ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




দেশে লক্ষণ ও উপসর্গবিহীন করোনা শনাক্ত ৮০০ জনের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০ ১১২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট |

মোট শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮শ এমন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে যাদের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ কিছুই ছিল না। তারা সুস্থও আছেন। কিন্তু আমাদের সুস্থ বলতে গেলে তাদের পরপর দু’টি নমুনা টেস্টে নেগেটিভ আসতে হয়। কারো কারো এখনো একটি টেস্ট হয়নি। কারো কারো একটি টেস্ট হয়েছে। এদের কেউ কেউ বাড়িতে আইসোলেশন রয়েছেন। আবার কেউ কেউ হাসপাতালেও ভর্তি।

শুক্রবার (১ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের মৃদু সংক্রমণ হয়। তাদের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো মৃদু থাকে। মাত্র ৩ থেকে ৫ শতাংশ মানুষের লক্ষণ ও উপসর্গ ব্যাপক আকারে প্রকাশ পায়‌। এদের ক্ষেত্রে হাসপাতাল ও আইসিইউ সাপোর্ট লাগে।

তিনি বলেন, যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন তারা কোনো অসুস্থ রোগী না। তারা পজিটিভ রোগীর কাছাকাছি এসেছে। তাই তাদের কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।

নাসিমা সুলতানা বলেন, যারা কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় তারা কোনো দোষী ব্যক্তি না। তারা কোনো অপরাধী ব্যক্তি না। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায়, কোনো কোনো সমাজে, কোনো কোনো পাড়ায়, মহল্লায় আক্রান্ত ও শনাক্ত ব্যক্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তার পরিবারের মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। এটা আসলে ঠিক না। আপনারা মানবিক হোন। যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও শনাক্ত হচ্ছেন তাদের কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। তাদের পরিবারকে কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। কারণ যেকোনো সময় আপনি নিজেও আক্রান্ত হতে পারেন।

‘আমাদের সামাজিকভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন চলছে। এটা সামাজিকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। আজ যে নেগেটিভ আছে, কাল আপনার পজিটিভ হবে না এটার কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি না। আমরা শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছি না। কাজেই কাউকে হেয় করবেন না। কারো সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করবেন না।’

তিনি অনুরোধ করে বলেন, কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। অপরাধীর মতো আচরণ করা যাবে না। অন্য যেকোনো অসুখের মতো এটাও একটা অসুখ। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভালো হয়ে যায়।

নাসিমা বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে নয় হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভিতরে আছে তিন হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাইরে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৪১টি, ডায়ালসিস ইউনিট আছে ১০২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ১৭০ জন। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭১ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৩৮ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ১৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭৪ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দেশে লক্ষণ ও উপসর্গবিহীন করোনা শনাক্ত ৮০০ জনের

আপডেট সময় : ০৮:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট |

মোট শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮শ এমন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে যাদের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ কিছুই ছিল না। তারা সুস্থও আছেন। কিন্তু আমাদের সুস্থ বলতে গেলে তাদের পরপর দু’টি নমুনা টেস্টে নেগেটিভ আসতে হয়। কারো কারো এখনো একটি টেস্ট হয়নি। কারো কারো একটি টেস্ট হয়েছে। এদের কেউ কেউ বাড়িতে আইসোলেশন রয়েছেন। আবার কেউ কেউ হাসপাতালেও ভর্তি।

শুক্রবার (১ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের মৃদু সংক্রমণ হয়। তাদের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো মৃদু থাকে। মাত্র ৩ থেকে ৫ শতাংশ মানুষের লক্ষণ ও উপসর্গ ব্যাপক আকারে প্রকাশ পায়‌। এদের ক্ষেত্রে হাসপাতাল ও আইসিইউ সাপোর্ট লাগে।

তিনি বলেন, যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন তারা কোনো অসুস্থ রোগী না। তারা পজিটিভ রোগীর কাছাকাছি এসেছে। তাই তাদের কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।

নাসিমা সুলতানা বলেন, যারা কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় তারা কোনো দোষী ব্যক্তি না। তারা কোনো অপরাধী ব্যক্তি না। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায়, কোনো কোনো সমাজে, কোনো কোনো পাড়ায়, মহল্লায় আক্রান্ত ও শনাক্ত ব্যক্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তার পরিবারের মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। এটা আসলে ঠিক না। আপনারা মানবিক হোন। যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও শনাক্ত হচ্ছেন তাদের কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। তাদের পরিবারকে কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। কারণ যেকোনো সময় আপনি নিজেও আক্রান্ত হতে পারেন।

‘আমাদের সামাজিকভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন চলছে। এটা সামাজিকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। আজ যে নেগেটিভ আছে, কাল আপনার পজিটিভ হবে না এটার কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি না। আমরা শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছি না। কাজেই কাউকে হেয় করবেন না। কারো সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করবেন না।’

তিনি অনুরোধ করে বলেন, কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। অপরাধীর মতো আচরণ করা যাবে না। অন্য যেকোনো অসুখের মতো এটাও একটা অসুখ। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভালো হয়ে যায়।

নাসিমা বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে নয় হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভিতরে আছে তিন হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাইরে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৪১টি, ডায়ালসিস ইউনিট আছে ১০২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ১৭০ জন। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭১ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৩৮ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ১৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭৪ জন।