বাড়তি ফি আদায়ে প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল হবে
- আপডেট সময় : ০১:৩৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৯ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক;
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ভর্তি ও বাড়তি টিউশন ফি আদায় করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকের এমপিও বাতিলসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি বা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির এমপিও বাতিল করা হবে। আগামী নভেম্বর থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিটরিং শুরু করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি শুরুর আগেই জানাতে হবে সে প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা কত। কোনোভাবেই অতিরিক্ত ভর্তি করা যাবে না। সরকার নির্ধারিত কোটা ছাড়া অন্য কোনো কোটায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে না।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকার নির্ধারিত টিউশন ফির চেয়ে বাড়তি আদায় করার ঘটনার পর এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রণালয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বরের সমন্বয় সভা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থী ভর্তিতে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত বছর অনিয়ম করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে তাদের তালিকা চাইবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি ঠেকাতে (নভেম্বর-ডিসেম্বর) নিয়মিত মনিটরিং করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায়কারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকাসহ প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করবে মাধ্যমিক-২ অনু বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য সমন্বয় সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি ভর্তি কার্যক্রমের প্রথম দিন থেকেই মনিটরিং করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।