ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




ভালো নেই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ; 
ভালো নেই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা। উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে যে নার্সরা জীবনবাজি রেখে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দিনরাত সেবা দিচ্ছেন তাদের ভাগে মিলছে না প্রয়োজনীয় খাবারটুকু। অথচ কথা ছিল, নার্সরা টানা সাত দিন দায়িত্ব পালনের পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু নার্স সংকটের কারণে সে সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) জুটলেও ‘এন-৯৫’ মাস্কের নামে যে মাস্ক দেওয়া হয়েছে তা পরে ডিউটি করতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান নার্সরা।

হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর চেয়ে নার্সের সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিদিন নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পরও অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অথচ বাড়তি এই শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের পর তাদের জন্য সুষম খাবার মিলছে না। তারা জানান, স্থানীয় একটি হোটেলের রান্না করা নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে তাদের এবং ১২ এপ্রিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই জীবনবাজি রাখা সেবাদানকারীদের না খেয়ে থাকতে হয়। জানা যায়, বাজেট না থাকার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এই নার্সরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের ডিউটি করে তারা স্বাভাবিক সময়ের মতো পরিবারে ফিরতে পারছেন না। তাদের থাকতে হচ্ছে উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে। সার্বিক পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত ৮৭ জন নার্সের অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এত দিন মুখ না খুললেও হঠাত্ করে বাজেট নেই—দোহাই দিয়ে খাবার বন্ধ করে দেওয়ার পর সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কান্নারত ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন নার্স বলেন, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপালের তৃতীয় তলা থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত বর্তমানে মোট ১৩০ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এ হাসপাতালটিতে স্থায়ী ও ডেপুটেশন মিলিয়ে বর্তমানে নার্সের সংখ্যা ৮৭ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন নার্স ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) দায়িত্বে আছেন। বাকি ৫৭ জনের মধ্যে ৭-৮ জন মাতৃত্বকালীন ছুটি, গর্ভবতী ও সিনিয়র নার্স থাকায় প্রকৃতপক্ষে কমবেশি ৪৫ জন নার্সকে ওয়ার্ডে রোগী সামলানোসহ দাপ্তরিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নার্সের সংখ্যা কম হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও রোগীদের সংস্পর্শে বেশি বেশি আসতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আইসিইউ ছাড়াই ওয়ার্ড ও অন্যান্য ওয়ার্কিং স্টেশন সামলাতে প্রতি শিফটে কমপক্ষে ৩৫ জন নার্স অর্থাত্ তিন শিফটে শতাধিক নার্স নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভালো নেই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০

সকালের সংবাদ; 
ভালো নেই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা। উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে যে নার্সরা জীবনবাজি রেখে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দিনরাত সেবা দিচ্ছেন তাদের ভাগে মিলছে না প্রয়োজনীয় খাবারটুকু। অথচ কথা ছিল, নার্সরা টানা সাত দিন দায়িত্ব পালনের পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু নার্স সংকটের কারণে সে সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) জুটলেও ‘এন-৯৫’ মাস্কের নামে যে মাস্ক দেওয়া হয়েছে তা পরে ডিউটি করতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান নার্সরা।

হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর চেয়ে নার্সের সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিদিন নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পরও অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অথচ বাড়তি এই শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের পর তাদের জন্য সুষম খাবার মিলছে না। তারা জানান, স্থানীয় একটি হোটেলের রান্না করা নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে তাদের এবং ১২ এপ্রিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই জীবনবাজি রাখা সেবাদানকারীদের না খেয়ে থাকতে হয়। জানা যায়, বাজেট না থাকার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এই নার্সরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের ডিউটি করে তারা স্বাভাবিক সময়ের মতো পরিবারে ফিরতে পারছেন না। তাদের থাকতে হচ্ছে উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে। সার্বিক পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত ৮৭ জন নার্সের অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এত দিন মুখ না খুললেও হঠাত্ করে বাজেট নেই—দোহাই দিয়ে খাবার বন্ধ করে দেওয়ার পর সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কান্নারত ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন নার্স বলেন, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপালের তৃতীয় তলা থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত বর্তমানে মোট ১৩০ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এ হাসপাতালটিতে স্থায়ী ও ডেপুটেশন মিলিয়ে বর্তমানে নার্সের সংখ্যা ৮৭ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন নার্স ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) দায়িত্বে আছেন। বাকি ৫৭ জনের মধ্যে ৭-৮ জন মাতৃত্বকালীন ছুটি, গর্ভবতী ও সিনিয়র নার্স থাকায় প্রকৃতপক্ষে কমবেশি ৪৫ জন নার্সকে ওয়ার্ডে রোগী সামলানোসহ দাপ্তরিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নার্সের সংখ্যা কম হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ও রোগীদের সংস্পর্শে বেশি বেশি আসতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আইসিইউ ছাড়াই ওয়ার্ড ও অন্যান্য ওয়ার্কিং স্টেশন সামলাতে প্রতি শিফটে কমপক্ষে ৩৫ জন নার্স অর্থাত্ তিন শিফটে শতাধিক নার্স নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।