ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




সরকারি ঘর পাইয়া দেব আমার সাথে রাতে একান্ত সময় কাটাতে হবে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা জেলার লালমোহন থানাধীন কালমা ইউনিয়নের ডাওরী বাজার। সেখানকার চরলক্ষী গ্রামে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আবাসন প্রকল্প। সেই আবাসন প্রকল্পের ঘর পান না গরীব মানুষেরা। পেলেও টাকা গুণতে হয় এ গরীব মানুষদের। ঘরপ্রতি ৫/১০ হাজার করে টাকা নেন সেখানকার আশু সর্দার ও সেলিম সর্দার নামের ক্যাডার ভ্রাতৃদ্বয়। টাকা দিতে না পারলে যুবতী ও গৃহবধূদের অনৈতিক কুপ্রস্তাব দেন সেলিম সর্দার।

 

সেলিম সর্দারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুক্তা নামের এক যুবতী। মুক্তা জানায়, ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়ই সেলিম সর্দার তাকে রাতের বেলায় একান্তে কথা বলার জন্য ডাকে। এসব কুপ্রস্তাবের কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুক্তা।

 

এছাড়া আবাসন প্রকল্পের পুকুরের মাছ সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা থাকলেও পুকুরগুলো জবরদখল করে রেখেছেন সেলিম সর্দার। এসব অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই আবাসনের ভুক্তভোগী মানুষদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। এজন্য ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলারও সাহস পাচ্ছেন না। এখন অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কেউ কেউ জীবনের মায়া ত্যাগ করে ন্যায়বিচারের আশায় কথা বলতে শুরু করেছেন।

 

এই আবাসন প্রকল্পকে সেলিম সর্দার ইয়াবা ও মাদক ব্যবসার আখড়া হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এর ফলে শিক্ষার্থী ও যুবকরা মাদকাসক্ত হয়ে বিপথে যাচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছেন।

 

সেলিম সর্দার এসব অভিযোগের বিষয়ে বলেন, কেউ যদি আবাসন প্রকল্পে ঘর দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যুবতীকে একান্ত সময় কাটানোর কুপ্রস্তাব দেওয়া ও ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

 

লম্পট সেলিম সর্দারের এসব অত্যাচার ও কুপ্রস্তাবের বিচার না পেয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী যুবতী মুক্তার বাবা নুরুল ইসলাম।

 

এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন: আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত সেলিম সর্দারসহ সংশ্লিষ্ট সব অপরাধীকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সরকারি ঘর পাইয়া দেব আমার সাথে রাতে একান্ত সময় কাটাতে হবে!

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা জেলার লালমোহন থানাধীন কালমা ইউনিয়নের ডাওরী বাজার। সেখানকার চরলক্ষী গ্রামে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আবাসন প্রকল্প। সেই আবাসন প্রকল্পের ঘর পান না গরীব মানুষেরা। পেলেও টাকা গুণতে হয় এ গরীব মানুষদের। ঘরপ্রতি ৫/১০ হাজার করে টাকা নেন সেখানকার আশু সর্দার ও সেলিম সর্দার নামের ক্যাডার ভ্রাতৃদ্বয়। টাকা দিতে না পারলে যুবতী ও গৃহবধূদের অনৈতিক কুপ্রস্তাব দেন সেলিম সর্দার।

 

সেলিম সর্দারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুক্তা নামের এক যুবতী। মুক্তা জানায়, ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়ই সেলিম সর্দার তাকে রাতের বেলায় একান্তে কথা বলার জন্য ডাকে। এসব কুপ্রস্তাবের কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুক্তা।

 

এছাড়া আবাসন প্রকল্পের পুকুরের মাছ সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা থাকলেও পুকুরগুলো জবরদখল করে রেখেছেন সেলিম সর্দার। এসব অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই আবাসনের ভুক্তভোগী মানুষদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। এজন্য ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলারও সাহস পাচ্ছেন না। এখন অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কেউ কেউ জীবনের মায়া ত্যাগ করে ন্যায়বিচারের আশায় কথা বলতে শুরু করেছেন।

 

এই আবাসন প্রকল্পকে সেলিম সর্দার ইয়াবা ও মাদক ব্যবসার আখড়া হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এর ফলে শিক্ষার্থী ও যুবকরা মাদকাসক্ত হয়ে বিপথে যাচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছেন।

 

সেলিম সর্দার এসব অভিযোগের বিষয়ে বলেন, কেউ যদি আবাসন প্রকল্পে ঘর দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যুবতীকে একান্ত সময় কাটানোর কুপ্রস্তাব দেওয়া ও ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

 

লম্পট সেলিম সর্দারের এসব অত্যাচার ও কুপ্রস্তাবের বিচার না পেয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী যুবতী মুক্তার বাবা নুরুল ইসলাম।

 

এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন: আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত সেলিম সর্দারসহ সংশ্লিষ্ট সব অপরাধীকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।