ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




রাত পোহালেই ফাইনাল, পাওয়া যাবে ক্রিকেটের ‘নতুন রাজা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ ১০২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 

কেবল রাত পোহানোর অপেক্ষা। ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় এখন প্রায় রাত সাড়ে ১০টা। দিনের ব্যস্ততা সেরে যে যার মতো অবকাশের অপেক্ষায়। ক্রিকেট সমর্থকরাও চোখ বোজার অপেক্ষায়। রাত পেরুলেই যে ক্রিকেট পাবে তার নতুন রাজা। ইংল্যান্ড নয়তো নিউজিল্যান্ড। নতুন এক দলের হাতে উঠবে বিশ্বকাপের ট্রফি। এ যেন ক্রিকেটে নতুন যুগেরই আগমনী বার্তা।

সূচনা লগ্ন থেকেই ক্রিকেটটা যেন অভিজাতদেরই সম্পদ। কখনো ইংল্যান্ড বা কখনো অস্ট্রেলিয়া। নতুন সদস্যরা জায়গা পেলেও নিজেদের এই দুটি দলের ছায়া থেকে বের করতে পারেনি।

ক্রিকেট পরিবারে সদস্য বেড়ে যাওয়ায় একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন হয় সেই ১৯৭৫ সালে। প্রথম আসরেই বাজিমাত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর থেকে ক্রিকেটে শুরু হয় ক্যারিবীয় সাম্রাজ্য। ১৯৮৩ সালে ক্যারিবীয় রাজ্যে আঘাত হানে ভারত। ক্রিকেটে তখন ‘ছোটলোক’দের অধিপত্য।

১৯৮৭ সালে ভারতের অনুষ্ঠিত আসরে জেগে ওঠে ক্রিকেটের জনক দুই দেশ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জেতে অজিরা। পরের বছরই আবার শ্রেষ্ঠত্ব ছিনিয়ে নেয় ‘ছোট’রা। এবার আগামনী সঙ্গীত শোনায় পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালে পরের আসরটি ছিল আরেক নবীনের। সেবার সবাইকে ছাপিয়ে যায় শ্রীলংকা।

পরের ২৩ বছরটা অস্ট্রেলিয়ার। মাঝখানে ২০১১ সালে ভারত এবার শিরোপা জিতলেও অজি সাম্রাজ্যবাদে সেটা মোটেও আঘাত হানতে পারেনি। তবে ২০১৯ সালের চিত্রটা ভিন্ন। অস্ট্রেলিয়ার অধিপত্যে আঘাত হেনেছে বাকি সদস্যরা। এবার তারা নতুন রাজা দেখতে চায়। সেই কারণেই গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলংকার মতো দলগুলো। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

এবার নতুন রাজা পাওয়ার পালা। রাতটা শেষ হলেই বিশ্বকাপের সোনালী রঙা ট্রফিটার জন্য লড়াইয়ে নামবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অন্যতম অভিজাত দেশ হলেও গত ৪৪ বছরে তাদেরও সুযোগ হয়নি ট্রফি ছুঁয়ে দেখার। নিজেদের দেশে দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। অন্যদিকে গত আসরে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় নিউজিল্যান্ডের। গতবার যেখান থেকে শেষ করেছিল কিউইরা, এবার শুরুটা সেখান থেকেই করেছে। শেষ চারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারাও।

এখন ফাইনালের অপেক্ষা। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দুদল। বাংলাদেশে অবশ্য ক্রিকেটের উন্মাদনা এখন আর আগের মতো নেই। বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশ দল বিদায় নিয়ে গ্রুপপর্ব থেকেই। টাইগার সমর্থকরা খুব করেই চাইছিলেন সেমিতে এবার যেন ভারত ও অস্ট্রেলিয়া হারে। নিজেদের বিশ্বকাপ শেষ, তাতে কি, অন্তত নতুন কোনো দলের হাতেই উঠুক বিশ্বকাপ। গত কয়েক বছর ধরে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো ক্রিকেটে যে আধিপত্যবাদ শুরু করেছিল ইংল্যান্ডের এই বিশ্বকাপ দিয়ে সেটা যেন শেষ হয়।

১৪ জুলাইয়ের ফাইনালে বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে নতুন রাজার। যে দলই জিতুক না কেন, টাইগার ফ্যানরা চান ফাইনালটা যেন হয় ফাইনালের মতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রাত পোহালেই ফাইনাল, পাওয়া যাবে ক্রিকেটের ‘নতুন রাজা’

আপডেট সময় : ১০:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক; 

কেবল রাত পোহানোর অপেক্ষা। ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় এখন প্রায় রাত সাড়ে ১০টা। দিনের ব্যস্ততা সেরে যে যার মতো অবকাশের অপেক্ষায়। ক্রিকেট সমর্থকরাও চোখ বোজার অপেক্ষায়। রাত পেরুলেই যে ক্রিকেট পাবে তার নতুন রাজা। ইংল্যান্ড নয়তো নিউজিল্যান্ড। নতুন এক দলের হাতে উঠবে বিশ্বকাপের ট্রফি। এ যেন ক্রিকেটে নতুন যুগেরই আগমনী বার্তা।

সূচনা লগ্ন থেকেই ক্রিকেটটা যেন অভিজাতদেরই সম্পদ। কখনো ইংল্যান্ড বা কখনো অস্ট্রেলিয়া। নতুন সদস্যরা জায়গা পেলেও নিজেদের এই দুটি দলের ছায়া থেকে বের করতে পারেনি।

ক্রিকেট পরিবারে সদস্য বেড়ে যাওয়ায় একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন হয় সেই ১৯৭৫ সালে। প্রথম আসরেই বাজিমাত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর থেকে ক্রিকেটে শুরু হয় ক্যারিবীয় সাম্রাজ্য। ১৯৮৩ সালে ক্যারিবীয় রাজ্যে আঘাত হানে ভারত। ক্রিকেটে তখন ‘ছোটলোক’দের অধিপত্য।

১৯৮৭ সালে ভারতের অনুষ্ঠিত আসরে জেগে ওঠে ক্রিকেটের জনক দুই দেশ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জেতে অজিরা। পরের বছরই আবার শ্রেষ্ঠত্ব ছিনিয়ে নেয় ‘ছোট’রা। এবার আগামনী সঙ্গীত শোনায় পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালে পরের আসরটি ছিল আরেক নবীনের। সেবার সবাইকে ছাপিয়ে যায় শ্রীলংকা।

পরের ২৩ বছরটা অস্ট্রেলিয়ার। মাঝখানে ২০১১ সালে ভারত এবার শিরোপা জিতলেও অজি সাম্রাজ্যবাদে সেটা মোটেও আঘাত হানতে পারেনি। তবে ২০১৯ সালের চিত্রটা ভিন্ন। অস্ট্রেলিয়ার অধিপত্যে আঘাত হেনেছে বাকি সদস্যরা। এবার তারা নতুন রাজা দেখতে চায়। সেই কারণেই গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলংকার মতো দলগুলো। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

এবার নতুন রাজা পাওয়ার পালা। রাতটা শেষ হলেই বিশ্বকাপের সোনালী রঙা ট্রফিটার জন্য লড়াইয়ে নামবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অন্যতম অভিজাত দেশ হলেও গত ৪৪ বছরে তাদেরও সুযোগ হয়নি ট্রফি ছুঁয়ে দেখার। নিজেদের দেশে দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। অন্যদিকে গত আসরে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় নিউজিল্যান্ডের। গতবার যেখান থেকে শেষ করেছিল কিউইরা, এবার শুরুটা সেখান থেকেই করেছে। শেষ চারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারাও।

এখন ফাইনালের অপেক্ষা। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দুদল। বাংলাদেশে অবশ্য ক্রিকেটের উন্মাদনা এখন আর আগের মতো নেই। বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশ দল বিদায় নিয়ে গ্রুপপর্ব থেকেই। টাইগার সমর্থকরা খুব করেই চাইছিলেন সেমিতে এবার যেন ভারত ও অস্ট্রেলিয়া হারে। নিজেদের বিশ্বকাপ শেষ, তাতে কি, অন্তত নতুন কোনো দলের হাতেই উঠুক বিশ্বকাপ। গত কয়েক বছর ধরে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো ক্রিকেটে যে আধিপত্যবাদ শুরু করেছিল ইংল্যান্ডের এই বিশ্বকাপ দিয়ে সেটা যেন শেষ হয়।

১৪ জুলাইয়ের ফাইনালে বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে নতুন রাজার। যে দলই জিতুক না কেন, টাইগার ফ্যানরা চান ফাইনালটা যেন হয় ফাইনালের মতো।