ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার অযুহাতে প্রতিবন্ধীকে মারধর ও চাঁদা দাবী, অভিযোগ কাউন্সিলর কবিরের দিকে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক|| বরিশাল মহানগর এর ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির(কবির চেয়ারম্যান ) এর লোকজন সোহাগ নামের এক প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিকে বিষ মেশানো মাছ ধরার অযুহাতে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভিডিও ক্লিপে অভিযোগকারী প্রতিবন্ধী সোহাগ বলেন ” খালেক নাইয়ার ছেলেরা মহসিন ও বায়েজিদ হঠাৎ অতর্কিত পশু জবাই করার ছোরা ও বাঁশ লাঠি নিয়ে আমাকে হঠাৎ মারধর করে। এসময় মারধরের পর সাদা ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর নেয় রুমন। আর ছোরা ধরে ইকবাল। ঘটনার দিন আমাকে তারা প্রচুর মারধর করে। এরা গত প্রায় দুবছর ধরে মাছ ধরার কৌশল হিসেবে কীটনাশক এর অপব্যবহার করে আসছে। এরা প্রথমে কীটনাশক দেয় খালের ভাটার সময়, তারপর মাছ পাড়ে চলে গেলে সব মাছ ধরে নেয় এ চক্রটি। এদের সাথে জড়িত খালেক নাইয়ার জামাই বরিশাল কোষ্টগার্ডের নৌকা চালক মিঠুন। সে এমন চক্রের সাহায্য করে এবং কোষ্টগার্ডের অভিযান থেকে মাছ চোরদের বাঁচায়। এছাড়াও জাল চুরি করে বিক্রি করে মিঠুন। এর মধ্যে গত পরশুদিন আমাকে মারধরের ঘটনায় সাচ্চা মুন্সি আমাকে আমার আটককৃত নৌকা,জাল ফেরৎ দিতে চান এবং বলেন নতুন করে ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর করে নিতে। আমি তাতে রাজি হইনি। এরা সবাই ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির এর লোক। এবং এ ঘটনার পিছে তিনি আছেন জড়িত। আমি আমাকে মারধরের ঘটনায় সবার শাস্তি চাই, প্রয়োজনে মামলা করতেও রাজি।”

এছাড়াও এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে নিজ্ব এলাকায় বাল্যবিয়েরও ব্যাবস্থা ও তাদের সমাধানও দেন তিনি।

অভিযোগ সমন্ধে কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বরেন “মারধরের ঘটনা শুনেছি এবং যতদূর জানি নৌকা জাল ফেরৎ দিয়ে দিয়েছে। আর বাকি অভিযোগগুলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার অযুহাতে প্রতিবন্ধীকে মারধর ও চাঁদা দাবী, অভিযোগ কাউন্সিলর কবিরের দিকে

আপডেট সময় : ১০:১১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯

বিশেষ প্রতিবেদক|| বরিশাল মহানগর এর ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির(কবির চেয়ারম্যান ) এর লোকজন সোহাগ নামের এক প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিকে বিষ মেশানো মাছ ধরার অযুহাতে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভিডিও ক্লিপে অভিযোগকারী প্রতিবন্ধী সোহাগ বলেন ” খালেক নাইয়ার ছেলেরা মহসিন ও বায়েজিদ হঠাৎ অতর্কিত পশু জবাই করার ছোরা ও বাঁশ লাঠি নিয়ে আমাকে হঠাৎ মারধর করে। এসময় মারধরের পর সাদা ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর নেয় রুমন। আর ছোরা ধরে ইকবাল। ঘটনার দিন আমাকে তারা প্রচুর মারধর করে। এরা গত প্রায় দুবছর ধরে মাছ ধরার কৌশল হিসেবে কীটনাশক এর অপব্যবহার করে আসছে। এরা প্রথমে কীটনাশক দেয় খালের ভাটার সময়, তারপর মাছ পাড়ে চলে গেলে সব মাছ ধরে নেয় এ চক্রটি। এদের সাথে জড়িত খালেক নাইয়ার জামাই বরিশাল কোষ্টগার্ডের নৌকা চালক মিঠুন। সে এমন চক্রের সাহায্য করে এবং কোষ্টগার্ডের অভিযান থেকে মাছ চোরদের বাঁচায়। এছাড়াও জাল চুরি করে বিক্রি করে মিঠুন। এর মধ্যে গত পরশুদিন আমাকে মারধরের ঘটনায় সাচ্চা মুন্সি আমাকে আমার আটককৃত নৌকা,জাল ফেরৎ দিতে চান এবং বলেন নতুন করে ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর করে নিতে। আমি তাতে রাজি হইনি। এরা সবাই ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির এর লোক। এবং এ ঘটনার পিছে তিনি আছেন জড়িত। আমি আমাকে মারধরের ঘটনায় সবার শাস্তি চাই, প্রয়োজনে মামলা করতেও রাজি।”

এছাড়াও এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে নিজ্ব এলাকায় বাল্যবিয়েরও ব্যাবস্থা ও তাদের সমাধানও দেন তিনি।

অভিযোগ সমন্ধে কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বরেন “মারধরের ঘটনা শুনেছি এবং যতদূর জানি নৌকা জাল ফেরৎ দিয়ে দিয়েছে। আর বাকি অভিযোগগুলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা।”