ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে হতে পারে মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১ ৪৯১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

আমাদের দেশের মানুষ কোন ওষুধ বেশি সেবন করে? এমন প্রশ্নের উওরে আসে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম। কেও জেনে আবার অনেকেই না জেনেই ফার্মেসি থেকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ক্রয় করে করছে সেবন। যা আমাদের জীবনে ডেকে নিয়ে আসতে পারে চরম বিপদ।

সর্বশেষ এক পরিস‌ংখ্যান বলছে, ২০১৯ এর জুলাই থেকে ২০২০ এর জুন পর্যন্ত দেশে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।

বিনা কারণে দীর্ঘমেয়াদে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রক্তের স্বল্পতা, হাড় ক্ষয় থেকে শুরু করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুও ঘটাতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিক্রি হওয়া ওষুধের অর্ধেকই মানুষ খাচ্ছে অপ্রয়োজনে। বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। সুস্থ কিংবা অসুস্থ যাই হোক, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে অন্তত চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না রোগীরা। ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনের মোট বিক্রি হওয়া ওষুধের অন্তত ২০ শতাংশই গ্যাস্ট্রিকের। শাহবাগের এক ফার্মাসিস্ট বলেন, চিকিৎসক যদি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ নাও দেন। তাহলেও তারা আমাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যান।

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত সেবন নিয়ে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। স্বল্প আঘাতে হাড় ভেঙে যায়। সুনির্দিষ্ট গবেষণা না থাকলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশের অন্তত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ প্রেসক্রিপশনে গ্যাস্টিকের ওষুধ লিখছেন চিকিৎসকরা। যথার্থ পর্যবেক্ষণ ছাড়া রোগীকে ঢালাওভাবে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ না দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান তাদের। অধ্যাপক আতিকুল হক বলেন, যদি গ্যাস্টিকের কোনো উপসর্গ না থাকে তাহলে আমরা গ্যাস্ট্রিকের কোনো ওষুধ দেব না। যদি উপসর্গ থাকে তাহলে পরীক্ষা করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

ব্যথার ওষুধ খেলেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে হবে এই ধারণা সবার ক্ষেত্রে সঠিক নয় বলেও মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, যার পাকস্থলি ভালো আছে বা আলসার রোগ নেই তারা স্বল্পমেয়াদে অর্থাৎ এক দেড় সপ্তাহ পর্যন্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়াই ব্যথার ওষুধ খেতে পারবেন।

ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজলসহ প্রায় প্রতিটি ব্র্যান্ডের গ্যাস্ট্রিকের একেকটি ওষুধের খুচরা মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। অপ্রয়োজনে এবং অভ্যাসবশত এসব ওষুধ খেয়ে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ শারীরিক ও আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে হতে পারে মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:১৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

অনলাইন ডেস্ক;

আমাদের দেশের মানুষ কোন ওষুধ বেশি সেবন করে? এমন প্রশ্নের উওরে আসে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম। কেও জেনে আবার অনেকেই না জেনেই ফার্মেসি থেকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ক্রয় করে করছে সেবন। যা আমাদের জীবনে ডেকে নিয়ে আসতে পারে চরম বিপদ।

সর্বশেষ এক পরিস‌ংখ্যান বলছে, ২০১৯ এর জুলাই থেকে ২০২০ এর জুন পর্যন্ত দেশে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।

বিনা কারণে দীর্ঘমেয়াদে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রক্তের স্বল্পতা, হাড় ক্ষয় থেকে শুরু করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুও ঘটাতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিক্রি হওয়া ওষুধের অর্ধেকই মানুষ খাচ্ছে অপ্রয়োজনে। বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। সুস্থ কিংবা অসুস্থ যাই হোক, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে অন্তত চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না রোগীরা। ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনের মোট বিক্রি হওয়া ওষুধের অন্তত ২০ শতাংশই গ্যাস্ট্রিকের। শাহবাগের এক ফার্মাসিস্ট বলেন, চিকিৎসক যদি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ নাও দেন। তাহলেও তারা আমাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যান।

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত সেবন নিয়ে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। স্বল্প আঘাতে হাড় ভেঙে যায়। সুনির্দিষ্ট গবেষণা না থাকলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশের অন্তত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ প্রেসক্রিপশনে গ্যাস্টিকের ওষুধ লিখছেন চিকিৎসকরা। যথার্থ পর্যবেক্ষণ ছাড়া রোগীকে ঢালাওভাবে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ না দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান তাদের। অধ্যাপক আতিকুল হক বলেন, যদি গ্যাস্টিকের কোনো উপসর্গ না থাকে তাহলে আমরা গ্যাস্ট্রিকের কোনো ওষুধ দেব না। যদি উপসর্গ থাকে তাহলে পরীক্ষা করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

ব্যথার ওষুধ খেলেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে হবে এই ধারণা সবার ক্ষেত্রে সঠিক নয় বলেও মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, যার পাকস্থলি ভালো আছে বা আলসার রোগ নেই তারা স্বল্পমেয়াদে অর্থাৎ এক দেড় সপ্তাহ পর্যন্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়াই ব্যথার ওষুধ খেতে পারবেন।

ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজলসহ প্রায় প্রতিটি ব্র্যান্ডের গ্যাস্ট্রিকের একেকটি ওষুধের খুচরা মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। অপ্রয়োজনে এবং অভ্যাসবশত এসব ওষুধ খেয়ে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ শারীরিক ও আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।