ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ




দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য তিনি

অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির লাগামহীন ঘোড়ায় চড়ে তিনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

এইচ আর শফিক: 

বর্তমানে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মরত থাকা অবস্থায় দুর্নীতি ও লুটপাটের মহা উৎসব উদযাপন করে গড়েছেন শত কোটি টাকার সম্পদ। সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির লাগামহীন ঘোড়ায় চড়ে তিনি আজ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। 

তিনি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হক। যার বিরুদ্ধে বদলি টেন্ডার ভুয়া ভাউচার বাণিজ্য সহ নানা রকম অভিযোগ উঠেছে। বদলি অথবা পুনরায় বদলি (সাবেক কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা) বাণিজ্যের সাথেও যুক্ত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে অভিযোগে।

সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা সওজের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর স্বাক্ষরিত বদলি আদেশে নজর দিলে লক্ষ্য করা যায় যে, ২০২১ নভেম্বর মাসের ২ ও ৯ তারিখে বদলি আদেশ পাওয়া যান্ত্রিক বিভাগের চার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আকশ আলী, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ রায়হান ও সাইদুল ইসলামকে ২১ নভেম্বর পুনরায় বদলি করে আনা হয়েছে সাবেক কর্মস্থলে। যার জন্য তদবির করেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হক। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন একাধিক উপ-প্রকৌশলীগণ।

নাম না প্রকাশের শর্তে পটুয়াখালীর শূণ্য পদে বদলি হয়ে যাওয়া একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, ২০২১ সালে পটুয়াখালী ফেরি বিভাগের শূন্য পদে আমার বদলি হলে সাবেক কর্মস্থলে বদলি হতে চাই কি না এ বিষয়ে জানতে চান শামীমুল হক। তিনি আমাকে বলেন, বদলির জন্য ১৮ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সওজের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হকের বদলি বাণিজ্যে ও চার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কমিশন গ্রহণের মাধ্যমে কাজ দেওয়ার তথ্য-প্রমাণ সহ সংবাদ প্রকাশিত হয় একটি পত্রিকায় ‘চলছে দুদকের তদন্ত, থেমে নেই শামীম’শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হক পক্ষ থেকে প্রতিবেদক’কে মামলা ও জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও ২৩জন ব্যক্তি দিয়ে সংবাদটি অনলাইন থেকে মুছে ফেলার জন্য অফিসে তদবির চালান শামীমুল হক। এদের মধ্যে কুলসুম নামের এক নারী সম্পাদককে বারবার ফোন দিয়ে নিজেকে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হকের মেয়ে বন্ধু দাবি করে জানতে চায় কেন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এবং শামীমুল হকের দূর্নীতির বিষয়ে সংবাদ না প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানান।

উল্লেখিত, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিভাগের সাবেক এই নির্বাহী প্রকৌশলীর কর্মজীবনের শুরুতে পটুয়াখালী ফেরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সে সময় ফেরির যন্ত্রাংশ সংস্কার ও উন্নয়নের নামে অতিরিক্ত বিল উত্তোলন, ফেরি ঘাট ইজারাদার হতে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে অর্থ আদায়, ফেরির জ্বালানী তেল ও লুব্রিকেন্ট অয়েল ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিল উত্তোলনের অভিযোগ ছিল প্রকৌশলী শামীমের বিরুদ্ধে। চাকুরী জীবনের প্রথম থেকেই সড়ক ও জনপদের বদলি সহ নানা রকম দুর্নীতির সিন্ডিকেট হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী যিনি বর্তমানে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামীমুল হক তার বিরুদ্ধে এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ওয়াটসাপ এসএমএস দেওয়া হলে তিনি সিন করে কোনো উত্তর দেননি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি এবং পরবর্তীতে মুঠোফোনে খুদে বার্তা দেওয়া হলেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য তিনি

অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির লাগামহীন ঘোড়ায় চড়ে তিনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী!

আপডেট সময় : ১২:৫২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

এইচ আর শফিক: 

বর্তমানে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মরত থাকা অবস্থায় দুর্নীতি ও লুটপাটের মহা উৎসব উদযাপন করে গড়েছেন শত কোটি টাকার সম্পদ। সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির লাগামহীন ঘোড়ায় চড়ে তিনি আজ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। 

তিনি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হক। যার বিরুদ্ধে বদলি টেন্ডার ভুয়া ভাউচার বাণিজ্য সহ নানা রকম অভিযোগ উঠেছে। বদলি অথবা পুনরায় বদলি (সাবেক কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা) বাণিজ্যের সাথেও যুক্ত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে অভিযোগে।

সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা সওজের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর স্বাক্ষরিত বদলি আদেশে নজর দিলে লক্ষ্য করা যায় যে, ২০২১ নভেম্বর মাসের ২ ও ৯ তারিখে বদলি আদেশ পাওয়া যান্ত্রিক বিভাগের চার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আকশ আলী, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ রায়হান ও সাইদুল ইসলামকে ২১ নভেম্বর পুনরায় বদলি করে আনা হয়েছে সাবেক কর্মস্থলে। যার জন্য তদবির করেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হক। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন একাধিক উপ-প্রকৌশলীগণ।

নাম না প্রকাশের শর্তে পটুয়াখালীর শূণ্য পদে বদলি হয়ে যাওয়া একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, ২০২১ সালে পটুয়াখালী ফেরি বিভাগের শূন্য পদে আমার বদলি হলে সাবেক কর্মস্থলে বদলি হতে চাই কি না এ বিষয়ে জানতে চান শামীমুল হক। তিনি আমাকে বলেন, বদলির জন্য ১৮ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সওজের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হকের বদলি বাণিজ্যে ও চার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কমিশন গ্রহণের মাধ্যমে কাজ দেওয়ার তথ্য-প্রমাণ সহ সংবাদ প্রকাশিত হয় একটি পত্রিকায় ‘চলছে দুদকের তদন্ত, থেমে নেই শামীম’শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হক পক্ষ থেকে প্রতিবেদক’কে মামলা ও জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও ২৩জন ব্যক্তি দিয়ে সংবাদটি অনলাইন থেকে মুছে ফেলার জন্য অফিসে তদবির চালান শামীমুল হক। এদের মধ্যে কুলসুম নামের এক নারী সম্পাদককে বারবার ফোন দিয়ে নিজেকে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হকের মেয়ে বন্ধু দাবি করে জানতে চায় কেন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এবং শামীমুল হকের দূর্নীতির বিষয়ে সংবাদ না প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানান।

উল্লেখিত, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিভাগের সাবেক এই নির্বাহী প্রকৌশলীর কর্মজীবনের শুরুতে পটুয়াখালী ফেরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সে সময় ফেরির যন্ত্রাংশ সংস্কার ও উন্নয়নের নামে অতিরিক্ত বিল উত্তোলন, ফেরি ঘাট ইজারাদার হতে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে অর্থ আদায়, ফেরির জ্বালানী তেল ও লুব্রিকেন্ট অয়েল ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিল উত্তোলনের অভিযোগ ছিল প্রকৌশলী শামীমের বিরুদ্ধে। চাকুরী জীবনের প্রথম থেকেই সড়ক ও জনপদের বদলি সহ নানা রকম দুর্নীতির সিন্ডিকেট হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী যিনি বর্তমানে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামীমুল হক তার বিরুদ্ধে এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ওয়াটসাপ এসএমএস দেওয়া হলে তিনি সিন করে কোনো উত্তর দেননি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি এবং পরবর্তীতে মুঠোফোনে খুদে বার্তা দেওয়া হলেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।