ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ




প্রধানমন্ত্রীর আদেশ জাল করা ছাত্রলীগ নেতা মুমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মে ২০২০ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
প্রকল্পের কাজের তদবির করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও থাকতেন আবাসিক হলে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের নকল নথি তৈরিসহ প্রতারণার মাধ্যমে হয়েছেন বিপুল সম্পদের মালিক।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার নানা কৌশলের কথা জানিয়েছেন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম মুমিন।

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের নথিতে একজনের নামে টিক চিহ্ন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সে নথি বের করে নিয়ে ঘষামাজা করে আরেকজনকে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন ছাত্রলীগের তরিকুল ইসলাম মুমিনসহ একটি সিন্ডিকেট।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি বের করে জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় মুমিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ, বিনিয়োগ বোর্ডের কর্মচারী নাজিমউদ্দিন, আরেক সহযোগী ফাতেমা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। মুমিনসহ সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন।

ঢাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের তদবির করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও আছে মুমিনের বিরুদ্ধে।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর মুমিনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ঢোকারও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও থাকতেন আবাসিক হলে।

তবে টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পদ দেয়া অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি বলছেন, দলের এক বড় নেতার নির্দেশেই মমিনকে পদ দেয়া হয়।

মামলার আরেক আসামি বিনিয়োগ বোর্ডের কর্মচারী নাজিমউদ্দিন মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডে কয়েক কোটি টাকায় জমিসহ ছয়তলা এই বাড়ি কিনেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রধানমন্ত্রীর আদেশ জাল করা ছাত্রলীগ নেতা মুমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

আপডেট সময় : ১১:৫১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক;
প্রকল্পের কাজের তদবির করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও থাকতেন আবাসিক হলে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের নকল নথি তৈরিসহ প্রতারণার মাধ্যমে হয়েছেন বিপুল সম্পদের মালিক।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার নানা কৌশলের কথা জানিয়েছেন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম মুমিন।

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের নথিতে একজনের নামে টিক চিহ্ন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সে নথি বের করে নিয়ে ঘষামাজা করে আরেকজনকে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন ছাত্রলীগের তরিকুল ইসলাম মুমিনসহ একটি সিন্ডিকেট।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি বের করে জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় মুমিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ, বিনিয়োগ বোর্ডের কর্মচারী নাজিমউদ্দিন, আরেক সহযোগী ফাতেমা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। মুমিনসহ সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন।

ঢাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের তদবির করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও আছে মুমিনের বিরুদ্ধে।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর মুমিনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ঢোকারও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও থাকতেন আবাসিক হলে।

তবে টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পদ দেয়া অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি বলছেন, দলের এক বড় নেতার নির্দেশেই মমিনকে পদ দেয়া হয়।

মামলার আরেক আসামি বিনিয়োগ বোর্ডের কর্মচারী নাজিমউদ্দিন মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডে কয়েক কোটি টাকায় জমিসহ ছয়তলা এই বাড়ি কিনেছেন।