ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১) Logo টাঙ্গাইল-৩ আসনে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে মাইনুল ইসলাম

অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ৮ মে থেকে সীমিত পরিসরে চালু হতে পারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 

প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ আকাশপথে ফ্লাইট ৮ মে থেকে সীমিত পরিসরে চালু হতে পারে—এ কথা জানিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) বলেছে, সবকিছু নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির ওপর। বেবিচকের অনুমোদন পেলে শিগগিরই টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

আজ শনিবার বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সীমিত পরিসরে চলবে। প্রতিটি ফ্লাইটে ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ যাত্রী নেওয়া যাবে। ফ্লাইট সংখ্যাও কম থাকবে। এ জন্য দেশের বিমানবন্দরগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে কীভাবে ফ্লাইটগুলো চলবে, এ ব্যাপারে বেবিচকের কাছে একটি পরিকল্পনাও দিয়েছে এওএবি। এ নিয়ে ২৯ এপ্রিল তাদের মধ্যে বৈঠকও হয়।

৭৫ শতাংশ যাত্রী থাকবে প্রতি ফ্লাইটে

প্রতি ঘণ্টায় চলবে তিনটি ফ্লাইট

প্রতিটি ফ্লাইটের আগে জীবাণুমুক্ত করা হবে

ফ্লাইটে যাত্রীদের নতুন গ্লাভস ও মাস্ক দেওয়া হবে

এওএবির মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮ মে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু হতে পারে। নভোএয়ার প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। বেবিচকের অনুমোদন পেলে টিকিট বিক্রি শুরু করা হবে।

বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়াও তিনটি বেসরকারি বিমান সংস্থা—ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।

অভ্যন্তরীণ আকাশপথে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো ৮০ শতাংশ ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে এই চারটি বিমান সংস্থার অভ্যন্তরীণ রুটে প্রতিদিন ১৪০টির মতো ফ্লাইট চলাচল করত। এসব ফ্লাইটে প্রায় ১২ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করতেন। সব ফ্লাইটই ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে চলাচল করে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী ছিল ৪৪ লাখ ৮২ হাজার। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪১ লাখ ২৫ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুই রুটেই মোট ৭ লাখ যাত্রী বেড়েছিল। যাত্রী বাড়ার কারণে প্রতিযোগিতাও বেড়ে যায় বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে। বাজারে নিয়ন্ত্রণ রাখতে উড়োজাহাজের সংখ্যাও বৃদ্ধি করে তারা। চলতি বছর একাধিক উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত করে ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে আগামী জুন মাসের মধ্যে আসবে নতুন তিনটি নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে আকাশপথে অভ্যন্তরীণ রুটে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার বেশি বাজার রয়েছে। করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে যাত্রী হারাতে থাকে বিমান সংস্থাগুলো। মার্চে যাত্রী কমে যায় ৪০ শতাংশ। ২১ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক আকাশপথের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ আকাশপথেও ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বেবিচক।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৭ মে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের আটটি রুটে প্রতিদিন ৪০টির মতো ফ্লাইট চালু থাকতে পারে। প্রতি ঘণ্টায় তিনটির বেশি ফ্লাইট ছেড়ে যেতে পারবে না।

বিমানবন্দরের রানওয়েতেও উড়োজাহাজগুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করবে। সর্বোচ্চ ৫০ জন বা ৭৫ শতাংশ যাত্রী প্রতিটি ফ্লাইটে থাকবে। তিনটি ফ্লাইটের বেশি যাত্রী একসঙ্গে বিমানবন্দরে টার্মিনালে থাকতে পারবেন না। টার্মিনালের ভেতরেও সামাজিক দূরত্বে যাত্রীরা থাকবেন। প্রতিটি বিমান সংস্থার যাত্রীদের জন্য আলাদা জায়গা চিহ্নিত করা থাকবে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লাভস বদলে এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে নতুন গ্লাভস দেওয়া হবে। এগুলো পরেই তাঁদের ফ্লাইটে যেতে হবে। উড়োজাহাজের ভেতরেও সামাজিক দূরত্বে আসনে বসতে হবে। যাত্রীদের পাশাপাশি উড়োজাহাজগুলোকেও জীবাণুমুক্ত করে প্রতিটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ৮ মে থেকে সীমিত পরিসরে চালু হতে পারে

আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 

প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ আকাশপথে ফ্লাইট ৮ মে থেকে সীমিত পরিসরে চালু হতে পারে—এ কথা জানিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) বলেছে, সবকিছু নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির ওপর। বেবিচকের অনুমোদন পেলে শিগগিরই টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

আজ শনিবার বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সীমিত পরিসরে চলবে। প্রতিটি ফ্লাইটে ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ যাত্রী নেওয়া যাবে। ফ্লাইট সংখ্যাও কম থাকবে। এ জন্য দেশের বিমানবন্দরগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে কীভাবে ফ্লাইটগুলো চলবে, এ ব্যাপারে বেবিচকের কাছে একটি পরিকল্পনাও দিয়েছে এওএবি। এ নিয়ে ২৯ এপ্রিল তাদের মধ্যে বৈঠকও হয়।

৭৫ শতাংশ যাত্রী থাকবে প্রতি ফ্লাইটে

প্রতি ঘণ্টায় চলবে তিনটি ফ্লাইট

প্রতিটি ফ্লাইটের আগে জীবাণুমুক্ত করা হবে

ফ্লাইটে যাত্রীদের নতুন গ্লাভস ও মাস্ক দেওয়া হবে

এওএবির মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮ মে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু হতে পারে। নভোএয়ার প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। বেবিচকের অনুমোদন পেলে টিকিট বিক্রি শুরু করা হবে।

বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়াও তিনটি বেসরকারি বিমান সংস্থা—ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।

অভ্যন্তরীণ আকাশপথে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো ৮০ শতাংশ ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে এই চারটি বিমান সংস্থার অভ্যন্তরীণ রুটে প্রতিদিন ১৪০টির মতো ফ্লাইট চলাচল করত। এসব ফ্লাইটে প্রায় ১২ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করতেন। সব ফ্লাইটই ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে চলাচল করে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী ছিল ৪৪ লাখ ৮২ হাজার। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪১ লাখ ২৫ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুই রুটেই মোট ৭ লাখ যাত্রী বেড়েছিল। যাত্রী বাড়ার কারণে প্রতিযোগিতাও বেড়ে যায় বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে। বাজারে নিয়ন্ত্রণ রাখতে উড়োজাহাজের সংখ্যাও বৃদ্ধি করে তারা। চলতি বছর একাধিক উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত করে ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে আগামী জুন মাসের মধ্যে আসবে নতুন তিনটি নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে আকাশপথে অভ্যন্তরীণ রুটে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার বেশি বাজার রয়েছে। করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে যাত্রী হারাতে থাকে বিমান সংস্থাগুলো। মার্চে যাত্রী কমে যায় ৪০ শতাংশ। ২১ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক আকাশপথের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ আকাশপথেও ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বেবিচক।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৭ মে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের আটটি রুটে প্রতিদিন ৪০টির মতো ফ্লাইট চালু থাকতে পারে। প্রতি ঘণ্টায় তিনটির বেশি ফ্লাইট ছেড়ে যেতে পারবে না।

বিমানবন্দরের রানওয়েতেও উড়োজাহাজগুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করবে। সর্বোচ্চ ৫০ জন বা ৭৫ শতাংশ যাত্রী প্রতিটি ফ্লাইটে থাকবে। তিনটি ফ্লাইটের বেশি যাত্রী একসঙ্গে বিমানবন্দরে টার্মিনালে থাকতে পারবেন না। টার্মিনালের ভেতরেও সামাজিক দূরত্বে যাত্রীরা থাকবেন। প্রতিটি বিমান সংস্থার যাত্রীদের জন্য আলাদা জায়গা চিহ্নিত করা থাকবে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লাভস বদলে এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে নতুন গ্লাভস দেওয়া হবে। এগুলো পরেই তাঁদের ফ্লাইটে যেতে হবে। উড়োজাহাজের ভেতরেও সামাজিক দূরত্বে আসনে বসতে হবে। যাত্রীদের পাশাপাশি উড়োজাহাজগুলোকেও জীবাণুমুক্ত করে প্রতিটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে।