ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo টাটা মটরস বাংলাদেশে উদ্বোধন করলো টাটা যোদ্ধা Logo আশা শিক্ষা কর্মসূচী কর্তৃক অভিভাবক মতবিনিময় সভা Logo গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি চাপায় পিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী -উত্তাল গণপূর্ত Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ




ভালো নেই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ; 
ভালো নেই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা। উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে যে নার্সরা জীবনবাজি রেখে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দিনরাত সেবা দিচ্ছেন তাদের ভাগে মিলছে না প্রয়োজনীয় খাবারটুকু। অথচ কথা ছিল, নার্সরা টানা সাত দিন দায়িত্ব পালনের পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু নার্স সংকটের কারণে সে সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) জুটলেও ‘এন-৯৫’ মাস্কের নামে যে মাস্ক দেওয়া হয়েছে তা পরে ডিউটি করতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান নার্সরা।

হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর চেয়ে নার্সের সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিদিন নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পরও অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অথচ বাড়তি এই শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের পর তাদের জন্য সুষম খাবার মিলছে না। তারা জানান, স্থানীয় একটি হোটেলের রান্না করা নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে তাদের এবং ১২ এপ্রিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই জীবনবাজি রাখা সেবাদানকারীদের না খেয়ে থাকতে হয়। জানা যায়, বাজেট না থাকার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এই নার্সরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের ডিউটি করে তারা স্বাভাবিক সময়ের মতো পরিবারে ফিরতে পারছেন না। তাদের থাকতে হচ্ছে উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে। সার্বিক পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত ৮৭ জন নার্সের অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এত দিন মুখ না খুললেও হঠাত্ করে বাজেট নেই—দোহাই দিয়ে খাবার বন্ধ করে দেওয়ার পর সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কান্নারত ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন নার্স বলেন, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপালের তৃতীয় তলা থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত বর্তমানে মোট ১৩০ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এ হাসপাতালটিতে স্থায়ী ও ডেপুটেশন মিলিয়ে বর্তমানে নার্সের সংখ্যা ৮৭ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন নার্স ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) দায়িত্বে আছেন। বাকি ৫৭ জনের মধ্যে ৭-৮ জন মাতৃত্বকালীন ছুটি, গর্ভবতী ও সিনিয়র নার্স থাকায় প্রকৃতপক্ষে কমবেশি ৪৫ জন নার্সকে ওয়ার্ডে রোগী সামলানোসহ দাপ্তরিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নার্সের সংখ্যা কম হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও রোগীদের সংস্পর্শে বেশি বেশি আসতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আইসিইউ ছাড়াই ওয়ার্ড ও অন্যান্য ওয়ার্কিং স্টেশন সামলাতে প্রতি শিফটে কমপক্ষে ৩৫ জন নার্স অর্থাত্ তিন শিফটে শতাধিক নার্স নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভালো নেই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০

সকালের সংবাদ; 
ভালো নেই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা। উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে যে নার্সরা জীবনবাজি রেখে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দিনরাত সেবা দিচ্ছেন তাদের ভাগে মিলছে না প্রয়োজনীয় খাবারটুকু। অথচ কথা ছিল, নার্সরা টানা সাত দিন দায়িত্ব পালনের পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু নার্স সংকটের কারণে সে সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) জুটলেও ‘এন-৯৫’ মাস্কের নামে যে মাস্ক দেওয়া হয়েছে তা পরে ডিউটি করতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান নার্সরা।

হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর চেয়ে নার্সের সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিদিন নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পরও অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অথচ বাড়তি এই শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের পর তাদের জন্য সুষম খাবার মিলছে না। তারা জানান, স্থানীয় একটি হোটেলের রান্না করা নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে তাদের এবং ১২ এপ্রিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই জীবনবাজি রাখা সেবাদানকারীদের না খেয়ে থাকতে হয়। জানা যায়, বাজেট না থাকার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এই নার্সরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের ডিউটি করে তারা স্বাভাবিক সময়ের মতো পরিবারে ফিরতে পারছেন না। তাদের থাকতে হচ্ছে উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে। সার্বিক পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত ৮৭ জন নার্সের অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এত দিন মুখ না খুললেও হঠাত্ করে বাজেট নেই—দোহাই দিয়ে খাবার বন্ধ করে দেওয়ার পর সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কান্নারত ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন নার্স বলেন, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপালের তৃতীয় তলা থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত বর্তমানে মোট ১৩০ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এ হাসপাতালটিতে স্থায়ী ও ডেপুটেশন মিলিয়ে বর্তমানে নার্সের সংখ্যা ৮৭ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন নার্স ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) দায়িত্বে আছেন। বাকি ৫৭ জনের মধ্যে ৭-৮ জন মাতৃত্বকালীন ছুটি, গর্ভবতী ও সিনিয়র নার্স থাকায় প্রকৃতপক্ষে কমবেশি ৪৫ জন নার্সকে ওয়ার্ডে রোগী সামলানোসহ দাপ্তরিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নার্সের সংখ্যা কম হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও রোগীদের সংস্পর্শে বেশি বেশি আসতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আইসিইউ ছাড়াই ওয়ার্ড ও অন্যান্য ওয়ার্কিং স্টেশন সামলাতে প্রতি শিফটে কমপক্ষে ৩৫ জন নার্স অর্থাত্ তিন শিফটে শতাধিক নার্স নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।