আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি ব্রিটিশ পরিবারের কেউ বেঁচে নেই
- আপডেট সময় : ১১:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে
ইউরোপ ব্যুরোঃ
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে ২০১৫ সালে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়া ১২ সদস্যের পরিবার
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে ২০১৫ সালে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়া লন্ডনের পাশের শহর লুটনের বাসিন্দা সেই ১২ সদস্যের পরিবারের কেউ আর বেঁচে নেই। পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক তিন ছেলে মারা গেছেন জঙ্গিদের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে, ১ ও ১১ বছর বয়সী শিশুসহ পরিবারের ৭ জন নিহত হয়েছে বিমান হামলায় এবং ৭৫ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী মিনারা খাতুনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
আব্দুল মান্নানের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভের সন্তান সালিম হোসেইনের বরাত দিয়ে শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা সালিম হোসেইন বলেন, তারা কেমন আছেন তা জানতে দীর্ঘদিন আমরা চেষ্টা করছিলাম। সম্প্রতি খবর পেয়েছি সব শেষ, তারা আর কেউ বেঁচে নেই। দুঃখজনক এ পরিণতি মেনে নিয়ে নিজেরা স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করছি আমরা’।
২০১৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ফেরার পথে ইস্তাম্বুলে হোটেল থেকে নিখোঁজ হন আব্দুল মান্নানের ১২ সদস্যের পুরো পরিবার। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁওয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন তারা। নিখোঁজের দুই মাস পর সিরিয়া থেকে আব্দুল মান্নানের একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আইএস। জঙ্গি সংগঠনটিকে সমর্থনসূচক চিহ্ন সংবলিত আব্দুল মান্নানের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয় তখন। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে ওই সময় লুটনের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান সালিম হোসেইন গণমাধ্যমে দাবি করেন, তার বাবার পরিবার স্বেচ্ছায় সিরিয়ায় যায়নি, ইস্তাম্বুলের হোটেল থেকে তাদের কৌশল করে ধরে নিয়ে গেছে আইএস জঙ্গিরা।
তিনি জানান, সিরিয়ায় থাকা বাবার সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, জোর করেই আইএস জঙ্গিরা তাদের ধরে নিয়ে গেছে। ফোনে কথা বলার সময় প্রতিবারই কেঁদেছেন তার বাবা।
সালিম জানান, তার বাবা আবদুল মান্নান বলেছেন, পাসপোর্ট চেক করার নামে হোটেলের রুমে গিয়ে কয়েকজন লোক পরিবারের সদস্যদের নিচে নামিয়ে নেয়। সবাইকে রেখে আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী মিনারা খাতুনকে ব্রিটেন ফিরে যেতে বলে। কিন্তু ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিদের ফেলে বয়োবৃদ্ধ আব্দুল মান্নান ও মিনারা খাতুন ব্রিটেনে ফিরতে রাজি না হলে সবাইকে জোর করে হোটেলের সামনে গাড়িতে তুলে সিরিয়ায় নিয়ে যায়। আইএসের প্রচার করা বিবৃতি প্রসঙ্গে সালিম বলেন, সেটি ছিল জঙ্গিদের কৌশল, প্রপাগান্ডা।