ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




কাউকে বিব্রত করে থাকলে দুঃখিত : ড. কামাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

 

 

স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে প্রশ্ন করায় শুক্রবার সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

শনিবার সকালে গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন,হঠাৎ করেই তার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সবিনয়ে জানান, এই দিনে এখানে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। সাংবাদিক আবারও একই প্রশ্ন করলে তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দুইবার এ বিষয়ে প্রশ্ন শুনতে না চাইলেও তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনবরত ‘জামায়াত জামায়াত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

ড. কামাল বলেন, ‘আমি সারা জীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি। আশা করি, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা তাদের জীবনের বিনিময়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আমরা সবাই মিলে গড়তে সক্ষম হবো।’

শুক্রবার সকালে মোহাম্মদপুরের শহীদ বেদীতে সাংবাদিকরা ড. কামালকে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনারে এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না।’

একই প্রশ্ন আবার করা হলে ড. কামাল ক্ষেপে উঠে বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা বল। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? চিনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা কর তোমরা। আশ্চর্য!

পাশে থাকা দুই একজন নেতা এ সময় কামাল হোসেনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকজন সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন চালিয়ে গেলে ধমকে ওঠেন কামাল।

তিনি বলেন, শহীদদের কথা চিন্তা কর। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ।

পরে তিনি হাঁপাতে হাঁপাতে প্রশ্ন করেন, আশ্চর্য! তোমার নাম কি?… কোন পত্রিকার?… টেলিভিশন, জেনে রাখলাম।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি জিডি করেছেন দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কাউকে বিব্রত করে থাকলে দুঃখিত : ড. কামাল

আপডেট সময় : ০১:৪৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 

 

স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে প্রশ্ন করায় শুক্রবার সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

শনিবার সকালে গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন,হঠাৎ করেই তার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সবিনয়ে জানান, এই দিনে এখানে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। সাংবাদিক আবারও একই প্রশ্ন করলে তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দুইবার এ বিষয়ে প্রশ্ন শুনতে না চাইলেও তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনবরত ‘জামায়াত জামায়াত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

ড. কামাল বলেন, ‘আমি সারা জীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি। আশা করি, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা তাদের জীবনের বিনিময়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আমরা সবাই মিলে গড়তে সক্ষম হবো।’

শুক্রবার সকালে মোহাম্মদপুরের শহীদ বেদীতে সাংবাদিকরা ড. কামালকে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনারে এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না।’

একই প্রশ্ন আবার করা হলে ড. কামাল ক্ষেপে উঠে বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা বল। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? চিনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা কর তোমরা। আশ্চর্য!

পাশে থাকা দুই একজন নেতা এ সময় কামাল হোসেনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকজন সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন চালিয়ে গেলে ধমকে ওঠেন কামাল।

তিনি বলেন, শহীদদের কথা চিন্তা কর। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ।

পরে তিনি হাঁপাতে হাঁপাতে প্রশ্ন করেন, আশ্চর্য! তোমার নাম কি?… কোন পত্রিকার?… টেলিভিশন, জেনে রাখলাম।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি জিডি করেছেন দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ।