ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী




ভালুকায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুলছাত্রী। তার নাম মারিয়া আফরোজ সুইটি (১৪)।

সুইটি উপজেলার পুরুড়া গ্রামের তেতুলিয়াপাড়ার কুয়েত প্রবাসী মোতাহার হোসেন সবুজের মেয়ে। সে উপজেলার ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

শনিবার সকালে নিহতের বাড়ির পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার উপজেলায় ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ডে বিষপান করে অচেতন হয়ে পড়ে সুইটি। পরে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

ফেসবুকে সুইটির স্ট্যাটাস- ‘আমাকে বোঝার ট্রাই তোমরা কোনো দিন করো নাই… যেই দিন আমি তোমাদের ছেড়ে চলে যাব অচিনপুর, তখন তোমরা আমাকে বুঝবা আমি কি ছিলাম তোমাদের জন্য। তখন চাইলেও কেউ আমাকে ফিরে পাবে না, বাই।’

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুইটির সঙ্গে দেড় বছর ধরে একই গ্রামের তাজুল ইসলাম তাজেলের কলেজ পড়ূয়া ছেলে কবির আহমেদের প্রেম ছিল। কিন্তু সুইটির বাবা-মা মেয়ের এ সম্পর্ক কোনোভাবেই মেনে নেননি। ছেলে পক্ষ বিয়ের জন্য মেয়ের বাড়িতে লোক পাঠালে ছেলে গরিব হওয়ায় বিয়ে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

এ নিয়ে গত এক বছরে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনাও হয়। কিন্তু মেয়েপক্ষ ঘটনাটি কোনোভাবেই মেনে না নেয়ায় গত বুধবার সুইটি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটান লেখে।

এর পর গত বৃহস্পতিবার সকালে সুইটি স্কুলে আসে এবং দুপুরের বিরতির সময় ভালুকা সদরে গিয়ে ইঁদুর মারার বিষ কিনে খেয়ে বাসে চড়ে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে বাস থেকে ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড নামার পর তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান।

এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার রাতেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত সুইটির চাচা আজিজুল হক সুজন জানান, এক বছর আগে একই গ্রামের কবিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুইটির। কিন্তু অনেক দিন হলো ওই সম্পর্ক ভেঙে গেছে।

উপজেলার ধলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজছাত্র কবির আহমেদ বলেন, আমরা গরিব বলে আমার সঙ্গে সুইটির পরিবার বিয়ে দেবে না বলে জানায়। তাই সুইটির সঙ্গে অনেক দিন ধরে আমার যোগাযোগ নেই।

ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর হক জানান, ঘটনাটি আমরা পরে শুনেছি। বাড়ির পাশে এক ছেলের সঙ্গে না কি মেয়েটির প্রেম ছিল। তার পরিবারের লোকজন তাদের প্রেম মেনে না নেয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভালুকায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুলছাত্রী। তার নাম মারিয়া আফরোজ সুইটি (১৪)।

সুইটি উপজেলার পুরুড়া গ্রামের তেতুলিয়াপাড়ার কুয়েত প্রবাসী মোতাহার হোসেন সবুজের মেয়ে। সে উপজেলার ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

শনিবার সকালে নিহতের বাড়ির পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার উপজেলায় ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ডে বিষপান করে অচেতন হয়ে পড়ে সুইটি। পরে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

ফেসবুকে সুইটির স্ট্যাটাস- ‘আমাকে বোঝার ট্রাই তোমরা কোনো দিন করো নাই… যেই দিন আমি তোমাদের ছেড়ে চলে যাব অচিনপুর, তখন তোমরা আমাকে বুঝবা আমি কি ছিলাম তোমাদের জন্য। তখন চাইলেও কেউ আমাকে ফিরে পাবে না, বাই।’

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুইটির সঙ্গে দেড় বছর ধরে একই গ্রামের তাজুল ইসলাম তাজেলের কলেজ পড়ূয়া ছেলে কবির আহমেদের প্রেম ছিল। কিন্তু সুইটির বাবা-মা মেয়ের এ সম্পর্ক কোনোভাবেই মেনে নেননি। ছেলে পক্ষ বিয়ের জন্য মেয়ের বাড়িতে লোক পাঠালে ছেলে গরিব হওয়ায় বিয়ে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

এ নিয়ে গত এক বছরে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনাও হয়। কিন্তু মেয়েপক্ষ ঘটনাটি কোনোভাবেই মেনে না নেয়ায় গত বুধবার সুইটি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটান লেখে।

এর পর গত বৃহস্পতিবার সকালে সুইটি স্কুলে আসে এবং দুপুরের বিরতির সময় ভালুকা সদরে গিয়ে ইঁদুর মারার বিষ কিনে খেয়ে বাসে চড়ে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে বাস থেকে ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড নামার পর তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান।

এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার রাতেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত সুইটির চাচা আজিজুল হক সুজন জানান, এক বছর আগে একই গ্রামের কবিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুইটির। কিন্তু অনেক দিন হলো ওই সম্পর্ক ভেঙে গেছে।

উপজেলার ধলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজছাত্র কবির আহমেদ বলেন, আমরা গরিব বলে আমার সঙ্গে সুইটির পরিবার বিয়ে দেবে না বলে জানায়। তাই সুইটির সঙ্গে অনেক দিন ধরে আমার যোগাযোগ নেই।

ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর হক জানান, ঘটনাটি আমরা পরে শুনেছি। বাড়ির পাশে এক ছেলের সঙ্গে না কি মেয়েটির প্রেম ছিল। তার পরিবারের লোকজন তাদের প্রেম মেনে না নেয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।