ঢাকা ০৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি ব্রিটিশ পরিবারের কেউ বেঁচে নেই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপ ব্যুরোঃ
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে ২০১৫ সালে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়া ১২ সদস্যের পরিবার
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে ২০১৫ সালে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়া লন্ডনের পাশের শহর লুটনের বাসিন্দা সেই ১২ সদস্যের পরিবারের কেউ আর বেঁচে নেই। পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক তিন ছেলে মারা গেছেন জঙ্গিদের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে, ১ ও ১১ বছর বয়সী শিশুসহ পরিবারের ৭ জন নিহত হয়েছে বিমান হামলায় এবং ৭৫ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী মিনারা খাতুনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

আব্দুল মান্নানের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভের সন্তান সালিম হোসেইনের বরাত দিয়ে শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা সালিম হোসেইন বলেন, তারা কেমন আছেন তা জানতে দীর্ঘদিন আমরা চেষ্টা করছিলাম। সম্প্রতি খবর পেয়েছি সব শেষ, তারা আর কেউ বেঁচে নেই। দুঃখজনক এ পরিণতি মেনে নিয়ে নিজেরা স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করছি আমরা’।

২০১৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ফেরার পথে ইস্তাম্বুলে হোটেল থেকে নিখোঁজ হন আব্দুল মান্নানের ১২ সদস্যের পুরো পরিবার। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁওয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন তারা। নিখোঁজের দুই মাস পর সিরিয়া থেকে আব্দুল মান্নানের একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আইএস। জঙ্গি সংগঠনটিকে সমর্থনসূচক চিহ্ন সংবলিত আব্দুল মান্নানের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয় তখন। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে ওই সময় লুটনের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান সালিম হোসেইন গণমাধ্যমে দাবি করেন, তার বাবার পরিবার স্বেচ্ছায় সিরিয়ায় যায়নি, ইস্তাম্বুলের হোটেল থেকে তাদের কৌশল করে ধরে নিয়ে গেছে আইএস জঙ্গিরা।

তিনি জানান, সিরিয়ায় থাকা বাবার সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, জোর করেই আইএস জঙ্গিরা তাদের ধরে নিয়ে গেছে। ফোনে কথা বলার সময় প্রতিবারই কেঁদেছেন তার বাবা।

সালিম জানান, তার বাবা আবদুল মান্নান বলেছেন, পাসপোর্ট চেক করার নামে হোটেলের রুমে গিয়ে কয়েকজন লোক পরিবারের সদস্যদের নিচে নামিয়ে নেয়। সবাইকে রেখে আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী মিনারা খাতুনকে ব্রিটেন ফিরে যেতে বলে। কিন্তু ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিদের ফেলে বয়োবৃদ্ধ আব্দুল মান্নান ও মিনারা খাতুন ব্রিটেনে ফিরতে রাজি না হলে সবাইকে জোর করে হোটেলের সামনে গাড়িতে তুলে সিরিয়ায় নিয়ে যায়। আইএসের প্রচার করা বিবৃতি প্রসঙ্গে সালিম বলেন, সেটি ছিল জঙ্গিদের কৌশল, প্রপাগান্ডা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি ব্রিটিশ পরিবারের কেউ বেঁচে নেই

আপডেট সময় : ১১:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯

ইউরোপ ব্যুরোঃ
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে ২০১৫ সালে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়া ১২ সদস্যের পরিবার
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে ২০১৫ সালে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়া লন্ডনের পাশের শহর লুটনের বাসিন্দা সেই ১২ সদস্যের পরিবারের কেউ আর বেঁচে নেই। পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক তিন ছেলে মারা গেছেন জঙ্গিদের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে, ১ ও ১১ বছর বয়সী শিশুসহ পরিবারের ৭ জন নিহত হয়েছে বিমান হামলায় এবং ৭৫ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী মিনারা খাতুনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

আব্দুল মান্নানের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভের সন্তান সালিম হোসেইনের বরাত দিয়ে শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা সালিম হোসেইন বলেন, তারা কেমন আছেন তা জানতে দীর্ঘদিন আমরা চেষ্টা করছিলাম। সম্প্রতি খবর পেয়েছি সব শেষ, তারা আর কেউ বেঁচে নেই। দুঃখজনক এ পরিণতি মেনে নিয়ে নিজেরা স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করছি আমরা’।

২০১৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ফেরার পথে ইস্তাম্বুলে হোটেল থেকে নিখোঁজ হন আব্দুল মান্নানের ১২ সদস্যের পুরো পরিবার। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁওয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন তারা। নিখোঁজের দুই মাস পর সিরিয়া থেকে আব্দুল মান্নানের একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আইএস। জঙ্গি সংগঠনটিকে সমর্থনসূচক চিহ্ন সংবলিত আব্দুল মান্নানের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয় তখন। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে ওই সময় লুটনের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান সালিম হোসেইন গণমাধ্যমে দাবি করেন, তার বাবার পরিবার স্বেচ্ছায় সিরিয়ায় যায়নি, ইস্তাম্বুলের হোটেল থেকে তাদের কৌশল করে ধরে নিয়ে গেছে আইএস জঙ্গিরা।

তিনি জানান, সিরিয়ায় থাকা বাবার সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, জোর করেই আইএস জঙ্গিরা তাদের ধরে নিয়ে গেছে। ফোনে কথা বলার সময় প্রতিবারই কেঁদেছেন তার বাবা।

সালিম জানান, তার বাবা আবদুল মান্নান বলেছেন, পাসপোর্ট চেক করার নামে হোটেলের রুমে গিয়ে কয়েকজন লোক পরিবারের সদস্যদের নিচে নামিয়ে নেয়। সবাইকে রেখে আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী মিনারা খাতুনকে ব্রিটেন ফিরে যেতে বলে। কিন্তু ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিদের ফেলে বয়োবৃদ্ধ আব্দুল মান্নান ও মিনারা খাতুন ব্রিটেনে ফিরতে রাজি না হলে সবাইকে জোর করে হোটেলের সামনে গাড়িতে তুলে সিরিয়ায় নিয়ে যায়। আইএসের প্রচার করা বিবৃতি প্রসঙ্গে সালিম বলেন, সেটি ছিল জঙ্গিদের কৌশল, প্রপাগান্ডা।