ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




নিশ্চিন্তে বিএনপি, তদবিরে ব্যস্ত আ.লীগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি; ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। শেষ মুহূর্তে এসে এখন প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে লবিং তদবির দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত তারা।

এদিকে ধানের শীষ প্রতীকে ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন পত্র ক্রয় ও জমা দিয়েছেন প্রায় ডজন খানেক নেতা-কর্মী। প্রভাবশালী নেতাদের বাসা-বাড়িতে এখন রীতিমত উপচে পড়া ভিড়। আওয়ামী লীগের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ‘তুষ্ট’ করার জন্য হেন চেষ্টা নেই যা তারা করছেন না।

এর আগে পৌরপিতা সরকার দলীয় না থাকায় উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার মানুষ। তবে এবার ভোটাররা আশা করছেন পৌরসভার উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে সরকার দলীয় পৌরপিতার হাত ধরেই।

যে কজন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও গতবারের পরাজিত নৌকার প্রার্থী তহমিনা আখতার মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ স ম গোলাম ফারুক রুবেল, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএমএ মঈন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র বাবলুর রহমান। বাকি প্রার্থীরাও দলীয় সমর্থন আদায়ে দেন দরবার অব্যাহত রেখেছেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঠাকুরগাঁওয়ের এক মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করে আসছি। দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আশা করি সকল দিক বিবেচনা করে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনীত করবেন। তাই কেন্দ্র থেকে যাকে নৌকা মার্কা দিয়ে পাঠাবে তাকেই জয়ী করে আনতে হবে বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।

পৌর শহরের মিজানুর রহমান নামে এক সাধারণ ভোটার বলেন, এর আগে পৌরপিতা সরকার দলীয় না থাকায় উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার মানুষ। তবে এবার ভোটাররা আশা করছেন পৌরসভার উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে সরকার দলীয় পৌরপিতার হাত ধরেই।

অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ পৌরসভাটি পুনরুদ্ধার করতে চান এবারও।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, বিএনপির মহাসচিব আমাদের অভিভাবক। উনার নির্দেশনায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। পৌরসভায় ধানের শীষের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।

উল্লেখ্য, বিগত মেয়াদে ঠাকুরগাঁওয়ে পৌর মেয়র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আপন ভাই মির্জা ফয়সল আমিন তার মেয়াদে শহরের তেমন উন্নতি না করতে পারায় বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন পৌরবাসী। তাই এবার স্বেচ্ছায় মির্জা ফয়সল মেয়র প্রার্থী থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলে অন্য প্রার্থীকে চূড়ান্ত করে জেলা বিএনপি। তাই শেষ মুহূর্তে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলের সভানেত্রীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নিশ্চিন্তে বিএনপি, তদবিরে ব্যস্ত আ.লীগ

আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১

জেলা প্রতিনিধি; ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। শেষ মুহূর্তে এসে এখন প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে লবিং তদবির দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত তারা।

এদিকে ধানের শীষ প্রতীকে ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন পত্র ক্রয় ও জমা দিয়েছেন প্রায় ডজন খানেক নেতা-কর্মী। প্রভাবশালী নেতাদের বাসা-বাড়িতে এখন রীতিমত উপচে পড়া ভিড়। আওয়ামী লীগের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ‘তুষ্ট’ করার জন্য হেন চেষ্টা নেই যা তারা করছেন না।

এর আগে পৌরপিতা সরকার দলীয় না থাকায় উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার মানুষ। তবে এবার ভোটাররা আশা করছেন পৌরসভার উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে সরকার দলীয় পৌরপিতার হাত ধরেই।

যে কজন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও গতবারের পরাজিত নৌকার প্রার্থী তহমিনা আখতার মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ স ম গোলাম ফারুক রুবেল, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএমএ মঈন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র বাবলুর রহমান। বাকি প্রার্থীরাও দলীয় সমর্থন আদায়ে দেন দরবার অব্যাহত রেখেছেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঠাকুরগাঁওয়ের এক মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করে আসছি। দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আশা করি সকল দিক বিবেচনা করে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনীত করবেন। তাই কেন্দ্র থেকে যাকে নৌকা মার্কা দিয়ে পাঠাবে তাকেই জয়ী করে আনতে হবে বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।

পৌর শহরের মিজানুর রহমান নামে এক সাধারণ ভোটার বলেন, এর আগে পৌরপিতা সরকার দলীয় না থাকায় উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার মানুষ। তবে এবার ভোটাররা আশা করছেন পৌরসভার উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে সরকার দলীয় পৌরপিতার হাত ধরেই।

অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ পৌরসভাটি পুনরুদ্ধার করতে চান এবারও।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, বিএনপির মহাসচিব আমাদের অভিভাবক। উনার নির্দেশনায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। পৌরসভায় ধানের শীষের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।

উল্লেখ্য, বিগত মেয়াদে ঠাকুরগাঁওয়ে পৌর মেয়র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আপন ভাই মির্জা ফয়সল আমিন তার মেয়াদে শহরের তেমন উন্নতি না করতে পারায় বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন পৌরবাসী। তাই এবার স্বেচ্ছায় মির্জা ফয়সল মেয়র প্রার্থী থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলে অন্য প্রার্থীকে চূড়ান্ত করে জেলা বিএনপি। তাই শেষ মুহূর্তে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলের সভানেত্রীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।