ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




মানিকগঞ্জের আরও একটি গ্রাম লকডাউন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০ ৬০ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক; 

মানিকগঞ্জের আরও একটি গ্রামকে লকডাউন করলো স্থানীয় প্রশাসন। আজ রোববার বিকেলে লকডাইন ঘোষণা করা হয়েছে হরিরামপুর উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের বরইছড়া গ্রামকে। করোনাভাইরাসের লক্ষণ আছে- এমন এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হরিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ওই গ্রামকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু সন্দেহে গত ২৫ মার্চ ঘিওর উপজেলার বাইলজুরি গ্রামকে লক ডাউন ঘোষণা করে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ওই গ্রামের দোকানদার নিতাই সরকারের স্ত্রী সুচিত্রা সরকার (২৬) একজন গৃহিনী। তাকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুচিত্রা সরকার ৪ দিন ধরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ১৮ মার্চ ওই নারীর শ্বশুর মারা যান। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বেশকিছু সংখ্যক লোক এসেছিলেন। সেইখানে আসা কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওই হাসপাতালে উপ-পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরিবারের কাছ থেকে রোগীর সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে তার শরীরে করোনাভাইরাসের সব উপসর্গই বিদ্যমান ছিলো বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা- তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা পরীক্ষার জন্য ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং পুরো গ্রামকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, গ্রামের মানুষের যাতে খাবার সংকট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে তাদের খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মানিকগঞ্জের আরও একটি গ্রাম লকডাউন

আপডেট সময় : ১০:৪৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০

সকালের সংবাদ ডেস্ক; 

মানিকগঞ্জের আরও একটি গ্রামকে লকডাউন করলো স্থানীয় প্রশাসন। আজ রোববার বিকেলে লকডাইন ঘোষণা করা হয়েছে হরিরামপুর উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের বরইছড়া গ্রামকে। করোনাভাইরাসের লক্ষণ আছে- এমন এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হরিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ওই গ্রামকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু সন্দেহে গত ২৫ মার্চ ঘিওর উপজেলার বাইলজুরি গ্রামকে লক ডাউন ঘোষণা করে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ওই গ্রামের দোকানদার নিতাই সরকারের স্ত্রী সুচিত্রা সরকার (২৬) একজন গৃহিনী। তাকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুচিত্রা সরকার ৪ দিন ধরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ১৮ মার্চ ওই নারীর শ্বশুর মারা যান। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বেশকিছু সংখ্যক লোক এসেছিলেন। সেইখানে আসা কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওই হাসপাতালে উপ-পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরিবারের কাছ থেকে রোগীর সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে তার শরীরে করোনাভাইরাসের সব উপসর্গই বিদ্যমান ছিলো বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা- তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা পরীক্ষার জন্য ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং পুরো গ্রামকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, গ্রামের মানুষের যাতে খাবার সংকট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে তাদের খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হবে।