ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




‘তিন বছরেও খোলা হয়নি এক্স-রে রুমের তালা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০১৯ ১৪২ বার পড়া হয়েছে

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বরগুনা সংবাদদাতা: বেতাগীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে এক্স-রে কক্ষ। দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। হাসপতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য লোকবলের অভাবে তিনবছর ধরে এক্সরে মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি বন্ধ রয়েছে। কক্ষের সামনে মরিচা ধরা তালা ঝুলছে। দরজা জুড়ে রয়েছে মাকড়াশার জাল বোনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী একটি ডায়গনষ্টিক সেন্টারের রেডিও গ্রাফার জানিয়েছেন, এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় কারিগারি সমস্যা হতে পারে।

এদিকে লোকবলের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ থাকায় যন্ত্রপাতিতে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে কি অবস্থায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছেন না।

জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে বর্তমানে ছয়জন চিকিৎসক, ফার্মাসিষ্ট, কম্পাউন্ডার, পরিসংখ্যান বিদ, মেডিক্যাল টেকনলোজিস্ট পদ শূন্যের পাশাপাশি এক্স- রে মেশিন পরিচালনার জন্য রেডিও গ্রাফার নেই দীর্ঘ তিন বছর ধরে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, কর্মরত রেডিও গ্রাফার আবুল হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ মে হঠাৎ করে বেতাগী থেকে বদলী করে নেয়া হয় জেলা সদর বরগুনায়। সেই থেকে এ হাসপাতালের এ পদটি শূন্য রয়েছে। এর ফলে ১টি পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নের দেড়লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ উপজেলার দারিদ্র্য জনগোষ্ঠিকে হাসাপাতালের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে এক্সরে করতে হচ্ছে।

এমনই একজন ভূক্তভোগী মো: সালাউদ্দিন বাপ্পি অভিযোগ করেন, একারনে তাদের সময় ও অর্থ উভয়ই বেশি অপচয় হচ্ছে। পরতে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আ.ন.ম মঈনুল ইসলাম জানান, রেডিও গ্রাফারের অভাবে এক্সরে মেশিনটি বন্ধ থাকায় তিনি যোগদানের পরপরই ঐ শূণ্যপদ পূরনের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘তিন বছরেও খোলা হয়নি এক্স-রে রুমের তালা’

আপডেট সময় : ১১:১৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০১৯

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বরগুনা সংবাদদাতা: বেতাগীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে এক্স-রে কক্ষ। দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। হাসপতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য লোকবলের অভাবে তিনবছর ধরে এক্সরে মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি বন্ধ রয়েছে। কক্ষের সামনে মরিচা ধরা তালা ঝুলছে। দরজা জুড়ে রয়েছে মাকড়াশার জাল বোনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী একটি ডায়গনষ্টিক সেন্টারের রেডিও গ্রাফার জানিয়েছেন, এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় কারিগারি সমস্যা হতে পারে।

এদিকে লোকবলের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ থাকায় যন্ত্রপাতিতে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে কি অবস্থায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছেন না।

জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে বর্তমানে ছয়জন চিকিৎসক, ফার্মাসিষ্ট, কম্পাউন্ডার, পরিসংখ্যান বিদ, মেডিক্যাল টেকনলোজিস্ট পদ শূন্যের পাশাপাশি এক্স- রে মেশিন পরিচালনার জন্য রেডিও গ্রাফার নেই দীর্ঘ তিন বছর ধরে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, কর্মরত রেডিও গ্রাফার আবুল হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ মে হঠাৎ করে বেতাগী থেকে বদলী করে নেয়া হয় জেলা সদর বরগুনায়। সেই থেকে এ হাসপাতালের এ পদটি শূন্য রয়েছে। এর ফলে ১টি পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নের দেড়লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ উপজেলার দারিদ্র্য জনগোষ্ঠিকে হাসাপাতালের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে এক্সরে করতে হচ্ছে।

এমনই একজন ভূক্তভোগী মো: সালাউদ্দিন বাপ্পি অভিযোগ করেন, একারনে তাদের সময় ও অর্থ উভয়ই বেশি অপচয় হচ্ছে। পরতে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আ.ন.ম মঈনুল ইসলাম জানান, রেডিও গ্রাফারের অভাবে এক্সরে মেশিনটি বন্ধ থাকায় তিনি যোগদানের পরপরই ঐ শূণ্যপদ পূরনের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানিয়েছেন।