনও রাজস্ব পাচ্ছে না ডিএসসিসি।
এদিকে একই কাজের জন্য মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন ২০১৩-১৪ অর্থবছর হতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বকেয়া হিসাবে দক্ষিণ সিটিকে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৩৮৫ টাকা পরিশোধ করেছে। অন্যান্য অপারেটর কোম্পানিগুলো এ কাজের জন্য ডিএসসিসিকে কোনও রাজস্ব দেয়নি।
ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে রবির আলাপ চলছে।
তবে রাজস্ব বিভাগের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, এই বিষয়ে একাধিকবার রবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এরপর মেয়রের নির্দেশে আমরা রবির চারটি টাওয়ার ভাঙার সিদ্ধান্ত নিই। এরই মধ্যে ফাইল অনুমোদন হয়েছে। ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ বাকি পদক্ষেপ নেবে।
এ প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, বিটিএস সংক্রান্ত স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে এখনও আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আর বিটিআরসির আইন অনুসারে, বর্তমানে টাওয়ার তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব টাওয়ার কোম্পানির হাতে ন্যাস্ত। প্রচলিত আইন অনুসারেও স্থাপনা ভাড়া বাবদ হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের দায়িত্ব স্থানের মালিকের। হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে সরকারের যে কোনও সংস্থার সঙ্গে আমাদের অবস্থান খুবই সহযোগিতাপূর্ণ।