জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১১তম সিরিজ জয় বাংলাদেশের
- আপডেট সময় : ০৮:২১:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে
ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে| তীয় ম্যাচে একতরফা জিতেতে পারেনি বাংলাদেশ, যেমনটা হয়েছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচে। শেষদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে হেরেছে সফরকারীরা। এ নিয়ে বাংলাদেশ ২৫টা সিরিজ জিতল, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই যা ১১তম।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৬৯ রানের রেকর্ড গড়া জয়ের পর আজ চার রানে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে মাশরাফীরা।
দুপুরের টস জিতে গত ম্যাচের মতো আজও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরুর দশ ওভারে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো লিটন দাস আজ রান আউট হয়ে ফেরেন ৯ রানে। নাজমুল হাসান শান্ত আর তামিমের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে মাত্র ৬ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন শান্তও।
বাকি পথ তামিম পাড়ি দেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে। দীর্ঘ সময় ধরে রান খরায় ভোগা তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১২তম শতক। এই শতকে পূর্ণ হয় ওয়ানডে ক্রিকেটে তার ৭ হাজার রান (২০৬ ম্যাচ)।
এর আগে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা ১৫৪ রানও টপকে যান তামিম। ১৩৬ বলে ১৫৮ রান করে ফেরেন কার্ল মুম্বার বলে ক্যাচ দিয়ে।
তামিমের সঙ্গে মুশফিক তুলে নেন অর্ধশতক। ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ক্যাচ আউট হয়ে। মাহমুদউল্লাহ করেন ৪১ আর শেষদিকে মোহাম্মদ মিঠুনের অপরাজিত ৩২ (১৮) রানে ভর করে ৮ উইকেটে ৩২২ রান করে বাংলাদেশ।
সফরকারীদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কার্ল মুম্বা ও ডোনাল্ড তিরিপানো, ১টি করে উইকেট নেন কার্লটন টিশুমা আর ওয়েসলে মাধভেরে।
স্বাগতিকদের দেয়া পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শফিউলের শিকার হোন রেগিস চাকাবা। ব্রেন্ডন টেইলরও খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। ১১ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রোতে রান আউট হয়ে।
প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারা সফরকারী অধিনায়ক শন উইলিয়ামসও হোন ব্যর্থ। মিরাজের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন ১৪ রান করে।
জিম্বাবুয়ের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝেও ওপেনার তিনাশে কামুনহুকাওয়ামে খেলেন ৭০ বলে ৫১ রানের ইনিংস। তাকে বোল্ড করে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
মাত্রই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা ওয়েসলে মাধভেরে শাসন করেন টাইগার বোলারদের। ৪৯ বলে তিন চার, দুই ছয়ে ৫১ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে সিকান্দার রাজার ঝড়ো ইনিংস জয়ের স্বপ্ন দেখালেও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বলে ৬৬ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
শেষদিকে টিনোটেন্ডা মুতমবদজি ও ডোনাল্ড তিরিপানোর জুটি চেপে বসে টাইগার বোলারদের উপর। শেষ ওভার পর্যন্ত জয়ের আশা জাগিয়েছে এই জুটি।
আল আমীনের করা শেষ ওভারে জিততে হলে জিম্বাবুয়ের লাগত ২০ রান। প্রথম বলে সিঙ্গেল রান, পরের বলে ওয়াইড দেয়ার পর তৃতীয় বলে অফে ছয় হাঁকাতে গিয়ে মুতবদজি ক্যাচ দেন লিটন দাসের হাতে। মুতমবদজি-তিরিপানোর জুটি ভাঙে ৮০ রানে।
পরের দুই বলে তিরিপানোর টানা দুই ছয়ে মোড় ঘুরে যায়। ম্যাচের শেষ বলে জিততে হলে লাগত ছয়। কিন্তু পারেনি এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। চার রানের জয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট নেন তাইজুল, ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফী, শফিউল, মিরাজ ও আল-আমীন।