ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে ডিএমপি’র নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;  আগামী ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০। ইতিমধ্যে বাণিজ্য মেলাকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ২৫ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিরাপত্তার স্বার্থে মেলা প্রাঙ্গনে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের পৃথক প্রবেশ ও বাহির গেট থাকবে। প্রবেশের পূর্বে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করানো হবে। প্রবেশ গেটসমূহে দিক নির্দেশনামূলক ডিজিটাল সাইনবোর্ড থাকবে। মেলা প্রাঙ্গন ও তার আশপাশে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরা দিয়ে সমগ্র মেলা এলাকা ও তার আশপাশ ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। মেলা চলাকালে মাসব্যাপী পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবে। মেলা প্রাঙ্গনে পুলিশের ১০টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণ বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।

এছাড়াও, মেলার অভ্যন্তরে সুবিধাজনক স্থানে ৪টি হেল্প ডেস্ক থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণে মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মেলায় মাইকিং করে যানবাহন পার্কিং সংক্রান্তে নির্দেশনা প্রচার করা হবে। মেলায় থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। মেলার অভ্যন্তরে দৃশ্যমান স্থানে ২টি অভিযোগ বাক্স স্থাপন এবং সার্ভিস ডেলিভারী অফিসার থাকবে। অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে প্রতিটি স্টলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে। মেলা প্রাঙ্গনে ফায়ার সার্ভিসের একটি সাব-স্টেশন থাকবে। দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে মেলা প্রাঙ্গণে Evaquation route থাকবে। মেলার অভ্যন্তরে উচ্চ শব্দের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের পরিবর্তে স্বল্প শব্দের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। পুলিশ কন্ট্রোলরুমে লোকেশন সম্বলিত সাইড ম্যাপ থাকবে।

বাণিজ্য মেলায় ফুড কোর্টে মূল্য তালিকা সার্বক্ষণিক প্রদর্শিত করতে হবে। যদি ফুড কোর্টে মূল্য তালিকা প্রদর্শিত না করা হয়, তাহলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে সেই স্টলকে জরিমানা করা হবে।

মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার) বলেন, প্রতি সাতদিন পরপর মেলার আইন শৃংখলা কার্যক্রম রিভিও করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মেলা প্রাঙ্গণে কোন হকার ও ভিক্ষুক থাকবে না।

এবারের ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ আর শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি ২০২০।

সমন্বয় সভায় ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি ও সরকারি সেবাদানকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

print

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে ডিএমপি’র নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

সকালের সংবাদ;  আগামী ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০। ইতিমধ্যে বাণিজ্য মেলাকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ২৫ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিরাপত্তার স্বার্থে মেলা প্রাঙ্গনে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের পৃথক প্রবেশ ও বাহির গেট থাকবে। প্রবেশের পূর্বে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করানো হবে। প্রবেশ গেটসমূহে দিক নির্দেশনামূলক ডিজিটাল সাইনবোর্ড থাকবে। মেলা প্রাঙ্গন ও তার আশপাশে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরা দিয়ে সমগ্র মেলা এলাকা ও তার আশপাশ ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। মেলা চলাকালে মাসব্যাপী পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবে। মেলা প্রাঙ্গনে পুলিশের ১০টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণ বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।

এছাড়াও, মেলার অভ্যন্তরে সুবিধাজনক স্থানে ৪টি হেল্প ডেস্ক থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণে মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মেলায় মাইকিং করে যানবাহন পার্কিং সংক্রান্তে নির্দেশনা প্রচার করা হবে। মেলায় থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। মেলার অভ্যন্তরে দৃশ্যমান স্থানে ২টি অভিযোগ বাক্স স্থাপন এবং সার্ভিস ডেলিভারী অফিসার থাকবে। অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে প্রতিটি স্টলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে। মেলা প্রাঙ্গনে ফায়ার সার্ভিসের একটি সাব-স্টেশন থাকবে। দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে মেলা প্রাঙ্গণে Evaquation route থাকবে। মেলার অভ্যন্তরে উচ্চ শব্দের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের পরিবর্তে স্বল্প শব্দের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। পুলিশ কন্ট্রোলরুমে লোকেশন সম্বলিত সাইড ম্যাপ থাকবে।

বাণিজ্য মেলায় ফুড কোর্টে মূল্য তালিকা সার্বক্ষণিক প্রদর্শিত করতে হবে। যদি ফুড কোর্টে মূল্য তালিকা প্রদর্শিত না করা হয়, তাহলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে সেই স্টলকে জরিমানা করা হবে।

মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার) বলেন, প্রতি সাতদিন পরপর মেলার আইন শৃংখলা কার্যক্রম রিভিও করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মেলা প্রাঙ্গণে কোন হকার ও ভিক্ষুক থাকবে না।

এবারের ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ আর শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি ২০২০।

সমন্বয় সভায় ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি ও সরকারি সেবাদানকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

print