ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




ডেঙ্গু পরীক্ষার ডিভাইস নেই ভোলায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি ভোলা
ভোলা সদর হাসপাতালসহ জেলার ৭ উপজেলার কোনো হাসপতালেই নেই ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার ডিভাইস। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছেন জেলার ডেঙ্গু রোগীরা। এতে করে শঙ্কায় রয়েছেন ভোলার ২০ লাখ মানুষ।

ভোলার শহরের কালিবাড়ি রোডের বাসিন্দা মো. আরিফ হোসেন জানান, ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এ বছর বেশি। আমরা অফিসের কাজে ঢাকা গেলে যে কোনো সময় ডেঙ্গুর কামড়ের শিকার হতে পারি। কিন্তু ভোলা হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ডিভাইস নেই। এতে আমাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।

ওয়েস্টার্ন পাড়ার মো. সুমন জানান, আমার ছোট ভাই ঢাকায় মামার বাড়ি থেকে গত ২৭ জুলাই ভোলায় আসে। ওই দিনই তার শরীরে জ্বর উঠে। ওষুধ খাওয়াই। কিন্তু জ্বর না কমায় আমরা পরের দিন তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার করার জন্য বলে। কিন্তু সদর হাসপাতালে তা পরীক্ষার কোনো যন্ত্র না থাকায় বাধ্য হয়ে বরিশাল গিয়ে পরীক্ষা করি।

মুসলিম পাড়া এলাকার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আমরা যে কেউ যে কোনো সময় জ্বরে আক্রান্ত হতে পারি। কিন্তু তা ডেঙ্গু জ্বর কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র ভোলার কোনো হাসপাতালেই নেই। এটা খুবই দুঃখের বিষয়।

জানা গেছে, গত ২ সপ্তাহে ভোলায় ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন ভোলা সদর হাসপাতালে ও ২ জন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরা সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোলায় আসেন।

ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার জন্য যে ডিভাইস লাগে তা ভোলা সদর হাসপাতলে নেই। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আমাদের দ্রুত ডিভাইস দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই ডিভাইস চলে আসবে।

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের কোনো ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে। এটি সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ভাল হয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ডেঙ্গু পরীক্ষার ডিভাইস নেই ভোলায়

আপডেট সময় : ১০:৪২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি ভোলা
ভোলা সদর হাসপাতালসহ জেলার ৭ উপজেলার কোনো হাসপতালেই নেই ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার ডিভাইস। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছেন জেলার ডেঙ্গু রোগীরা। এতে করে শঙ্কায় রয়েছেন ভোলার ২০ লাখ মানুষ।

ভোলার শহরের কালিবাড়ি রোডের বাসিন্দা মো. আরিফ হোসেন জানান, ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এ বছর বেশি। আমরা অফিসের কাজে ঢাকা গেলে যে কোনো সময় ডেঙ্গুর কামড়ের শিকার হতে পারি। কিন্তু ভোলা হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ডিভাইস নেই। এতে আমাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।

ওয়েস্টার্ন পাড়ার মো. সুমন জানান, আমার ছোট ভাই ঢাকায় মামার বাড়ি থেকে গত ২৭ জুলাই ভোলায় আসে। ওই দিনই তার শরীরে জ্বর উঠে। ওষুধ খাওয়াই। কিন্তু জ্বর না কমায় আমরা পরের দিন তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার করার জন্য বলে। কিন্তু সদর হাসপাতালে তা পরীক্ষার কোনো যন্ত্র না থাকায় বাধ্য হয়ে বরিশাল গিয়ে পরীক্ষা করি।

মুসলিম পাড়া এলাকার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আমরা যে কেউ যে কোনো সময় জ্বরে আক্রান্ত হতে পারি। কিন্তু তা ডেঙ্গু জ্বর কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র ভোলার কোনো হাসপাতালেই নেই। এটা খুবই দুঃখের বিষয়।

জানা গেছে, গত ২ সপ্তাহে ভোলায় ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন ভোলা সদর হাসপাতালে ও ২ জন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরা সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোলায় আসেন।

ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার জন্য যে ডিভাইস লাগে তা ভোলা সদর হাসপাতলে নেই। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আমাদের দ্রুত ডিভাইস দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই ডিভাইস চলে আসবে।

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের কোনো ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে। এটি সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ভাল হয়ে যায়।