ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




২ মাস আত্মগোপনে থাকার পর ব্যবসায়ী উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

উপজেলা প্রতিনিধি সাভার (ঢাকা); 
সাভারের আশুলিয়া থেকে ৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর আত্নগোপনে থাকা আবেদ আলী (২৮) নামে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে ২ মাস পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোরে তাকে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থেকে আশুলিয়া থানায় আনা হয়। পরে জবাবনবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়। উদ্ধার হওয়া আবেদ আলী মুন্সীগঞ্জের সদর থানার শাখারী গ্রামের মৃত তাউজুল ইসলাম মাতব্বরের ছেলে। তিনি মিরপুরে গার্মেন্টস ব্যবসা করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ২১ মে আশুলিয়ার জামগড়ায় যমুনা ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা তুলে বাইপাইলে আসেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আবেদ আলী। এরপর হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান। পরিবার থেকে যোগাযোগ করেও তার কোনো খোঁজ মিলছিল না।

এ ঘটনায় অপহরণ মামলা করেন আবেদ আলীর ভাই মনির হোসেন। সেই ঘটনার সূত্র ধরে দীর্ঘ দুই মাস পর নিখোঁজ আবেদ আলীকে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থানার বানিয়াপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণ মামলায় আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার হওয়া জুয়েল ও মোস্তফা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ব্যবসায়িক পার্টনার ও ছিনতাই হওয়া টাকার চাপ থেকে বাঁচতে আত্নগোপনে চলে যান ব্যবসায়ী আবেদ আলী।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, ২ মাস রংপুরে স্বপন নামের এক বন্ধুর বাসায় আত্নগোপনে ছিলেন আবেদ। তবে প্রাথমিকভাবে অপহরণ নিয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।

আবেদ আলী জানান, টাকা তুলে আশুলিয়ার বাইপাইলে পৌছালে কে বা কারা তার টাকা নিয়ে যায়। তারপর বড় ভাই ও ব্যবসায়ীর ভয়ে নিজেই আত্নগোপনে চলে যায়। নিজের মোবাইল ফোন সেই দিনই ফেলে দেন।

কীভাবে তিনি তেতুলিয়া পৌঁছালেন- এমন প্রশ্নে আবেদ জানান, আমি প্রথমে রংপুর যাই। সেখানে পাথর ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরেই তেতুলিয়া যাওয়া।

বানিয়াপাড়ার আশ্রয়দাতা মাইনুল ইসলামের ছেলে জিয়াউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আবেদের বিপদের কথা শুনে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা যখন বলতাম, যে আপনার ভাই বা পরিবারকে ফোন দিন। আবেদ বলতেন, সমস্যা আছে, ঈদের পর ফোন দেব।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আবেদ নিজেই আত্নগোপনে ছিলেন। তবে টাকা হারিয়েছে বা কেউ নিয়ে গেছে কিনা, সেসব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




২ মাস আত্মগোপনে থাকার পর ব্যবসায়ী উদ্ধার

আপডেট সময় : ০১:২২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯

উপজেলা প্রতিনিধি সাভার (ঢাকা); 
সাভারের আশুলিয়া থেকে ৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর আত্নগোপনে থাকা আবেদ আলী (২৮) নামে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে ২ মাস পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোরে তাকে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থেকে আশুলিয়া থানায় আনা হয়। পরে জবাবনবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়। উদ্ধার হওয়া আবেদ আলী মুন্সীগঞ্জের সদর থানার শাখারী গ্রামের মৃত তাউজুল ইসলাম মাতব্বরের ছেলে। তিনি মিরপুরে গার্মেন্টস ব্যবসা করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ২১ মে আশুলিয়ার জামগড়ায় যমুনা ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা তুলে বাইপাইলে আসেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আবেদ আলী। এরপর হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান। পরিবার থেকে যোগাযোগ করেও তার কোনো খোঁজ মিলছিল না।

এ ঘটনায় অপহরণ মামলা করেন আবেদ আলীর ভাই মনির হোসেন। সেই ঘটনার সূত্র ধরে দীর্ঘ দুই মাস পর নিখোঁজ আবেদ আলীকে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থানার বানিয়াপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণ মামলায় আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার হওয়া জুয়েল ও মোস্তফা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ব্যবসায়িক পার্টনার ও ছিনতাই হওয়া টাকার চাপ থেকে বাঁচতে আত্নগোপনে চলে যান ব্যবসায়ী আবেদ আলী।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, ২ মাস রংপুরে স্বপন নামের এক বন্ধুর বাসায় আত্নগোপনে ছিলেন আবেদ। তবে প্রাথমিকভাবে অপহরণ নিয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।

আবেদ আলী জানান, টাকা তুলে আশুলিয়ার বাইপাইলে পৌছালে কে বা কারা তার টাকা নিয়ে যায়। তারপর বড় ভাই ও ব্যবসায়ীর ভয়ে নিজেই আত্নগোপনে চলে যায়। নিজের মোবাইল ফোন সেই দিনই ফেলে দেন।

কীভাবে তিনি তেতুলিয়া পৌঁছালেন- এমন প্রশ্নে আবেদ জানান, আমি প্রথমে রংপুর যাই। সেখানে পাথর ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরেই তেতুলিয়া যাওয়া।

বানিয়াপাড়ার আশ্রয়দাতা মাইনুল ইসলামের ছেলে জিয়াউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আবেদের বিপদের কথা শুনে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা যখন বলতাম, যে আপনার ভাই বা পরিবারকে ফোন দিন। আবেদ বলতেন, সমস্যা আছে, ঈদের পর ফোন দেব।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আবেদ নিজেই আত্নগোপনে ছিলেন। তবে টাকা হারিয়েছে বা কেউ নিয়ে গেছে কিনা, সেসব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।